আদালতের প্রতিবেদন
স্ত্রীর গুলিতে খুন হন সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার
বিশেষ সংবাদদাতা : নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরের সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দীর্ঘ আট বছর পর আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। দুর্গাপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বর্ন কমল সেন আদালতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার হত্যার ব্যাপারে সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন ধাপে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরবর্তীতে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে মামলার বাদী এমপির পুত্র শাহ কুতুব উদ্দিন রুয়েলের আপত্তি থাকায় তা বাতিল করা হয়। সর্বশেষ তিন বছর আগে হাইকোর্ট নেত্রকোনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত প্রতিবেন পেশ করার নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা মামলার ৪০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তদন্ত প্রতিবেদন আদালেত পেশ করতে বিলম্ব হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বর্ন কমল সেনের নির্দেশে আদালত বাদীর উপস্থিতিতে তাকে এ প্রতিবেদন পাঠ করে শোনান। তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীর কোনো আপত্তি আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে বাদী তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে জালাল উদ্দিন তালুকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা খাতুন তার (এমপির) পিস্তল দিয়ে জালাল তালুকদারকে খুন করে। মামলায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে দোষী স্যবাস্ত করে মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন
মামলার বাদী শাহ কুতুব উদ্দিন রুয়েল জানান, দীর্ঘদিন ধরে যারা এ মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট।
উল্লেখ্য, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার তিনবার নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বও দুর্গাপুর উপজেলার বাগিছাপাড়ার বাসায় নিজ শয়ন কক্ষে পিস্তলের গুলিতে খুন হয়েছিলেন।