মহিলা ভলিবল তারকার গলা কাটল তালেবানরা

Published: 21 October 2021

পোস্ট ডেস্ক :


মুখে নারী স্বাধীনতার কথা বললেও আদপে তালেবানদের মানসিকতা যে এখনো বদলায়নি তার প্রমান মিলল আরো একবার। এবার আর হুঁশিয়ারি বা হুমকি নয়, সরাসরি কাজে দেখালো তারা। যা দেখে স্তব্ধ গোটা দুনিয়া। আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তালেবানরা তন্ন তন্ন করে আফগানিস্তানের মহিলা ক্রীড়াবিদদের খুঁজছে। বিশেষত তালেবানের নজর ছিল আফগানিস্তানের মহিলা ভলিবল দলের সদস্যদের দিকে। কারণ এই দলটি বিভিন্ন বিদেশি ও স্থানীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে এবং সেই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমেও তাঁদের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭৮ সালে প্রথমবার তৈরি হয় আফগানিস্তানের মহিলা ভলিবল দল। তার পর থেকে নারী মুক্তির পথে বিশাল ভূমিকা নিয়েছে মহিলা ভলিবল খেলোয়াড়েরা।

কিন্তু কে জানত সেই দলের ওপর নেমে আসবে তালেবানি কোপ। আফগানিস্তানের মহিলা জুনিয়র ভলিবল খেলোয়াড়কে গলা কেটে হত্যা করল তালেবানরা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দলের প্রশিক্ষক জানিয়েছেন, ওই মহিলা খেলোয়াড়ের নাম মাহজবিন হাকিমি। কাবুল পতনের আগ পর্যন্ত কাবুল মিউনিসিপ্যালিটি ভলিবল ক্লাবে খেলতেন মাহজবিন। তিনি ছিলেন ক্লাবের অন্যতম তারকা খেলোয়াড়। কদিন আগে সেই মাহজবিনের গলা কাটা দেহের ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অক্টোবর মাসে তাঁকে খুন করে তালেবানরা। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়নি। কারণ তালেবান ওই মহিলা ভলিবল খেলোয়াড়ের বাড়ির লোকেদের হুমকি দিয়েছিল, ঘটনার কথা পাঁচ কান হলে তাদেরও একই পরিণতি হতে পারে। দলের কোচ দাবি করেছেন, দখল নেওয়ার সময় থেকে তালেবানরা নারী ক্রীড়াবিদদের শনাক্ত ও আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে যারা আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সামনে এসেছিলো। মাহজবিনকে হত্যার আগে দলের দুজন কোনোরকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিল। কোচ আফজালি পার্সি ইনডিপেনডেন্টকে বলেছেন, দেশের ভলিবল দলের খেলোয়াড় এবং বাকি মহিলা ক্রীড়াবিদদের অবস্থা এখন বেশ খারাপ। তাঁরা হতাশা ও ভয়ের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে মহিলা খেলোয়াড়রা পালিয়ে যেতে অথবা মাটির নিচে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।