সিলেটের আংশিক এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে পারে
সিলেট অফিস : সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে দিন রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগের দুই শতাধিক প্রকৌশলী।
তারা আজ বিকেলের মধ্যে সিলেটের আংশিক অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবেন বলে বাংলা পোস্টের কাছে আশা প্রকাশ করেছেন। তবে পুরো সিস্টেম চালু করতে তাদের কিছুটা সময় লাগবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটিও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি নানা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সিলেট মহানগরীর আড়াই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় আছেন বলে জানিয়েছেন পিডিবির প্রকৌশলী ফজলুল করিম।
গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের কুমারগাঁও উপকেন্দ্রের পাওয়ার ট্রান্সফরমার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায়। এরপর থেকে প্রকৌশলীরা তা মেরামতে বিরামহীন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উর্ধতন প্রকৌশলীসহ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রায় ২০০ কর্মী এই কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
বুধবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পিডিবির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা আশাবাদ ব্যক্ত করে জানিয়েছেন, আজ বিকেলের দিকে ডিভিশন ১ ও ২-এর আওতাধীন নগরীর এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।
ডিভিশন ১ ও ২-এর আওতাধীন নগরীর এলাকাগুলো হচ্ছে, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আলিয়া মাদরাসা, স্টেডিয়াম, আম্বরখনা, ওসমানী মেডিকেল, তালতলা, বন্দবাজার একাংশ, শাহজালাল উপশহর, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, রায়নগর, এসমসি কলেজ এলাকা, মির্জাজাঙ্গাল, লামাবাজার, শাহী ঈদগাহ, হাউজিং এস্টেট, মহাজনপিট্ট, মুরাদপুর, আখালিয়া, মদিনা মার্কেট, বাগবাড়ি ইত্যাদি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বিকেলের দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তবে বাকি এলাকায় কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, পুড়ে যাওয়ায় অন্য একটি ট্রান্সফরমার গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ট্রাকে করে পাঠানো হচ্ছে। সেটি স্থাপন করার পরই পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।