চুনারুঘাটে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেল ১৮ পরিবার

Published: 4 October 2020

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৮টি পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাকা ঘর। দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা এসব পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন পাকা ঘর পেয়ে মহাখুশি। তাদের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক।

বুধবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিন দেওরগাছ গ্রামের বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী উপকারভোগী ছালেহার বাড়ি পরিদর্শনে আসেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আতিকুল হক, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সত্যজিত রায় দাশ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পাল, হবিগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল, মাধবপুরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুল ইসলাম, চেয়ারম্যান চৌধুরী সামছুন্নাহারসহ অনেকেই।

অতিথিদের পেয়ে ছালেহা বেগম খুব খুশি। তিনি বলেন, স্বামী-ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব অসহায় হয়ে পরেছিলেন তিনি। ছোট্ট ঘরে মেঘ-বৃষ্টি ঝড়-তুফানের সঙ্গে যুদ্ধ করে তিনি থেকেছেন দিনের পর দিন। কখনো পাকা ঘরে ঘুমানোর চিন্তা মাথায় আসেনি তার। পাকা ঘরে ঘুমানো ছিল স্বপ্নের মতো। সে স্বপ্ন বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ১৮টি পরিবারের জন্য ৫৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। প্রতিটি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের বরাদ্দ ধরা হয় দুই লাখ ৯৮ হাজার টাকা। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সত্যজিত রায় দাশ ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অসহায় দরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, পুনর্বাসিত ভিক্ষুক এবং যার জমি আছে ঘর নেই এমন মানুষকে শনাক্ত করে এসব ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল বলেন, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ও একটি পৌরসভার ১৮ জন উপকারভোগীর ঘর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। প্রতি উপকারভোগীর জন্য দুটি করে রুম (থাকার ঘর) একটি রান্নাঘর ও একটি করে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ করা হয়।

চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সত্যজিত রায় দাশ বলেন, এই প্রকল্পটির প্রতি আমাদের বিশেষ নজর ছিল। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।