সুশান্ত আর আমি স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতাম: রিয়া
সুশান্ত সিংহ মৃত্যু মামলায় সারাবিশ্ব যার কাছ থেকে সত্য ঘটনা জানার জন্য উৎসুক, তিনি আর কেউ নন, সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। সেই রিয়া এ বার প্রথম মুখ খুললেন সংবাদমাধ্যমে। তাকে ঘিরে জমতে থাকা বিভিন্ন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিলেন ‘ইন্ডিয়া টুডে’ চ্যানেলকে।
রিয়া জানিয়েছেন, মহেশ ভট্টের সঙ্গে সুশান্ত আর তার সম্পর্ক নিয়ে কোনও মেসেজ বিনিময় করেননি তিনি। সুশান্তকে ছাড়ার বিষয়ে মহেশ ভট্ট তাকে মদত দিয়েছিলেন এমনও না। রিয়া এই সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম সে দিন। আমি সুশান্তকে ছেড়ে চলে আসার পরেও ও আমায় ফিরে ডাকল না। ফোন অবধি করল না। আমি খুব দুঃখ পেয়েছিলাম, ভেবেছিলাম আমি অসুস্থ বলে সুশান্ত আর আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না। এত খারাপ লেগেছিল যে ভট্ট সাবকে ফোন করি।
গাড়ির চালক আমি তাড়াইনি : রিয়া এই সাক্ষাৎকারেই বলেন, আমি ভাবতেই পারিনি সিদ্ধার্থ পিঠানি আমার সম্পর্কে বানিয়ে বানিয়ে এমন কথা বলতে পারে! আমাকে নিয়ে অবশ্য এখন যে যা পারছে লিখছে। তবে আমি কোনও ড্রাইভার বদলাইনি। আমার কাছে কোনও ড্রাইভার আসেওনি। আমি বাড়ি ছেড়ে চলে আসার পর সুশান্তের দিদি ড্রাইভার বদল করে।
শৌভিককে বলতাম আমার সতিন : রিয়া জানান, সুশান্তের কোম্পানি নিয়ে তার আর শৌভিকের ভূমিকা ঘিরে নানা গুজব ছড়িয়েছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুশান্ত এত ভালবাসত শৌভিককে যে আমরা বলতাম আমার ভাই আমার সতিন। সুশান্তের জেদেই আমাদের ইতালি ট্রিপে পরে শৌভিক এসে যোগ দেয়। আর এই ভালবাসার জন্যই সুশান্ত আমাদের দু’জনকে ওর ড্রিম প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত করে।
রিয়া পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এই কোম্পানির জন্য তিনি আর তার ভাই সমান টাকা সুশান্তকে দেন।
তিনি বলেন, এই সময়ে তিনি, শৌভিক-সুশান্ত মিলে রিলেটিক্স নামের সংস্থাটি শুরু করেন। সকলের এতে ৩৩.৩৩ শতাংশ টাকা দিতে হয়েছিল৷ “ভাইয়ের চাকরি ছিল না বলেই ওর টাকা আমি ওর ব্যাঙ্কে ট্রান্সফার করি। সুশান্তের কোম্পানি সংক্রান্ত শুধু এই লেনদেন হয়েছে আমাদের। বাকি সব মিথ্যে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।