বিয়ানীবাজারে মরা মোরগ খাচ্ছেন কারা ?

Published: 3 December 2020

সিলেট অফিস : বিয়ানীবাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার মোরগ বিক্রি হলেও মরা মোরগগুলো কোথায় যায় এ তথ্য কারো কাছে নেই। তবে মরা মোরগ ব্যবসায়ীরা কোথায় ফেলেন তাও কেউ জানেন না। এ নিয়ে সকলের মধ্যে অনেকটা সন্দেহ সংশয় রয়েছে।

                                                        প্রতিকি ছবি

অনেক কিছু জানার পরও ক্রেতারা অনেকটা চোঁখ বুঝে মোরগ কিনে জবাই করে নিয়ে যাচ্ছেন। কোন কিছু বুঝার আগেই যে চতুর বিক্রেতারা সহজ সরল ক্রেতাদের খাওয়াচ্ছেন মরা ও রোগাক্রান্ত মোরগ তার প্রমাণ কিন্তুু কারো কাছে নেই। মাঝে মধ্যে এ নিয়ে সচেতন দু’একজন ক্রেতার সাথে বিক্রেতাদের ঝগড়া বিবাদ হয়ে থাকে। আবার বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতেও রয়েছে তাদের মধ্যকার একটি গ্রুপ। চতুর বিক্রেতার চতুরাতি ইদানিং অনেকের চোঁখে পড়ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টা এ প্রতিবেদক মোরগ কিনতে বিয়ানীবাজার শহরের একটি দোকানে গেলে চোঁখে পড়ে খাচার মধ্যে মরা একটি বয়লার মোর। বিক্রেতাকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি সাথে সাথে কর্মচারীকে দিয়ে মোরগটি জবাই করতে বলেন। সে মোরগটি জবাই করে একটি ড্রামের ভেতর ফেলে দেয়। এর কারণ জিজ্ঞেস করতেই বিক্রেতা বললেন আমি নিজে খাওয়ার জন্য নিয়ে যাব।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, বিয়ানীবাজারের অধিকাংশ ক্রেতাই জবাই করে ছাল ছাড়িয়ে মোরগ নিয়ে যান। আর এই সুযোগ নেন কতিপয় বিক্রেতারা। আগে থেকে মরা মোরগ জবাই করে তারা ড্রামের ভেতর ফেলে রাখে তারা। ক্রেতারা মোরগ ক্রয় করার পর জবাই করে একই ড্রামে মোরগ ফেলে দেয় কতিপয় চতুর বিক্রেতারা। পরে তারা কৌশলে মরা মোরগ ড্রাম থেকে ক্রেতাদের ব্যাগে দিয়ে স্বস্থির নি:শ^াস ফেলে।

সম্প্রতি বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের একজন শিক্ষকও এ রকম প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। তবে বিষয়টি তার নজরে আসলে বিক্রেতা শিক্ষকের পায়ে ধরে পার পান। ওই শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শহরে মোরগ কিনার জন্য যাই। কয়েকটি মোরগ কিনে জবাই করার জন্য দোকান কর্মচারীকে বলি। জবাই করার সময় কর্মচারী ড্রামের ফাঁক দিয়ে একটি মোরগ ফেলে দেয়। তা আমার নজরে আসে। কিন্তুু পরবর্তীতে বিক্রেতা আমাকে আমার চাহিদার মোরগ আমাকে সরবরাহ করতে গেলে আমি তাকে প্রশ্ন করি একটি মোরগ ড্রামের আড়ালে ফেলে দেয়ার পরও বাড়তি আরেকটি মোরগ কেমনে এলো। এতেই বিপত্তি বাঁধে। পরে বিক্রেতা কান্না জড়িয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে চলে আসি।