সুন্দর কথা বলা ঈমানের দাবী

Published: 10 June 2021

।। জাফর আহমাদ ।।


“তুমি কি দেখছো না আল্লাহ কালিমা তাইয়্যেবার উপমা দিয়েছেন কোন জিনিষের সাহায্যে ? এর উপমা হচ্ছে যেমন একটি ভালো জাতের গাছ, যার শিকড় মাটির গভীরে প্রোথিত এবং শাখা-প্রশাখা আকাশে পৌঁছে গেছে। প্রতি মহুর্তে নিজের রবের হুকুমে সে ফলদান করে। এ উপমা আল্ল¬াহ তা’আলা এ জন্য দেন যাতে লোকেরা এর সাহায্যে শিক্ষা লাভ করতে পারে। অন্যদিকে অসৎ বাক্যের উপমা হচ্ছে, একটি মন্দ গাছ, যাকে ভূপৃষ্ঠ থেকে উপড়ে দূরে নিক্ষেপ করা হয়,যার কোন স্থায়িত্ব নেই।”(সুরা ইবরাহিমঃ ২৪-২৫)
পৃথিবীর সর্বোত্তম কথা হলো কালিমাতুত তাইয়্যেবা তথা “লা-ইলাহা ইল্লল্লাহু” অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নাই”। এটি এমন একটি বাক্য যার মাধ্যমে মুসলিম মিল্লাত তাদের জীবনের ভিত রচনা করেন। যিনি কালিমা তাইয়্যেবার ভিত্তিত্বে নিজের জীবন ব্যবস্থাকে গড়ে তুলেন, তার চিন্তাধারায় পরিচ্ছন্নতা, স্বভাবে প্রশান্তি, মেজাজে ভারসাম্য, চরিত্রে পবিত্রতা, আচরণে মাধুর্যতা, ব্যবহারে নম্রতা, লেনদেনে সততা, কথাবার্তায় সত্যবাদিতা, ওয়াদা ও অংগীকারে দৃঢ়তা, সামাজিক জীবন যাপনে সদাচার, কথা-বার্তায় চিন্তার ছাপ, চেহেরায় পবিত্রতার ভাব ফুটে উঠবে। মোট কথা ব্যক্তির সামগ্রীক জীবন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক একটা পরিবর্তন সুচিত হবে। যার জীবনধারার কোথাও কোন অসঙ্গতি থাকবে না। সর্বোপুরি একজন মুমিন আল-কুরআন অনুযায়ী কথা বলবে এবং আল কুরআন অনুযায়ী কথা পরিত্যাগ করবে। আল-কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন চলার পথে কিছু জিনিষকে গ্রহণ করবে আবার কিছু জিনিষকে ত্যাগ করবে। একজন মুমিনই মুত্তাকী, একজন মুত্তাকীই মুমিন। আর এ মুমিন ও মুত্তাকীর জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে অমূল্য উপহার হচ্ছে আল-কুরআন। আল্লাহ তা’আলা বললেন:- ” আলিফ-লাম-মিম। (এই নাও) সেই কিতাব (আল-কুরআন) তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই, ইহা মুত্তাকী লোকদের পথ দেখাবে।”(সুরা বাকারা-১-২) আল কুরআন তাকওয়ার গুণ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মুমিন লোকদের ভালো-মন্দের পার্থক্য নিরূপণের জন্য এবং অন্ধকারে নিশ্চিন্তে পথ চলার শক্তি ও আলো যোগাবে। কুরআন বলবে কোনটি জান্নাতের পথ, আর কোনটি জাহান্নামের পথ। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ ”আর এ কুরআন হচ্ছে মানব জাতির জন্য পথের দিশা। মানুষের জন্য (হক বাতিলের) পার্থক্যকারী।”(সুরা-বাকারা-১৮৫)
একজন মুমিন এমন কথা বলা উচিত নয়, যা একটি মারাত্মক বোমার চেয়েও ক্ষতিকর। একটি বোমা নির্দিষ্ট কিছু লোকের জান-মালের ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু একটি খারাপ কথা সমাজ ভাঙ্গনের কার্যকরী হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে থাকে। সমাজকে বিভিষিকাময় পরিস্থিতির মুখোমুখী করে। সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধের স্থান দখল করে নেয় হিংসা-হানাহানি, বিদ্বেষ আর অহংবোধ। আর এর ফলে মানুষ চরম দুঃখ-দূর্দশার সম্মুখীন হয়। অথচ একজন মুমিন কখনো অন্য একজন মু’মিনকে কষ্ট দিতে পারে না। সে কথাটি যদি আবার সঠিক না হয়, কিংবা সেটি লক্ষ লক্ষ মানুষের মনোকষ্টের কারণ হয়, তাহলে ব্যাপারটি আরো মারাত্মক। কারন আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “মু’মিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই। অতএব তোমাদের ভাইদের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করে দাও। আল্ল¬াহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমাদের প্রতি মেহেরবাণী করা হবে।”(সুরা হুজরাত ঃ ১০) “ মানুষ খারাপ কথা বলে বেড়াক, তা আল্ল¬াহ তা’আলা পছন্দ করেন না। তবে কারো জুলুম করা হলে তার কথা স্বতন্ত্র। আর আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও জানেন।”(সুরা নিসা ঃ ১৪৮)
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ “প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপর মুসলমানের জান, মাল ও ইজ্জত হারাম।”(মুসলিম ও তিরমিযি) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ “এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করে না, তাকে সহযোগীতা করা পরিত্যাগ করে না এবং তাকে লাঞ্ছিত ও হেয় করে না। কোন ব্যক্তির জন্য তার কোন মুসলমান ভাইকে হেয় ও ক্ষুদ্র জ্ঞান করার মত অপকর্ম আর নাই।”(মুসনাদে আহমাদ) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ“মুসলিম সে, যার মুখ ও হাত থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে।”(সহিহ বুখারী)
এছাড়াও কুরআনের বহু আয়াত ও হাদীসে মন্দ কথা উচ্চারণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে যারা আল্ল¬াহ ও রাসুলের প্রতি ঈমান রাখেন, মন্দ কথা থেকে বিরত থাকা তাদের ঈমানী দায়িত্ব। কারণ কালিমা তাইয়েরা পৃথিবীর সর্বোত্তম কথা। এ কালিমাটি যিনি মনে প্রানে বিশ্বাস করেন, তার চরিত্রে একদিকে ভালো কথা, ভালো চিন্তা ও আচরণ, অন্য দিকে মন্দ কথা, মন্দ চিন্তা বা আচরণ একই সাথে সমান্তরাল বিরাজ করতে পারে না।
পৃথিবীর সর্বোত্তম কথা হলো, কালিমা তাইয়্যেবা তথা তাওহীদে বা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস। সে কথাটি হলো “আল্ল¬াহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই।” এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস থেকে ভ্রার্তৃত্বের মূল্যবোধ উদ্ভূত। প্রত্যেকেই এক আল্লাহতে বিশ্বাসী এবং প্রত্যেকেই এক আদমের (আঃ) বংশদ্ভূত, কাজেই ভ্রার্তৃত্ব, পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও সৌহার্দ ঈমানেরই অংগ। ঈমানের এই ঐক্য মানুষের পার্থিব সকল কার্যকলাপকে সুসংহত করে। যেহেতু আমরা একই মনিবের গোলাম, তাই আমাদের একে অপর থেকে বিশেষ মর্যাদা পেতে পারে না। তবে হাঁ, যারা সেই মনিবকে বেশী ভয় করে সে অবশ্যই বেশী মর্যাদা পাবার অধিকারী। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেন“ হে মানব সম্প্রদায়! আমি তোমাদেরকে একই পুরুষ একই নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং বিভিন্ন সম্প্রদায় ও বিভিন্ন গোত্র-বর্ণে বিভক্ত করেছি, যেন তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদাশীল, যে তোমাদের মধ্যে বেশী ভয় করে। আল্লাহ নিশ্চয় অতিশয় জ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ।” (সুরা হুজরাত ঃ ১৩) বিশ্বাসের এ ঐক্য মানুষের প্রতি মানুষের