লেবার পার্টিতে মুসলিম সদস্যদের আস্থাহীনতা বাড়ছে?
পোস্ট ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রতি মুসলিম সদস্য ও সমর্থকদের আস্থাহীনতা ক্রমাগত বাড়ছে বলে একটি জরিপ থেকে জানা যায়। জরিপে ইসলামবিদ্বেষ প্রতিরোধে দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি মুসলিম সমর্থকদের আস্থাহীনতার কথা বলা হয়।
লেবার পার্টির মুসলিম সদস্য ও সমর্থকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন লেবার মুসলিম নেটওয়ার্ক (এলএমএন) গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ৪২২ জন মুসলিম সদস্য ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি জরিপ চালায়। দলটির মধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে ইসলামবিদ্বেষ প্রসার হওয়ার অভিযোগ উঠছে। অজ্ঞতা ও বর্ণবাদ থেকে তা বিস্তার লাভ করছে বলে মনে করা হয়।
এলএমএনের পরিচালিত একটি জরিপে বলা হয়, শতকরা ৫৫ ভাগ মুসলিম সদস্য জানিয়েছেন যে ইসলামবিদ্বেষ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁরা নেতাদের প্রতি আস্থাবান নন।
জরিপে আরো বলা হয়, শতকরা ৫৯ ভাগ দলের বাইরের সমর্থক মনে করেন, নেতারা তাঁদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব করেন না। তা ছাড়া এক-তৃতীয়াংশ মুসলিম দলটিতে ইসলামফোবিয়ার শিকার হয়েছেন বলে জানা যায়।।
লেবার পার্টির শতকরা ৪৮ ভাগ মুসলিম সদস্য বলেন যে অভিযোগের কার্যকর মীমাংসায় দলের সামর্থ্য নিয়ে তাঁরা আস্থাবান নন। এ ছাড়া ৪৪ শতাংশ মনে করেন যে সক্রিয়ভাবে ইসলামবিদ্বেষ দমন করতে দলটি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
লেবার পার্টির এমপি আফজাল খান প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, ‘ইসলামবিদ্বেষ প্র্রতিরোধে আমাদেরকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যুগ যুগ ধরে মুসলিম কমিউনিটির একচ্ছত্র সমর্থন পেয়ে আসছে লেবার পার্টি। আমরা এখন সুনিশ্চিতভাবে তাদের সমর্থন আদায় করতে পারব না।’
লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার ও উপনেতা অ্যাঞ্জেলা রেনার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এমএলএন-কে গুরুত্ব জরিপের জন্য ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি আমাদের মুসলিম সদস্যদের সক্রিয় প্রতিনিধিত্ব ও অধিকার নিশ্চিত করতে তাঁরা কাজ করছেন।’
স্টারমার আরো বলেন, ‘আমাদের দল বা সমাজে ইসলামভীতির কোনো স্থান নেই। আমরা তা প্রতিরোধে সক্রিয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এলএমএনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’
২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশ লেবার পার্টিকে সমর্থন দিয়েছে। অপরদিকে ১১ শতাংশ ডানপন্থী দলকে সমর্থনে ভোট প্রদান করে। সম্প্রতি লেবার পার্টির বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তোলা হয়। এ কারণে বর্তমান দলনেতা স্যার কেয়ার স্টারমার দলের সাবেক নেতা জ্যারেমি করবিনকে দল থেকে অব্যাহতি দেন।