আততায়ীর গুলিতে নিহত মাওলানা ড. আদিল খান
পোস্ট ডেস্ক : আততায়ীর গুলিতে পাকিস্তানের শীর্ষ আলেম জামেয়া ফারুকিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা ড. আদিল খান গাড়ী চালকসহ নিহত হন।
গতকাল শনিবার (১০ অক্টোবর) করাচির শাহ ফয়সাল এরিয়ায় অজ্ঞাত আততায়ীর গুলিতে তাঁরা নিহত হন।
ড. আদিল খান ছিলেন পাকিস্তানের মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসের প্রধান ও জামেয়া ফারুকিয়ার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা সলিমুল্লাহ খানের পুত্র।
পুলিশের ভাষ্য মতে, শাহ ফয়সাল কলোনির কাছে একটি মার্কেটে মিষ্টি ক্রয় করতে ড. আদিল খানের গাড়ি এসে দাঁড়ায়। এ সময় অস্ত্রোধারী কিছু আরোহী এসে গাড়িকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি করে পালিয়ে যায়।
ড. আদিল খানকে নিকটস্থ লিয়াকত ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। হাসপাতালের মুখপাত্র আনজুম রিজভি এ খবর নিশ্চিত করে। ড. আদিল খানের গাড়ি চালক মাকসুদ আহমদকে জিন্নাহ পোস্ট গ্রেজুয়েট হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। হাসপাতালের প্রধান সহকারি ডা. সেমিন জামিল তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
এদিকে ড. আদিলের সহযোগী উমাইর মিষ্টি কিনতে নিকটস্থ একটি মার্কেটে যান। ফিরে এসে ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন।
মাওলানা আদিল খান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। অতঃপর মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। মাওলানা সলিমুল্লাহর মৃতুর পর তিনি দেশে ফিরে বাবার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি নির্মম ঘটনায় শোক প্রকাশ করে অনেক সন্ত্রাসী শহরের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে বলেন।
কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের ডিআইজি ওমর শহিদ হামিদ বলেন, ড. আদিল খান ছিলেন দেওবন্দি ধারার একজন বিখ্যাত আলেম। পাকিস্তানের শীর্ষ আলেম মুফতি তকি উসমানির সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন তিনি তকি উসমানির সঙ্গে দেখা দারুল উলুম করাচি থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরছিলেন। ফেরার পথেই তিনি পরিকল্পিত হত্যার শিকার হন।