ভারতের কোভিড রোগিদের নতুন আতঙ্ক হোয়াইট ফাঙ্গাস

Published: 1 June 2021

পোস্ট ডেস্ক :


ভারতে যখন কোভিড মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে তখন হঠাত করেই বাড়তে শুরু করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। বিরল তবে বিপজ্জনক এই রোগে দেশটিতে প্রাণ হারান ২ শতাধিক মানুষ। আক্রান্ত হন প্রায় ১২ হাজার। কিন্তু এখন চিকিৎসকরা হোয়াইট ফাঙ্গাসের আক্রমণের কথা জানাচ্ছেন যা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থেকেও ভয়াবহ। করোনার কারণে আইসিইউতে ভর্তি হতে হলে সাধারণত এর ১০ দিনের মাথায় এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে।

বিশ্বে প্রায় ৫০ লাখ ধরণের ছত্রাক রয়েছে যার মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ দুটি ধরণ হচ্ছে ক্যান্ডিডা ও অ্যা¯পারগিলাস ছত্রাক। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর পেছনে রয়েছে এই ছত্রাকগুলো। এরমধ্যে ক্যান্ডিডা ধরণের ছত্রাক হচ্ছে হোয়াইট ফাঙ্গাসের জন্য দায়ি। ক্যান্ডিডা যে কোনো কিছুর পৃষ্ঠেই থাকতে পারে।
যেমন ক¤িপউটার স্ক্রিন, স্টেথোস্কোপ কিংবা রেলের বগি। ফাঙ্গাসের আক্রমণের পর শরীরে যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার কোভিডের সঙ্গে মিল রয়েছে। যেমন জ্বর, কাশি ও শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। অতিমাত্রায় ক্যান্ডিডা ছত্রাকের আক্রমণের কারণে নাক, মুখ, শ্বাসযন্ত্র, পেট ও নখে সাদা রঙ্গের ঘা দেখা যায়। এই জীবানু যখন রক্তে পৌঁছে যায় তখন রক্ত চাপ কমে যাওয়া, জ্বর, ব্যাথা ও মূত্রনালীর সংক্রমণ দেখা যায়।

কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ৫ শতাংশ রোগি ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে পরে। তাদের জন্য আইসিউতে চিকিৎসা প্রদান প্রয়োজন হয়। অনেককেই দীর্ঘ সময় আইসিইউতে থাকতে হয়। তারাই মূলত ছত্রাকজনিত এসব রোগের বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। তাছাড়া, এসব রোগিদের প্রচুর স্টেরয়েড প্রদান করা হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ফলে ছত্রাকের আক্রমণের সুযোগ বেড়ে যায়। এটিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। চিকিৎসকরা একে ‘একটি হেরে যাওয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া’র সঙ্গে তুলনা করেন।