বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ তিন দিনেও আসেনি, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
জুড়ী প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি হত্যার তিন দিনেও লাশ ফেরত আসেনি ।নিহতের পরিবার লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি বটুলী ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ করছে।
সোমবার (২২ মার্চ) দুপুর ১ টায় নিহত বাপ্পার লাশ ফেরতের দাবিতে এলাকাবাসী ফুলতলার বটুলি বিজিবি ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের সময় এলাকাবাসীর পাশাপাশি নিহত বাপ্পির বাবা সহ পরিবারের সকলেই উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ বলেন, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ চলাকালে বিজিবি ৫২ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক কর্নেল শাহ আলম আমাকে ফোন দিয়ে বলেন উনি ঘটনাস্থলে আসছেন এবং লাশ ভারত থেকে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
নিহত যুবক বাপ্পার বাবা আবদুল রউফ প্রতিবেদককে বলেন, আমি আমার ছেলের লাশ পঁচা হলেও ফেরত চাই। এ বিষয়ে বিজিবির কাছে আবেদন করলে তারা আমার আবেদনটি গ্রহণ করেননি।আমি আপনাদের মাধ্যমে বিজিবির কাছে অনুরোধ করছি অনতিবিলম্বে আমার ছেলের লাশ যেন ফেরত আনা হয়।
সোমবার ২ টায় ভারত সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে লাশ ফেরত নিতে বিজিবিকে চিঠি দেন বিএসএফ। তখন বিজিবি লাশ নেওয়ার বিষয়টি পরে বিএসএফ কে জানাবেন বলে পতাকা বৈঠকের সমাপ্তি করে চলে আসেন।
ঐ বৈঠকে উপস্থিত থাকা ভারতের কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার জানান, বিজিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবি কে লাশ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। বিজিবি লাশ নেওয়ার ব্যাপারে পরে জানাবেন বলে বৈঠকে বলেন।তিনি আরোও বলেন লাশ ফেরত দেওয়ার জন্য আমরা বর্তমানে বর্ডারে অবস্থান করছি। বিজিবি সাড়া পেলেই আমরা লাশ হস্তান্তর করব।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে বিজিবির-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সুবেদার দেলোয়ার হোসেন কে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য শনিবার (২০ মার্চ) ভোরের দিকে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী এলাকায় বাংলাদেশি পিলার ১৮২২ এর বিপরীত পাশে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার অভ্যন্তরে ওই যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়।নিহত যুবকের নাম আব্দুল মুমিন বাপ্পা মিয়া ।তিনি উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটলী গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।