বৃদ্ধা আয়েশার খোঁজ রাখেনা কেউ

Published: 23 August 2021

মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি :


বৃদ্ধা আয়েশা বেগম । বয়স প্রায় (৭৫)। বাড়ি মাধবপুর উপজেলার বানেশ^র গ্রামে। স্বামী আলতাফ আলী মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর আগে। এস এস সি পাশ করা একমাত্র ছেলে নাসির মিয়া প্রায় ১০ বছর ধরে নিখোজ। নিখোজ ছেলে ফিরে আসবে এখনও মা পথ চেয়ে বসে আছে। হোসনা খাতুন নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে তাকে নিয়ে এখন জীবন যুদ্ধ চলছে। বাড়ি ঘর বলতে কিছুই নেই। নেই কোন নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্র। এই জটিলতায় পাচ্ছে না কোন সরকারি ভাতা।

 

বৃদ্ধা আয়েশা বলেন, দুমুঠো খাবারের সন্ধানে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করে চলে আমার জীবন্। এখন আমার খোঁজ রাখেনা কেউ। লোক মারফত শুনেছি বঙ্গবন্ধুর কন্যা মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের অসহায় বিধবা ও বয়স্কদের ভাতা দিচ্ছেন। তাহলে আমার কপালে জোটেনি কেন? মাধবপুর পৌর কাউন্সিলর শেখ জহিরের বাড়িতে আশ্রায় নিয়ে শহরে ভিক্ষা করে জীবন চলে আয়েশার।

 

মাধবপুর পৌর কাউন্সিলর শেখ জহিরুল ইসলাম বলেন, এই বৃদ্ধা মহিলা খুবই অসহায়। প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে আরো বিপদগ্রস্থ। ছেলে হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে আয়েশা বেগম মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। আগে মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। এখন বয়সের ভারে নইয়ে পড়ায় কোন বাসা বাড়িতে কাজ করতে পারে না। বাধ্য হয়ে এখন ভিক্ষা ভিত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করে। করোনার মধ্যে লকডাউন থাকায় তার জীবন আরো দুর্বিসহ হয়ে পড়ে।

 

মাধবপুর পৌরসভা থেকে আয়েশা ও তার মেয়ের জন্ম নিবন্ধন করা হবে। মাধবপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন, আয়েশার অবস্থা খুবই করুন তা আমারা জেনেছি। তার জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ড করে দেওয়ার জন্য পৌর কাউন্সিলর ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। ভোটার আইডি কার্ড পেলেই সমাজসেবার পক্ষ থেকে সরকারি সহযোগীতা করা হবে। যাতে তিনি স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারেন।