অটোরিক্সা অটোভ্যান বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

Published: 24 June 2021

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :


ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, অটোভ্যান বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে অবিলম্বে সকল ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার নাম্বার প্লেইট প্রদান সহ ৭ দফা-দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সকাল ১১টায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা মালিক শ্রমিক ও বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন হবিগঞ্জ জেলার শ্রমিক শ্রমিক আন্দোলন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে উক্ত দাবিতে আর.ডি.হল প্রাঙ্গনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও সমাবেশ শেষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক আন্দোলন পরিচালনা কমিটি হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারন সম্পাদক আব্দুল জব্বারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারন সম্পাদক সিনিয়র শ্রমিক নেতা ধনু মিয়া, কমিটির সহ-সভাপতি সঞ্জিব আলী, সামছুর রহমান, বারিক মিয়া, প্রচার সম্পাদক ছালেক মিয়া পদ্দারবাড়ি অঞ্চলের সভাপতি আবর আলী, আলম বাজার অঞ্চলের সভাপতি জাহির মিয়া, বালিখাল অঞ্চলের সভাপতি মধু মিয়া, বালিখাল বড়ইউড়ি অঞ্চলের সভাপতি তৌহিদ মিয়া, পইল অঞ্চলে সভাপতি আনোয়ার আলী, খাগাউড়া অঞ্চলের সভাপতি মকবুল হোসেন, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বহুলা অঞ্চলের কৃষক নেতা জাফর আলী সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি শাহ আশিকুর রহমান, অটো রিক্সা যাত্রী কল্যান পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ আজহারুল হক বাকু, জেলা কমিটির নেতা আব্দুল গনি, আব্দুল আলী, মারফর আলী, আব্দুল মজিদ, বিলাল মিয়া, মাসুলিয়া অঞ্চলের সোহেল মিয়া, কামড়াপুর অঞ্চলের টেনু মিয়া, জসীম উদ্দিন, আবুল কাশেম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তাগন বলেন, জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে পায়ে চালিত রিক্সার স্থলে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা এসেছে। এ রিক্সা অমানবিক পরিশ্রম থেকে শ্রমিকদেরকে মুক্তি দিয়েছে। এমনকি ৭০/৮০ বছরের অসহায়, বৃদ্ধও এ রিক্সা চালাতে পারে। এ রিক্সা ২/৩ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচে সারাদিন চলতে পারে। সহজ ও স্বল্প খরচের কারণে সারাদেশে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকা এই অটোরিক্সার উপর নির্ভরশীল। অনেক শ্রমজীবী মানুষ ধার করে বা এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এ রিক্সা ক্রয় করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ অযৌক্তিক নির্দেশনার কারণে সারাদেশের শ্রমজীবী মানুষ হতাশ ও অশ্রুসিক্ত। সড়ক দূর্ঘটনার অযুহাতে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা বন্ধ করা চলবে না। বাস, ট্রাক, লঞ্চ সকল পরিবহনেই কমবেশি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। তার কারণ দূর না করে বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়। বক্তাগণ আরো বলেন, অটোরিক্সায় যদি প্রযুক্তিগত যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা থেকে থাকে তাহলে তা নিয়ে গবেষণা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে, বাংলাদশে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষনা করে জানিয়েছে, ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সাকে যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা দুর করে ঝুকিমুক্ত যাত্রীবাহী পরিবহন হিসাবে ব্যবস্থা করা যাবে।

এছাড়া স্বল্প আয়ের সাধারণ যাত্রীরা স্বল্প খরচে অটোরিক্সায় যাতায়াত করতে পারে। তাই লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষের রুটিরুজির একমাত্র অবলম্বন অটোরিক্সা বন্ধের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় শ্রমজীবী অটোরিক্সা শ্রমিক ও অটোরিক্সা যাত্রী সাধারণ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।