যে বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করতে হবে

Published: 15 July 2021

পোস্ট ডেস্ক :


যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করা যাবে : কোরবানি বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট প্রকৃতির পশু হতে হবে। পবিত্র কোরআনের চতুষ্পদ জন্তুর কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি সব জাতির জন্য কুরবানির বিধান রেখেছি, যেন আমি তাদের জীবনোকরণ হিসেবে যে চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছি তাতে (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম স্মরণ করে। (সুরা হজ, আয়াত : ৩৪)

তিন ধরনের চতুষ্পদ জন্তু দিয়ে কোরবানি করা যাবে। এক. ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। দুই. গরু, মহিষ। তিন. উট। এসব জন্তু দিয়ে কোরবানি করা যাবে।

কোরবানির পশুর বয়সসীমা : কোরবানির জন্য গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে। উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। ছাগল ও ভেড়ার বয়স এক বছর হতে হবে। নাফে (রহ.) বর্ণনা করেছেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) কোরবানি, হজ ও ওমরার পশুর ক্ষেত্রে উটের বয়স পাঁচ বছর, গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর এবং ছাগল, দুম্বা ও ভেড়ার ক্ষেত্রে এক বছর বয়স হওয়ার কথা বলতেন।’ (মুআত্তা মালেক, হাদিস নং : ৭৫৪)

ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার বয়সে ছাড় : ছাগল ও ভেড়া এক বছর পরিপূর্ণ না হয়ে বছরের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত হয় এবং দেখতে এক বছরের বাচ্চার মতো মনে হয় তাহলে এ ধরনের দুম্বা ও ভেড়া দিয়ে কুরবানী জায়েয হবে। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা কোরবানির ছাগলের ক্ষেত্রে এক বছর বয়স হওয়া ছাড়া জবাই করবে না। তবে সংকটের অবস্থায় ছয় মাস বয়সী ভেড়া-ছাগল জবাই করতে পারবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ৩৬৩১)

কুলাইব (রহ.) বর্ণনা করেছেন, আমরা মুজাশি নামের একজন সাহাবির সঙ্গে ছিলাম। তিনি সুলাইম গোত্রের লোক ছিলেন। ওই সময় ছাগল-ভেড়ার সংকট দেখা দেয়। তখন তিনি একজনকে এই ঘোষণা দিতে বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই ছয় মাস বয়সের দুম্বা এক বছর বয়সের দুম্বার স্থলাভিষিক্ত হতে পারে। (আবু দাউদ, হাদিস নং : ২৪১৭)

সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি : গরু, মহিষ ও উটের ক্ষেত্রে একটি জন্তু দিয়ে সর্বোচ্চ সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যাবে। জাবির (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে হুদায়বিয়া চুক্তির বছর একটি উট ও একটি গরু দিয়ে সাতজন কোরবানি করেছি ‘ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ২৩২২, ৩০৪৮)

সমানভাগে পশুর গোশত বণ্টন : অংশীদারের কোরবানির ক্ষেত্রে শর্ত হলো, প্রত্যেক অংশীদারের মধ্যে সমানভাবে কোরবানির গোশত বণ্টন করা হবে। এতে সামান্যতম কম-বেশি হলে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। এছাড়াও প্রত্যেক অংশীদারকে কোরবানি অথব আকিকার নিয়ত করতে হবে। কোনো একজন কোরবানির নিয়্যত না করলে কারো কোরবানি বিশুদ্ধ হবে না।