অসুস্থদের রোজার প্রস্তুতি
।। অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।।
রমজান মাস শুরু হতে বেশি সময় বাকি নেই। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের রোগীরা তাদের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রোজা রাখতে পারেন। এতে সম্ভাব্য জটিলতাও এড়ানো সম্ভব।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস থাকলে অনেকেই রোজা রাখতে ভয় পান। এতে ভয়ের কিছু নেই। তবে ভয়টা অমূলকও নয়। কারণ খাদ্যের ব্যাপারে তাদের ক্ষেত্রে উপদেশ হলো, সময়মতো এবং প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর খাবার খাবেন। যারা ইনসুলিন নেন, তাদের খাবারের আগে অর্থাৎ ১৫-২০ মিনিট আগে ইনসুলিন নিতে বলা হয়। এ জন্য রোজার সময় তারা বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
যদি বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে রোজা রাখলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। বিশেষ সতর্কতা আর নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চললে বেশিরভাগ ডায়াবেটিক রোগীই রোজা রাখতে পারেন। এ জন্য করণীয় হলো-
* প্রথমেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন।
* কেননা অন্য সময়ের তুলনায় সাধারণত এ সময় মুখে খাওয়ার ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ কিছুটা কমিয়ে আনতে হয়। তিনবারের ওষুধ একবার বা দু’বারে এনে সমন্বয় করতে হবে। এ কাজ নিজে নিজে না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* এখন থেকেই সকাল বা দুপুরের ওষুধ রাতে এবং রাতের ওষুধ সেহরির সময় খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন। অর্থাৎ যারা মুখে খাওয়ার ওষুধ খান, তারা সকালের ডোজটি ইফতারের শুরুতে এবং রাতের ডোজটি অর্ধেক পরিমাণে সেহরির আধা ঘণ্টা আগে খাবেন।
* যারা দিনে একবেলা ওষুধ খান, তারা ইফতারের আগে একটু কম করে খাবেন।
* ইনসুলিনের ক্ষেত্রেও সকালের ডোজটি ইফতারের আগে, রাতের ডোজটি কিছুটা কমিয়ে সেহরির আধা ঘণ্টা আগে সমন্বয় করে নেবেন। কতটা কমাবেন, তা চিকিৎসক বলে দেবেন।
* দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে এ রকম কিছু ইনসুলিন এখন পাওয়া যায়। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব ইনসুলিন দিনে একবার নিতে পারেন। এসবে হঠাৎ সুগার কমে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।