ব্রিটিশ গণমাধ্যমে মার্কিন নির্বাচন
পোস্ট ডেস্ক : বিশ্বের সকল প্রান্তেই এখন আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সব দেশেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতির কমবেশি প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ফলে সবার চোখই রয়েছে, কে হবেন হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা তার দিকে। ব্রিটিশ নেতারা অবশ্য এ নির্বাচন নিয়ে নিরপেক্ষ বক্তব্যই দিয়েছেন। তবে এ নির্বাচন নিয়ে সরব ছিল ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিতে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের মিশিগান জয়ের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। মিশিগানে জয়ের মধ্য দিয়ে কার্যত প্রেসিডেন্ট হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন বাইডেন। প্রতিবেদনে সেটিই বলা হয়েছে।
এছাড়া, নির্বাচন আদালতেই নির্ধারিত হবে কিনা সেটির সম্ভাবনা নিয়েও বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
এদিকে ব্রিটিশ আরেক গণমাধ্যম মিররে গুরুত্ব পেয়েছে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলো। হার ঠেকাতে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। মিররের এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পকে মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে প্রতিবেদক ক্রিস্টোফার বাকটিন ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ের জন্য নানা ছলচাতুরির সমালোচনা করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার রেকর্ড ভেঙ্গে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন এবার জো বাইডেন। মিরর এই বিষয়টিকেও হাইলাইট করেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো তার কাছে মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চায়। তবে তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। অপরদিকে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবও সহজ করে বলেছেন, মার্কিন নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর তার আস্থা রয়েছে। যদিও দেশটির গণমাধ্যম আইটিভি মার্কিন নির্বাচনকে বিশৃঙ্খল বলে আখ্যা দিয়েছে। বৃটিশ অন্যান্য গণমাধ্যমগুলোতেও নির্বাচনে বিশৃঙ্খলতার বিষয়টি উঠে এসেছে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে ট্রাম্প সমর্থকদের ‘ভণ্ডামি’ তুলে ধরা হয়েছে। কীভাবে তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে তাও তুলে আনা হয়েছে এসব প্রতিবেদনে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কে লিখেছে, উদ্বেগ ও সন্দেহের কারণে এখন অনিশ্চিত নির্বাচনের ফলাফল। রয়টার্সেরই আরেক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট হয়ত নির্বাচন সম্পর্কে শেষ সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। আরেক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি হেডলাইন দিয়েছে, মার্কিন নির্বাচন এখন আদালতে।
এদিকে, দ্যা গার্ডিয়ানে বেশি নজর দেয়া হয়েছে আদালতে ট্রাম্পের লড়াই সম্পর্কে। তিনি নির্বাচনের ফল নিজের দিকে নিয়ে আসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন দেখা গেছে গার্ডিয়ানে। এছাড়া, বিবিসির পাশাপাশি বেশিরভাগ বৃটিশ গণমাধ্যমেই আলোচিত হচ্ছে, বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে কে বৃটেনের জন্য সেরা হবেন সেই বিষয়টি।