পপতারকা ইস্যুতে উগান্ডায় বিক্ষোভ, নিহত ৩৭
পোস্ট ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় টানা তিনদিনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন অনেকে।
পপতারকা থেকে রাজনীতিবিদ বনাম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ববি ওয়াইনকে গ্রেফতারের পর তার সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। ববিকে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকরা রাস্তা বন্ধ করে টায়ারে আগুন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ পর্যন্ত ৫৭৭ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, পুলিশ উগান্ডার জিনজা শহরের লুকা থেকে ববি ওয়াইনকে গ্রেফতার করে। তার গ্রেফতারের পর ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশও সহিংস আচরণ করে।
বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়নের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ আনা হবে বলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পরিস্থিতি সম্পর্কে উগান্ডা রেডক্রসের মুখপাত্র আইরিন নাকাসিতা বলেন, সেখানে ভয়ের দৃশ্য দেখা গেছে।
অন্যদিকে কামপালা শহরের বাণিজ্য সংগঠনের চেয়ারম্যান ইভারেস্ট কিয়াঙ্গো বলেছেন, ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে শহরে। রাস্তাগুলো জনশূন্য হয়ে পড়েছে, আমরা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি।’
এছাড়া বিভিন্ন অধিকার কর্মীরা জানাচ্ছেন, মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। পরবর্তী সময় কী হয় তা নিয়ে মানুষ নিশ্চিত হতে পারছেন না।
আফ্রিকার শান্ত দেশ উগান্ডায় চলমান সহিংসতার শুরু হয় গায়ক থেকে রাজনীতিব বনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়া ববি ওয়াইনের একটি টুইটের পর।
তিনি টুইটে বলেন, সহিংসভাবে পুলিশ তার গাড়ি ভেঙে তাকে হেফাজতে নিয়ে গেছে। আরেক টুইটে তিনি বলেন, স্বাধীনতার মূল্য অনেক বেশি। তবে আমাদের অবশ্যই সেটি অর্জন করতে হবে।
অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, ববি ওয়াইনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কোভিড-১৯ মহামারী সংক্রান্ত গাইডলাইন ভাঙার অভিযোগে। গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের অবশ্যই ২০০ জনের কম মানুষের জমায়েত করতে হবে।
জনপ্রিয় সঙ্গীত তারকা ববি ওয়াইনের পরিবারের পাশাপাশি তার সমর্থকরাও গ্রেফতার নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ, তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে জানানো হয়নি এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা করার আবেদনও মঞ্জুর করা হয়নি।
এছাড়া তার সমর্থকদের গ্রেফতারও পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলেছে।