ক্লিনিক সিলগালা
আয়া যখন ডাক্তার !

Published: 9 November 2020

বিশেষ সংবাদদাতা : আয়া ও ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশনসহ নানা অনিয়ম অভিযোগের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের একটি ক্লিনিককে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন।

পরে সেখানে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ক্লিনিকটি সিলগালাসহ জেল ও জরিমানা করেছেন আদালত। কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে অবস্থিত পপুলার গ্যাস্ট্রো লিভার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সোমবার দুপুরে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জেন ডা. মইনুল আহসানের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ।

ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মঈনুল আহসান জানান, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আমাদের অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ক্লিনিক পরিদর্শন করি। আজকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করি। হাসপাতাল পরিচালনা ক্ষেত্রে যে সকল কাগজ পত্র সরকারি অফিসে জমা দেওয়ার কথা থাকে তারা তা দেখাতে পাড়েনি। এ ছাড়া এদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই, নেই লাইসেন্সও। রক্ত সঞ্চালন ট্রান্সমেশন এর কোনো যন্ত্র নেই।
তিনি আরো জানান, অপারেশনের সময় একজন আয়াকে আটক করা হয়েছে, সে দীর্ঘ দেড় বছর যাবৎ ডাক্তার সেজে এই হাসপাতালে অপারেশন করে যাচ্ছেন। যা দণ্ডনীয় অপরাধ। যে কোনো সময় তার দ্বারা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ জানান, হাসপাতালটির কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ও সেবা নিতে আসা জনসাধারনের সাথে প্রতারণা করার অপরাধে এর মালিক আব্দুল গফুরকে ভোক্তা অধিকার আইনে চার লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রম্যমাণ আদালত। আটককৃত আয়াকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে হাসপাতালটিও সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ভুয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।