‘ইসলাম ইউরোপের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অংশ’
পোস্ট ডেস্ক :
ইসলাম ইউরোপের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অন্যতম অংশ ও বাইরের কিছু নয় বলে জানিয়েছেন পর্তুগালের সাবেক ইউরোপীয় মন্ত্রী ব্রুনো ম্যাকেস। গত ১৮-২০ জুন আন্টালয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামের এক অনুষ্ঠানে তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে পর্তুগিজ সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী একথা বলেছেন।
ম্যাকস তাঁর বক্তব্যে জানান, ‘ইসলামের সঙ্গে কেবল সুসম্পর্ক বজায় রাখলে হবে না, বরং আমাদের বুঝতে হবে যে ইসলাম ইউরোপের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বলকান অঞ্চল, স্পেন ও ইউরোপের অন্যান্য জনসংখ্যাবহুল অঞ্চলগুলোতে ইসলাম একটি অংশ।’
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে পর্তুগালে ইউরেপীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ম্যাকস বলেন, ‘এটা কোনো বিদেশি ধর্ম নয়। এটি আমাদেরেই একটি অংশ। ইউরোপে বৈচিত্র ও জীবনীশক্তি সম্পন্ন তৈরিতে তা ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে, যা আমাদের খুবই জরুরি। ইসলাম ইউরোপের সবচেয়ে দ্রুততর ছড়িয়ে পড়া একটি ধর্ম যা অস্টম শতাব্দি থেকে এই মহাদেশে বিস্তার লাভ করছে। মুসলিমরা মূলত স্পেনে উন্নত সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা পরবর্তীতে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে সম্প্রসারিত হয়।’
ইউরোপের অনেক অঞ্চলে গণহত্যা, বহিষ্কার ও মুসলিমদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু স্থাপত্যরীতি, খাদ্য, সংগীত, ভাষা ও সংস্কৃতিসহ জীবনের নানা অংশে তাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির উপাদান এখনও বিদ্যমান রয়েছে বলে জানান তিনি।