দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত ২৪৩৬ : মৃত্যু ৪৫
প্রাণঘাতী করোনায় মৃত ও সংক্রমণের সংখ্যা থামছেই না। অদৃশ্য এই ভাইরাসটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১২৭ জন মারা গেলেন। এ সময়ের মধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৩৬ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন তিন লাখ চার হাজার ৫৮৩ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাভাইরাস বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা ১৫ হাজার ১২৪টি নমুনার মধ্যে দুই হাজার ৪৩৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ চার হাজার ৫৮৩ জনে। এছাড়া আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো তিন লাখ চার হাজার ৫৮৩ জনে। একই সময়ে ৩২৭৫ জন সুস্থ হওয়া মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা এক লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৮ জন।
করোনাভাইরাস শনাক্তে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫ তম। এরই মধ্যে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এশিয়ার মধ্যে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত, ইরান ও সৌদি। আর দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি নেই। এখন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ভিত্তিক লকডাউন দেয়া হয়। তাই অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সরঞ্জামাদি রাখা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।