মানবজীবন এবং মাংসপেশীর যন্ত্রণা

Published: 16 December 2020

সারাসপ্তাহ ধরে যদি টেনিস খেলতে ভালবাসেন তাহলে আগে দেখে নিন আপনার মাংশপেশীর কি পরিস্থিতি রয়েছে।

দ্যা হেলদি ডট কমের একটি তথ্য এ বিষয়ে নানা তথ্য দিয়েছে। যদি মাংসপেশীতে পর্যাপ্ত শক্তি বা পুষ্টি না থাকে তাহলে আপনার পেশীতে যন্ত্রণা থাকাটাই স্বাভাবিক। শরীরে যদি ল্যাকটিক অ্যাসিড বেশিমাত্রায় থাকে তাহলে সেই স্থানটিতে যন্ত্রণা হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে, যদি তৎক্ষনাৎ সুস্থ না হতে পারেন তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ল্যাকটিক অ্যাসিডের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল বিশ্রামের ফলে এটি সহজেই দেহের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা কোনো ব্যাপার নয়।

কাজের স্থানে ওভারটাইম করতেই পারেন।

তবে তা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে নিজেকেই। মাংসপেশীতে যন্ত্রণা হতেই পারে। তবে চিন্তার কারণ হবে তখন, যখন তা আপনার জীবনে দীর্ঘস্থায়ী হবে। দুসপ্তাহের বেশি সময় ধরে যদি যন্ত্রণা অনুভূত হয় তাহলে চিন্তার কারন রয়েছে বৈকি। তখন নিজেকে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া থেকে বিরত করবেন না। ফ্রাইব্রোমালজিয়া হতে পারে আপনার। এরফলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। যন্ত্রণা হওয়ার সময় দীর্ঘ হতে পারে। দেহের বিভিন্ন অংশে একসঙ্গে যন্ত্রণা হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ফলে এই যন্ত্রণা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়াই ভাল।

যন্ত্রণার আরও একটি দিক হিসাবে আমাদের অতি পরিচিত নাম আর্থারাইটিস। রাস্তায় হাটাচলার সময় প্রধান সমস্যা হিসাবে দেখা দিতে পারে এটি। এরফলে পায়ের নিচে প্রধানত প্রচুর যন্ত্রণা হয়। এই যন্ত্রণার দ্রুত চিকিৎসা না করলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে দেহের অন্য অংশেও। মাংসপেশীর যন্ত্রণা থেকে অনেক সময় অন্য ধরনের সংক্রমণও হতে পারে। টানা জ্বর থেকে শুরু করে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের উপসর্গ। লাইম ডিজিস নামে আরো একটি রোগ যন্ত্রণা থেকেই তৈরি হয়। এরফলে সারা দেহে র‍্যাশ হয়ে যায়। এই র‍্যাশ যে দেহে সর্বদা দেখা দেবে তা নয়, তবে যে সময়ে এই র‍্যাশগুলি আসবে তখন দেহে প্রচন্ড ব্যাথা হবে, নচেত চুলকানি হবে। দ্রুত এর চিকিৎসা না হলে সমস্যা বাড়বে।

যদি আপনার বয়স ৬৫ বা তার বেশি হয় তাহলে দেহের বেশ কয়েকটি স্থানে যন্ত্রণা হতে পারে। সেগুলির মধ্যেে প্রধান হল হাত, গলা, পিঠ। এই যন্ত্রণা আগামী দিনে বাড়তে পারে যদি না সঠিক চিকিৎসা করা হয়। অনেক সময় যদি বেশিমাত্রায় ওষুধ সেবন করা হয় তাহলেও দেহের নানা অংশে যন্ত্রণার অনুভূতি হতে পারে। তবে যন্ত্রণা যে পথেই আসুক না কেন তাকে হেলাফলা করা ঠিক নয়। দ্রুত চিকিৎসা করাই ভাল।