লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৪১৩ প্রবাসী
স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে দূতাবাসে নিবন্ধনকৃত ৪১৩ জন বাংলাদেশি প্রবাসীকে নিয়ে বৈরুত রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ত্যাগ করলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ৫টায় রওনা হয়ে ভোর ৩টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।
স্বচ্ছল জীবনের আশায় লেবাননে এসেছিলেন যে প্রবাসীরা, তারাই এখন স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়ছেন। পর্যটননির্ভর দেশটিতে দেড় লাখের বেশি বাংলাদেশির বাস। যার মধ্যে অবৈধ প্রায় ৪০ হাজারের অধিক । বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৮০ হাজার নারীকর্মী রয়েছেন লেবাননে।
লেবাননে দীর্ঘ প্রায় এক বছর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ডলার সংকট, করোনাভাইরাস সংক্রমণ কারণে লকডাউন, অফিস আদালত, বিমানবন্দর ও ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হওয়ার পর কিছু রুটে সীমিত ফ্লাইট চালু হয়।
এছাড়াও গত ৪ আগস্ট হঠাৎ বৈরুত বন্দরে এক ভৌতিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ঐতিহ্যবাহী এ নগরটি। বিস্ফোরিত এলাকায় কাজ করতেন প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী। এই বিস্ফোরণের কারণে কাজ হারিয়ে দিশেহারা ৫০ হাজারের বেশি প্রবাসী। মাত্র ১৫-২০ সেকেন্ডে মিশে গেল মাটির সঙ্গে। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগে আরও সাতবার এ নগরী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ।এবার কিন্তু আগামীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রবাসীরা পড়েছেন শঙ্কায়।
রীতিমতো ফ্লাইট চালু হলে প্রায় ৫০ শতাংশ বাংলাদেশি প্রবাসী লেবানন ছেড়ে চলে যাবে নিজ মাতৃভূমিতে, এমন ধারণা করছেন অনেকে।
গত সেপ্টেম্বরে দূতাবাসের বিশেষ সুযোগে নিবন্ধন করেছিল প্রায় সাড়ে সাত হাজার প্রবাসী। সে সময় কিছু প্রবাসী দেশে ফিরতে পারলেও কোভিড ১৯ কারণে আটকে যায় বাকিদের দেশে ফেরা।
লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ও বাংলাদেশ বিমান পরিবহন সংস্থার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেন প্রবাসীদের ফিরতে।
এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইসের দুইটি ফ্লাইটে ৪১০ ও ৪০৬ জনসহ আরো অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মাধ্যমেও বাংলাদেশি প্রবাসী ফিরে গেল বাংলাদেশে।