ফের পোস্টাল ব্যালটকে ‘অবৈধ’ দাবি ট্রাম্পের

Published: 7 November 2020

পোস্ট ডেস্ক : রিপাবলিকান প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ফের পোস্টাল ব্যালটকে ‘অবৈধ’ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত এবং প্রশংসিত নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা তথা মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

শুক্রবারের সর্বশেষ বিবৃতিতে কোন একক নির্বাচন নিয়ে তার এই প্রশ্ন নয় দাবি করে ট্রাম্প বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সব ভোট গণনা এবং নির্বাচনের সার্টিফিকেশনে পূর্ণ স্বচ্ছতা দেখার অধিকার রয়েছেন আমেরিকার জনগণের, এটা তাদের প্রাপ্য। এটি কোনো একটি নির্বাচনের বিষয় নয় বরং আমাদের পুরো নির্বাচন পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ায় ওই বিশুদ্ধতা গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান প্রেসিডেন্টশিয়াল ইলেকশন-২০২০ এর প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে, সব আইনী বা বৈধ ব্যালটকে অবশ্যই গণনা করতে হবে। একই সঙ্গে সমস্ত অবৈধ ব্যালটকে গণনার বাইরে রাখতে হবে অর্থাৎ তা গণনার টেবিলেই আনা উচিত নয়। কিন্তু মৌলিক ওই নীতির প্রশ্নে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা ডেমোক্র্যাটদের বাধার মুখোমুখি হয়েছি। ট্রাম্প তার সংক্ষিপ্ত তবে তাতপর্যপূর্ণ ওই বিবৃতিতে এ-ও বলেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারের ওপর আমেরিকার জনগণের আস্থা নিশ্চিতে প্রত্যেকের যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান আইন এবং পদ্ধতি-প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা উচিত। বিবৃতিতে ট্রাম্প ভোটারদের উদ্দেশ্য বলেন, আমি আপনাদের এবং
জাতির পক্ষে চলামান লড়াই কখনও ছাড়বো না। স্মরণ করা যায়, এই রিপোর্ট লেখা মুহুর্তে সিএনএন ও ফক্স নিউজের স্কোর বোর্ড মতে, ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের পথে জোর কদমে এগুচ্ছিলেন।

আর পপুলার ভোট ও ইলেক্টোরাল ভোটের বড় ব্যবধানে ট্রাম্প ক্রমশ পিছেয়ে পড়ছিলেন। ১৬ ঘন্টা আগে অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে ট্রাম্প নিজেকে ‘আসল জয়ী’ বলে দাবি করেছিলেন। তিনি
প্রতারিত হয়েছেন দাবি করে তখন পোস্টাল ব্যালটে ডেমোক্রেটরা ব্যাপক কারচুপি করেছে বলে অভিযোগ করছিলেন। পোস্টাল ব্যালট গণনা বন্ধ করতে কেবল বিবৃতি নয় তিনি তার পূর্ব ঘোষণা মতে, বৃহস্পতিবার কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন, কিন্তু উচ্চ আদালত তার অভিযোগ আমলেই নেননি বরং বিনা বাক্যে মামলা খারিজ করে দেন। মামলা খারিজের পর প্রচারিত শুক্রবারের সর্বশেষ বিবৃতিতে কিন্তু তিনি ‘কারচুপি’র অভিযোগ থেকে সরে এসেছেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
তারা ট্রাম্পের ওই বিবৃতিকে সেই অর্থে ‘খানিকটা সফট’ বলতে চেয়েছেন।