৪৮ ঘন্টার নোটিশে পূর্ব লন্ডনের “ক্লেয়ার হাউস” ছাড়ল ১২০টি পরিবার
পোস্ট ডেস্ক :
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের বো এলাকার ই-৩ রোমান রোড পাশে বহুতল আবাসিক ভবন ‘ক্লেয়ার হাউস’ এর সকল বাসিন্দাকে মাত্র তিন দিনের কম সময়ের নোটিশে বাসা ছাড়তে বলা হয়েছে। এখানে ১২০টিপরিবার বসবাস করছিলেন। এর মধ্যে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশী পরিবার রয়েছেন। ভবন কর্তৃপক্ষ বলছে ভবনটি ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে সেই সাথে সেইফটি ইস্যু আছে। তাই সবাইকে আসবাবপত্র ছাড়া শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাসা ছেড়ে যেতে বলা হচ্ছে।
বাসা ছেড়ে দিয়ে সুবিধা মতো দ্রুত আরেকটি বাসা পেয়ে যাওয়া এতোটা সহজ নয়। ফলে এই ভবনের বাসিন্দাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। নিরুপায় বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদুত্তর চান। ক্ল্যারিয়ন নামের একটি কোম্পানি এই ভবনের মালিক। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবনের ফায়ার সেইফটি রিপোর্ট পেয়ে তারা বাসিন্দাদের ভবন ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন।
ভবনের বাসিন্দাদের আপাতত টেম্পোরারি এবং পরে পার্মানেন্ট একোমোডেশন পেতে ক্লেয়ার হাউসের বাসিন্দাদের কোন রকম ইনফরমেশন নেই। কোথায় যাবেন এর কোন সদুত্তর কর্তৃপক্ষের নিকট নেই। জিনিস পত্র ছাড়াই অনিশ্চিত পথে যেতে হচ্ছে ভবণের বাসিন্দাদের।
বাসিন্দারা মনে করেন ক্ল্যারিয়ন কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কথা জানতো, কিন্তু তাদেরকে তা আগে না জানিয়ে খুবই কম সময়ের নোটিশে বের করে দিচ্ছে।
ক্লেয়ার হাউসের বাসিন্দাদের সামনে এখন কোনো বিকল্প নেই। হয়তো তাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে থাকতে চাইলে ও প্রশাসন থাকতে দিচ্ছেনা। এমন কোনো এলাকায় তাদের যেতে হবে, যা তাদেরও জানা নেই। এমনই অনিশ্চয়তায় ভবনের শতশত মানুষ। স্বল্প নোটিশে বের হয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে তারা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
অনেক বাংলাদেশী পরিবারের সন্তানরা এই এলাকার প্রাইমারী এবং সেকেন্ডারি স্কুলে লেখাপড়া করছেন। এখন কোথায় যাবেন। সন্তানদের ভবিষৎ ভেবে অনেক পরিবার বাকরুদ্ধ।
আবার অনেক পরিবার মনে করেন বিল্ডিং ছাড়ার নোটিশ দেওয়ার পূর্বে সব রেসিডেন্টদের জন্য বিকল্প থাকার ব্যবস্থা করার বিশেষ প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন।
টাওয়ার হ্যামলেট্স কাউন্সিল ও নিরব ভূমিকা পালন করছে। এই বিল্ডিং এর রেসিডেন্টদের সহযোগিতার জন্য কোন কাউন্সিল বা প্রতিনিধি কাউকে দেখা যায় নাই।