হিংসা,বিদ্বেষ, কটুক্তি,দুরুক্তি, তিরস্কার, বিদ্রুপ, অশালীন ও অশ্রাব্য কথা বলতে বাধার সৃষ্টি করে। কারণ মন্দ কথা হলো ‘কালিমাতুল খাবিসা’। মন্দ কথায় কোন লাভ নেই। এতে কোন উপকার নেই। আছে ক্ষতি আর ক্ষতি। এটি নিজের ব্যক্তিত্ব, সুনাম ও মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করে। মন ও চরিত্রকে করে কুলষিত। ভ্রাতৃত্ববোধ বিনষ্ট হয়। যে মন্দ কথা বলে তাকে সকলেই ঘৃণা করে। এছাড়াও মন্দ কথা সমাজে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী বিপর্যয় ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে থাকে।
মন্দ কথা ঐক্য বিনষ্ট করে। অথচ ইসলাম একতা, অখন্ডতা ও অবিভাজ্যতারূপকে অধিক পছন্দ করে। অনৈক্য ঈমানেরও পরিপন্থি। কারণ ইসলামের প্রতিটি ইবাদাতই মানুষদেরকে মন্দ কথা ও কাজ পরিহার করে ভালো কথা বলা ও চলার জন্য সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করে। দৈনন্দিনের প্রতিটি ইবাদাতই ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টিতে একেকটি বিশেষ কর্মসূচী। ইসলাম বলে ‘মানুষের প্রতি রহম তথা সহানুভূূতিশীল হও, তাহলে আকাশের মালিকও দয়া করবেন। তাওহীদ, নামায, যাকাত, রোযা ও হজ্বের প্রতি গভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে বুঝা যায় যে, প্রতিটি ইবাদাতই মানুষের সামগ্রীক জীবনকে ইসলামের ধাঁচে গঠনে সুনিপূণভাবে সাহায্য করে থাকে। মানুষকে দানশীল, উদার হৃদয়, সহানুভূতিশীল, মানব-দরদী ও পারস্পরিক কল্যাণকামী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য এর কোন বিকল্প খোঁেজ পাওয়া যাবে না।‘মানুষ মানুষের জন্য’ এ সত্যটি থেকেই ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।
পৃথিবীর প্রথম মহামানব হযরত আদম (আঃ) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত ইসলাম যে জিনিসটির প্রয়োজনীয়তাকে তীব্রাকারে উপলব্ধি করেছে সেটি হলো ঐক্য বা ‘বুনিয়ানুম মারসুস’। আর এ বুনিয়ানুম মারসুস বা ঐক্য গড়ার জন্য আল্লাহ তা’আলা মানুষকে প্রথমেই যে শিক্ষা দিয়েছেন তা হলোঃ সুন্দরভাষায় ও ভালো কথার মাধ্যমে মানুষকে ডাকো। সকল আম্বিয়ায়ে কেরাম তাদের মিশণকে এগিয়ে নেয়ার সিংহভাগ কৃতিত্বের দাবীদার ছিল ‘তাঁদের সুন্দর আচরণ, যাকে আল কুরআন ‘শুয়াদা আ’লান নাস’ বা বাস্তব সাক্ষ্য হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। ইসলামে ভালো কথা ও আচরনের গুবুত্ব কতটুকু তা নিম্নলিখিত আযাতগুলো থেকে অনুমেয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আমি দাউদের রাষ্ট্র ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করে দিয়েছিলাম এবং তাকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা আর সর্বোত্তম বাগ্নিতার শক্তি বা অকাট্য কথা বলার যোগ্যতা।”(সুরা সোয়াদ:২০) হযরত মুসা ও হারুন (আঃ) ফিরাউনের কাছে প্রেরণের প্রাক্কালে আল্লাহ তা’আলা বলেন: “তোমরা দু’জন যাও ফেরাউনের কাছে, সে বিদ্রোহী হয়ে গেছে। আর তার সাথে কোমলভাবে কথা বলবে, যাতে করে সে উপদেশ গ্রহণ করে, কিংবা ভীত হয়ে যায়।”(সুরা ত্বাহা:৪৩-৪৪)
শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তা’আলা বলেন: “হে মুহাম্মদ, আমার বান্দাদেরকে বলো, তারা যেন মুখ হতে সে সব কথাই বের করে যা অতি উত্তম। আসলে শয়তানই মানুষের মধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করে থাকে। প্রকৃত কথা হলো, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।”(সুরা বনী ইসরাঈল ঃ ৫৩) আল্লাহ তা’আলা বলেন: “এটা আল্ল¬াহ তা’আলারই দয়া যে, তুমি তাদের প্রতি ছিলে কোমল প্রকৃতির। তা না হয়ে যদি তুমি তাদের প্রতি কঠোর হতে, তাহলে তারা তোমার নিকট থেকে সরে যেত।”(সুরা আল ইমরান:১৫৯) “তোমার রবের পথে হিকমত ও সুন্দর ভাষায় আহবান করো।”(সুরা নাহলঃ১২৫) :“যারা তোমার অনুসরণ করে সে সকল বিশ্বাসীদের প্রতি বিনয়ী হও।”(সুরা শুয়ারা ঃ ২১৫) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ম’ুমেনদের সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন:“তখন আল্লাহ তাঁর রাসুল ও মুমেনদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদের জন্যে ন্যায় ও বিবেকসম্মত বা তাক্ওয়ার কথা বলা কর্তব্য করে দিলেন, আর তারাই এ ধরনের কথা বলার অধিক উপযুক্ত।” (সুরা ফাতাহ:২৬)
সুন্দর করে কথা বলা মানুষের শ্রেষ্ট একটি গুণ। আর এটি আল্লাহর এক বিশেষ দান। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,“তোমার ভাইয়ের সাথে হাসি মুখে কথা বলা একটি দান।” সুতরাং সুন্দর ও ভালো কথা বলুন। সুন্দর ও ভালো কথা ঐক্যকে সুদৃঢ় করে। ঈমান আনার পরই মুমিনদেরকে সংঘবদ্ধ হওয়ার জন্য বিশেষভাবে তাগিদ প্রদান করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাকে করা হয়েছে হারাম। ঐক্যের ব্যাপারে আল্লাহর নিদের্শ হচ্ছেঃ “তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে সকলে দলবদ্ধ বা জামায়াতবদ্ধ বা ঐক্যবদ্ধভাবে শক্ত করে ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা।”(সুরা আল ইমরান ঃ ১০৩) তাছাড়া এ আয়াতের শেষের দিকে ইসলাম নামক নিয়ামতের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ব হওয়ার জন্য আল্লাহ নিশ্চিত ধ্বংসের কবল থেকে উদ্ধারের কথা বলেছেনঃ “ আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরে শুত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তার অনুগ্রহ ও মেহেরবানীতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। (তোমাদের অবস্থা এমনটি হয়েছিল যে,) তোমরা একটি অগ্নিকুন্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়েছেন। এ ভাবে আল্ল¬াহ তাঁর নিদর্শনসমুহ তোমাদের সামনে সুষ্পষ্ট করে তুলেন। হয়ত এ নিদর্শনগুলোর মাধ্যমে তোমরা নিজেদের কল্যাণের সোজা পথ দেখতে পাবে।”(সুরা আলে ইমরান ঃ ১০৩) এ আয়াতের আলোকে যারা ঐক্যকে বিনষ্ট করার নিমিত্থে বিচ্ছিন্নতার কথা বলে বেড়ায় এবং বিশৃংখলা সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন দল, উপদলে বিভক্ত হয়, তারা অবশ্যই অনৈসলামিক কাজ করছেন। এর ফলে সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। আর বিপর্যয় সৃষ্টি করা শয়তানের কাজ। আল্লাহ তা’আলা বলেন: “হে মুহাম্মদ, আমার বান্দাদেরকে বলো, তারা যেন মুখ হতে সে সব কথাই বের করে যা অতি উত্তম। আসলে শয়তানই মানুষের মধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করে থাকে। প্রকৃত কথা হলো, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।”(সুরা বনী ইসরাঈল ঃ ৫৩) সুতরাং কুরআন পড়ুন নিজেদের জ্ঞানের ভীতকে মজবুত করুন।