করোনায় আক্রান্ত ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
।। তারেক শামসুর রেহমান।।
শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর যখন বাকি আছে মাত্র ২৯ দিন এবং দ্বিতীয় প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্ক যখন আগামী ১৫ অক্টোবর ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, তখন ট্রাম্পের করোনায় আক্রান্তের খবর নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। নানা জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। একদিকে তার জনপ্রিয়তায় ধস, অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে বড় প্রভাব ফেলবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯তম প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচন। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই নানা বিতর্ক এ নির্বাচনকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ক্লিভল্যান্ডে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এক ধরনের বিশৃঙ্খলা, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাম্ভিকতা, জো বাইডেন ও উপস্থাপক ক্রিস ওয়ালেসকে বারবার বাধা দান (মোট ১২৯ বার), মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন- সব মিলিয়ে ট্রাম্প যে ‘পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করেছিলেন, তা শুধু দৃষ্টিকটুই ছিল না, একজন প্রেসিডেন্টের জন্য তা বেমানানও বটে। প্রথম বিতর্কের পর জনমত জরিপে তিনি পিছিয়ে আছেন। ফলে যে প্রশ্নটি অনেক আগেই উঠেছিল, সে প্রশ্নটি আবারও উঠল- নির্বাচনে হেরে গেলে তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন কিনা? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে এখন এটা একটা বড় প্রশ্ন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন? এর জবাবে তিনি বলেছিলেন, মহামারীর কারণে ডাকযোগে বর্ধিত ভোট না হলে তিনি বিশ্বাস করেন ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো দরকারই হতো না। তিনি মনে করেন, ডাকযোগের ভোটে জালিয়াতি হলেই কেবল তিনি হারতে পারেন! নির্বাচনে হেরে গেলে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে হারলে দেখতে হবে কী হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পর ফলাফল নিষ্পত্তি হবে সুপ্রিমকোর্টে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি রুথ বাদের গিনসবার্গ ৮৭ বছর বয়সে মারা যান। ট্রাম্প তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেটের নাম প্রস্তাব করেছেন। তখন থেকেই ট্রাম্পের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ডেমোক্রেটরা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান বিচারপতি ব্যারেটের নিয়োগের ব্যাপারে সিনেট ৩ নভেম্বরের আগেই অনুমোদন দিক। ডেমোক্রেটরা এর বিরোধিতা করছেন। কারণ বিচারপতি ব্যারেট কনজারভেটিভ ও রিপাবলিকান মতাদর্শী। ট্রাম্পের প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে সিনেটে (১০০ সদস্য) রিপাবলিকানদের সংখ্যা ৫৩, আর ডেমোক্রেটদের ৪৫। ২ জন নিরপেক্ষ। সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় ট্রাম্পের যে কোনো মনোনয়ন খুব সহজেই অনুমোদিত হবে। এর অর্থ হচ্ছে, বিচারপতি ব্যারেট সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিশ্চিত হলে সেখানে রিপাবলিকান মতাদর্শীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে। মোট ৯ জন বিচারপতি রয়েছেন সুপ্রিমকোর্টে। এর মাঝে একজন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি গিনসবার্গ মারা যাওয়ায় একটি পদ খালি। ধারণা করছি, নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো ‘জটিলতা’ তৈরি হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুপ্রিমকোর্টে বিষয়টি নিয়ে যাবেন। ডাকযোগে ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আর ট্রাম্প এটা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা ও গণমাধ্যম বলছে, নির্বাচনে কারচুপির কোনো সম্ভাবনা নেই। ডাকযোগে ভোট দেয়া একটা নরমাল প্র্যাকটিস। কিন্তু এখন ট্রাম্প প্রশ্ন তুলছেন। এ ক্ষেত্রে নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, ডাকযোগে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল নিয়ে তিনি বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টে নিয়ে যেতে পারেন। বিচারপতি ব্যারেটের মনোনয়ন এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসায় এটা খোদ যুক্তরাষ্ট্রে একটা বড় বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। একজন ধনী ব্যক্তি হয়েও ট্রাম্প বছরে কর দেন মাত্র ৭৫০ ডলার। ধনী ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্রে কর ফাঁকি দেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি কর ফাঁকি দেবেন, এটা অচিন্তনীয়। এ কাজটি তিনি করেছেন। অতীতে একাধিকবার এ প্রশ্নটি উত্থাপিত হলেও ট্রাম্প কখনই তা খোলাসা করেননি। এবারও যখন নিউইয়র্ক টাইমস তথ্যটি ফাঁস করে দিল, হোয়াইট হাউস কিংবা ট্রাম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে তা খণ্ডন করা হয়নি। পাঠকদের জানার জন্য আরও কিছু তথ্য দেই। গড়পড়তা একজন শিক্ষক (স্কুল) সেখানে ট্যাক্স দেন ৭২৩৯ ডলার (বছরে), একজন দমকল কর্মী দেন ৫২৮৩ ডলার, একজন নার্স দেন ১০২১৬ ডলার, একজন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার দেন ১৬৪৪৭ ডলার (প্রোগেস রিপোর্ট, ৩০ সেপ্টেম্বর)। আর ট্রাম্প দেন মাত্র ৭৫০ ডলার! তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে বছরে যে বেতন পান (৪ লাখ ডলার), তা তিনি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে দান করে দেন। একজন প্রেসিডেন্ট যখন অবসরে যান, আজীবন তিনি পেনশন পান, যার পরিমাণ বছরে ২১৯২০০ ডলারের মতো।
একজন ধনী ব্যক্তি হয়েও ট্রাম্প ট্যাক্স দেন না, এটা বহুল আলোচিত এবং প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কেও তাকে এ প্রশ্নটি করা হয়েছিল। তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন, তিনি ‘মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স’ দেন! তাহলে কি তিনি মিথ্যা বললেন? তার স্টাফরা অবশ্য এ ব্যাপারে কোনো তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে পারেননি। এর অর্থ হচ্ছে, তিনি যা বলেছেন তা মিথ্যা। তার বক্তব্যের সঙ্গে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত তথ্যের কোনো মিল নেই। প্রশ্ন হচ্ছে এখানেই। একজন প্রেসিডেন্ট কি তাহলে মিথ্যা বললেন?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন ইস্যুতে ইতোমধ্যে বিতর্কিত হয়েছেন। তার রেটিং ভালো যাচ্ছে না। বিবিসি ৩০ সেপ্টেম্বর আমাদের জানাচ্ছে, জনমত ৫১ ভাগ জো বাইডেনের পক্ষে, ৪৩ ভাগ ট্রাম্পের পক্ষে। অর্থাৎ ট্রাম্প অনেক পয়েন্টে পিছিয়ে আছেন। Real Clear Politics-এর মতে ১৪টি রাজ্য এ মুহূর্তে ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেটস’। এ রাজ্যগুলোর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট নির্বাচনে একটা প্রভাব ফেলতে পারে। এ ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেটসের মাঝে শুধু জর্জিয়ায় (৪৭ ভাগ ও ৪৫ ভাগ) ও টেক্সাসে (৪৮.৪, ৪৫.২) ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। এর বাইরে আরিজোনা, ফ্লোরিডা, মিসিগান, মিনিসোটা, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলিনা, অহিও, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া ও উইসকনসিনে এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। অথচ এসব স্টেটের মধ্যে ২০১৬ সালে আরিজোনা, ফ্লোরিডা, আইওয়া, মিসিগান, নর্থ ক্যারোলিনা, অহিও, পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিনে ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছিলেন। এ পরিসংখ্যানই বলে দেয় ট্রাম্প তার জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন।
ট্রাম্পের জন্য আরেকটা খারাপ খবর হচ্ছে, তার আমলে উগ্র শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর উত্থান এবং জাতিগত বিদ্বেষ বেড়ে যাওয়া। তার আমলে কৃষ্ণাঙ্গরা যেভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে, তার রেশ ধরে জন্ম হয়েছে ‘ব্লাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের। ট্রাম্পের উসকানিতেই জন্ম হয়েছে শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী Proud Boys। টিভি বিতর্কে ট্রাম্প এদের কর্মকাণ্ড সমর্থন করে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর মাঝে একটা অনাস্থার জায়গা তৈরি করলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মরু অঞ্চলের বরফ গলছে। ফলে সাগর-মহাসাগরের পানির উচ্চতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে পুনঃ পুনঃ ঘূর্ণিঝড়। অথচ ট্রাম্প এটা বিশ্বাস করেন না। তাই তার পুনঃনির্বাচন শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, বরং বিশ্ববাসীর জন্যও হবে একটা খারাপ খবর। কোভিড-১৯ নিয়েও তিনি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মানতে নারাজ। তিনি মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করেন না। নিজের মতো করে চলেন। কোভিড-১৯-এর ব্যাপারেও তিনি একা সিদ্ধান্ত নেন। টিভি বিতর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, তিনি রোগ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছেন এবং তিনি না থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ লাখ মানুষ মারা যেত। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ২,১৩,৫২৪ জন (Worldometer)। পাঠকদের জানিয়ে রাখি, ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এমনকি সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯-এর টিকা সরবরাহের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সে প্রক্রিয়ায় থাকবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এর আগে বিশ্বের উষ্ণতা রোধকল্পে প্যারিস চুক্তি, ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তি, ইউনেস্কো, ইরান পারমাণবিক চুক্তি, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকেও যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। এর অর্থ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র একা চলতে চাইছে। ট্রাম্পের জমানায় এ ধারণা আরও শক্তিশালী হবে, যদি তিনি দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনে বিজয়ী হন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে অনেক বিতর্কই তিনি সৃষ্টি করেছেন। মিডিয়াগুলো তার সমালোচনা করছে। টিভি বিতর্কে প্রতিপক্ষের নীতির যুক্তিযুক্ত সমালোচনা করাই নিয়ম। কিন্তু ৭৩ মিলিয়ন মানুষ (সিএনএন) দেখল একজন প্রেসিডেন্ট কীভাবে ঝগড়া করেন, কীভাবে মিথ্যা কথা বলেন। ওয়াল স্টিট জার্নালের মন্তব্য ছিল এ রকম : ‘This Was the Debate From Hell’. ইকোনমিস্টের মন্তব্য : ‘The president turns a globally respected American institution into a national embarrassment.’- প্রেসিডেন্ট একটি গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছেন। The Slate লিখেছে, ‘Donald Trump is America’s Abusive Father’- ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার অবমাননাকর পিতা। নিউইয়র্ক টাইমসের হেডিং ছিল : ‘A Debate Mess’। নিউজপোর্টাল truthout-এ David Renton লিখেছেন ‘Trump Isn’t Keeping His Fascist Plan Secret. He’s Trying to Derail the Election.’ নিউইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট David Leonhardt-এর একটি মন্তব্য এ রকম : ‘Trump now seems to be running against democracy itself’- ট্রাম্প এখন গণতন্ত্রের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। আর ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট George Will-এর মন্তব্য : ‘For the sake of the country, cancel the remaining debates’- বাকি দুটো বিতর্ক বাতিল করুন, এটা রাষ্ট্রের জন্য ভালো। এ ধরনের শত শত মন্তব্যে ভরে গেছে মিডিয়া। তাই প্রশ্নটা এলোই- যে দেশ সারা বিশ্বে গণতন্ত্র ‘প্রমোট’ করতে চায়, সেই দেশ কি তার নিজ দেশের গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে পারবে? আমেরিকার দীর্ঘ ইতিহাসে এ ধরনের প্রেসিডেন্ট আগে কখনই আসেননি। যেখানে গণতন্ত্র পরস্পরকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়, পরমত সহিষ্ণুতা শেখায়, আইনের শাসনের কথা বলে, সেখানে কোন্ গণতন্ত্র প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ? প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে তাই নানা প্রশ্ন। নানা জিজ্ঞাসা। নানা আতঙ্ক। ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পর কী হবে, এটা নিয়েও সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি বাড়ছে।
ড. তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষক