তারাবীহ নামাযরে ফজীলত ও প্রয়োজনীয় কছিু মাসআলা

Published: 5 April 2022

।। আল্লামা মুফতী মুজাহদি উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.)।।


তারাবীহ অত্যন্ত ফজীলতর্পূণ নামায, যার দ্বারা বান্দার জীবনরে গুনাহ ক্ষমা করা হয়। মহানবী (সা.) রমজান মাসে তারাবীহ নামায আদায় করার জন্য সাহাবা-এ-করোমকে বশিষেভাবে উৎসাহ প্রদান করতনে। তারাবীহ নামাযরে ফজীলত ও র্মযাদা সর্ম্পকে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করছেনে, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে ঈমানরে সঙ্গে শুধু সওয়াবরে আশায় তারাবীহ পড়,ে তার অতীতরে সব (সগরিা) গোনাহ মাফ করে দয়ো হয়।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০০৮, সহীহ মুসলমি, হাদীস নং ৭৫৯, সুনানে দারমে,ি হাদীস নং ১৮১৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৯৪৪৫, মুসনাদে হুমাইদ,ি হাদীস নং ১০৩৭) ।
রাসুল (সা.) এর যুগে আনুষ্ঠানকিভাবে জামাতে তারাবীহ নামায পড়ার ব্যবস্থা ছলি না। উম্মতরে প্রতি অতশিয় করুণা ও দয়াশীলতার কারণইে তনিি তারাবীহর নামায নয়িমতি জামাতে আদায় করনেন।ি কারণ তনিি কোন আমল নয়িমতি করলে তা ফরজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছলি। কাজইে তারাবীহ ফরজ হয়ে গলেে র্দুবল উম্মতরে জন্য নয়িমতি তারাবীহ আদায় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ত। এ ব্যাপারে হাদসিে এসছে,ে নবী করমি (সা.) রমজানরে একরাতে মসজদিে তারাবীহ পড়লনে। সাহাবা-এ-করোমও তাঁর সঙ্গে জামাতে শামলি হলনে। দ্বতিীয় রাতে নামাজরি সংখ্যা আরও বড়েে গলে। এরপর তৃতীয় বা চর্তুথ রাতে নবী করমি (সা.) তারাবীহর জন্য মসজদিে এলনে না। ফজররে পর সবাইকে লক্ষ্য করে বললনে, ‘আমি তোমাদরে আগ্রহ ও উপস্থতিি লক্ষ্য করছে,ি কন্তিু এ নামায তোমাদরে উপর ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আমি তোমাদরে কাছে আসনি।ি’ (সহীহ বুখারী হাদীস নং ২০১২ সহীহ মুসলমি হাদীস নং ৭৬১)। হযরত আবু বকর (রা:) এর খলোফত কাল ও হযরত উমর (রা:) এর খলোফতরে প্রথম দকিে এ অবস্থায়ই ছলি। এরপর হযরত উমর (রা.) মসজদিে নববীতে সাহাবীদরে খণ্ড খণ্ড জামাতে ও একাকী তারাবীহর নামায পড়তে দখেে সবাই মলিে এক জামাতে তারাবীহ পড়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করনে। এরপর তনিি হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা:) এর পছিনে সকলকে জমা করে দলিনে। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ২০১০)
তারাবীহ শব্দরে র্অথ ও নাম করণরে কারণ
হাফজি ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলনে: তারাবীহ শব্দটি তারবহিাতুন এর বহুবচন। তারবহিাতুন র্অথ একবার বশ্রিাম গ্রহণ করা। রমজান মাসে ইশার নামাযরে পর যে (২০ রাকাত) সুন্নাত নামায পড়া হয়, তা হলো তারাবীহর নামায। এই নামাযরে নয়িম হলো প্রতি দুই রাকাত পর সালাম ফরিানো এবং প্রতি চার রাকাত পর বসে বশ্রিাম গ্রহণ করা । এই নামাযকে কয়িামে রমজানও বলা হয় । যখন থকেে সাহাবা-এ-করোম এ নামায সম্মলিতিভাবে জামাতে আদায় করতে আরম্ভ করনে তখন থকেইে তাঁরা চার রাকাতরে পর বশ্রিাম নতিনে। তাই এ নামাযরে নাম তারাবীহ বলা হয় (ফাতহুল বারী, কতিাবু সালাততি তারাবীহ ৪/২৯৪, তুহফাতুল আলমায়ী ২য় খন্ড, ২৮৯ পৃ:,কামুসুল ফকিহ ২য় খন্ড , ৪৪৮পৃ:, আলবাহরুর রায়কে: ২য় খন্ড, ১১৬ পৃষ্ঠা)।
তারাবীহ নামাযরে বধিান
তারাবীহ নামায নারী-পুরুষ উভয়রে জন্যই সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এ নামায পুরুষ মসজদিে জামাতরে সঙ্গে আর মহলিা ঘরে আদায় করা বশেি সওয়াবরে কাজ। এ নামাযে কুরআন শরীফ খতম করা অধকি সওয়াবরে কাজ। তবে সূরা তারাবীহর মাধ্যমে আদায় করলওে নামায হয়ে যাব।ে
ফুকাহায়ে করোম বলনে: পুরুষ মসজদিে জামাতরে সাথে তারাবীহর নামায পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কফোয়া। কোন মহল্লায় যদি কউে-ই জামাতরে সাথে না পড়ে তাহলে সকলইে গুনাগার হব।ে আর যদি কছিু লোক মসজদিে জামাতরে সাথে আদায় করে আর কউে কউে ঘরে একা একা আদায় করে তাহলে সকল গুনাগার হবে না । তবে একথা অবশ্যই স্বরণ রাখতে হবে য,ে যারা একা একা পড়ল তারা জামাতে পড়ার সওয়াব থকেে বঞ্চতি হল। (কামুসুল ফকিহ: ২য় খন্ড, ৪৫০ পৃষ্ঠা)
উল্লখ্যে যে পবত্রি রমজান মাসে তারাবীহর নামাযে একবার কুরআন শরীফ খতম করা সুন্নাত। দুই বার খতম করা উত্তম। আর তনিবার খতম করা আফজাল বা অতউিত্তম। (রাদ্দুল মুহতার : ২য় খন্ড, ৪৯৭ পৃষ্ঠা, ফাতওয়া দারুল উলুম দওেবন্দ র্৪থ খন্ড, ২৭৪ পৃষ্ঠা)
২০ রাকাত তারাবীহ নামাযরে দলীল
তারাবীহ নামাযরে সূচনা থকেইে ২০ রাকাত আদায় করা হত। হাদীস শরীফে র্বণতি আছ,ে হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) র্বণনা করনে যে রাসূলে পাক (সা.) রমজান মাসে ২০ রাকাত (তারাবীহ) নামায আদায় করতনে এবং এরপর ৩ রাকাত বতেররে নামাযও আদায় করতনে। (এ হাদীসটি ’মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা’, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ৭৬৯২, বায়হাকী (খ. ২ প.৪৯৬)। ইমাম তাবরানীর আল-মুজমালুল কাবীর (খ:১১ পৃ:৩১)। আল-আওসাত লতিতাবরানী (খ:১ পৃ:৪৪৪)। আল ইসতযিকার (খ:৫ পৃ: ১৫৬) ইত্যাদি সহ হাদীসরে নর্ভিরযোগ্য বহু কতিাবে উল্লখে রয়ছে।ে)।
হযরত উমর (রা.)-এর খলিাফতকালে সাহাবা-এ-করোমরে ইজমা দ্বারা রমজান মাসে ২০ রাকাত তারাবীহর নামায জামাতরে সঙ্গে আদায় করার রীতি প্রচলন হয়। নতুবা মূল তারাবীহর সূচনা হযরত রাসূল (সা.) থকেইে হয়ছে।ে (আল মুগনী ১ম খন্ড, ৮৩৩ ও ৮৩৪ পৃষ্ঠা)। হযরত উমর (রা:) প্রখ্যাত সাহাবী তামীম আদদারী (রা:) ও উবাই ইবনে কা’ব (রা:) এর ইমামততিে তারাবীহর জামাতরে ব্যবস্থা করনে। আর হযরত রাসূল (সা.) ইরশাদ করছেনে য,ে তোমরা আমার সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশদিীনরে সুন্নাতকে দৃঢ়তার সাথে আকড়ে ধর। (আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৬০৭, তরিমজিী, হাদীস নং ২৬৭৬)।
হযরত সাঈব ইবনে ইয়াযীদ (রা:) বলছেনে, “খলীফা হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা:) এর শাসন আমলে সাহাবা-এ-করোম ও তাবয়েীগণ রমজান মাসরে প্রতি রাতে ২০ রাকাত তারাবীহ ও ৩ রাকাত বতিরি নামায পড়তনে।”(মুয়াত্তা মালকে, সালাত অধ্যায়, মাজাআ ফী কয়িামে রমজান, ১ম খণ্ড, ১৫৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৩৮০)। তাবয়েী হযরত আবদুল আযীয বনি রাফি (রহ:) হতে র্বণতি, তনিি বলনে: “হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা:) মদীনা মোনাওয়ারায় রমজান মাসে ২০ রাকাত তারাবীহ নামাযরে জামাতে ইমামতি করতনে।”(মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৬)।
হযরত হাসান বসরী (রহ:) বলনে: “খলীফা উমর ফারূক (রা:) তারাবীহ নামাযে হযরত উবাই ইবনে কাব (রা:) এর ইমামততিে মুসল্লদিরেকে জামাতে কাতারবদ্ধ করনে এবং তনিি (ইবনে কা’ব) ২০ রাকাত নামায পড়ান।” (সয়িার আল-আ’লম ওয়াল নুবালাহ, ১ম খণ্ড, ৪০০-১ পৃষ্ঠা, হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা:) (এর জীবনী) ইমাম নববী (রহ:) উল্লখেতি র্বণনা সর্ম্পকে বলনে: “এর সনদ সহীহ।” (আল-খুলাসাত আল-আহকাম, হাদীস নং ১৯৬১)।
ইমাম আবু বকর কাসানি (রহ:) বলনে- ‘‘অধকিাংশ উলামায়ে করোম যা বলছেনে তাই ঠকি। কনেনা হযরত উমর (রা.) রমজান মাসে সাহাবা-এ-করোমকে উবাই ইবনে কা’ব (রা.) এর ইমামততিে একত্রতি করনে এবং তনিি তাঁদরেকে নয়িে প্রতি রাতে ২০ রাকাতই পড়তনে। তাদরে ইজমা সম্পন্ন হয়ছেে (বাদায়উেস সানায়ে ১/৬৪৪) ।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইময়্যিাহ এ সর্ম্পকে বলনে: “এটি সপ্রমাণতি যে হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা.) রমজান মাসে সাহাবা-এ-করোমকে নয়িে জামাতে ২০ রাকাত তারাবীহ ও ৩ রাকাত বতিরিরে নামাযে ইমামতি করতনে। অতএব, অধকিাংশ উলামা-এ-করোমরে মাসলাক (রীত-িনীত)ি এই য,ে এট-িই সুন্নাহ। কনেনা, হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা.) এই ২০ রাকাতরে ইমামতি করার সময় ওখানে উপস্থতি ছলিনে মোহাজরি (হজিরতকারী) ও আনসার (সাহায্যকারী) সাহাবা-এ-করোম, কন্তিু তাঁদরে একজনও এর বরিোধতিা করনে ন!ি” (ইবনে তাইময়্যিাহ কৃত মজমুয়া-এ-ফাতাওয়া, ১:১৯১) ।
বখ্যিাত তাবয়েী ইমাম আবদুর রহমান সুলামী (রহ:) র্বণনা করনে যে হযরত আলী (রা:) রমজান মাসে কুরআন মজীদ তলোওয়াতকারী হাফজিদরে ডকেে তাদরে মধ্যে একজনকে ২০ রাকাত তারাবীহ নামায পড়াতে বলছেলিনে এবং নজিে বতিরিরে নামাযে ইমামতি করতনে। (ইমাম বায়হাকী কৃত সুনান আল-কুবরা, ২য় খণ্ড, ৬৯৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৪৬২০)।
হযরত আবূল হাসনা র্বণনা করনে যে হযরত আলী (রা:) জনকৈ ব্যক্তকিে রমজান মাসে ২০ রাকাত তারাবীহ নামাযে ইমামতি করার নর্দিশে দনে।” (মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৫ম খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৩) । আল-হারসি (রা:) র্বণনা করনে যে তনিি রমজান মাসে ২০ রাকাত তারাবীহ নামায আদায় করতনে, আর ৩ রাকাত বতিরিরে নামাযওে ইমামতি করতনে এবং রুকূর আগে কুনুত পড়তনে (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৭) ।
ইমাম বুখারী (রহ:) তাঁর ‘আল-কুনা’ পুস্তকে উল্লখে করনে: হযরত আবূ আল-খুসাইব (রা:) র্বণনা করনে যে হযরত সুওয়াইদ বনি গাফালাহ (রা:) সব সময়-ই রমজান মাসে আমাদরেকে নয়িে জামাতে ২০ রাকাত তারাবীহ নামাযে ইমামতি করতনে (আল-কুনা, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ২৩৪) ।
সাহাবী, তাবঈে ও তাবে তাবঈেনদরে যুগে এবং ইসলামরে স্বনামধন্য ইমামগণ যমেন ইমাম আবু হানফিা, ইমাম মালকে, ইমাম শাফয়েী, ইমাম আহমদ (রহ.) সবাই ২০ রাকাত তারাবীহর পক্ষে ছলিনে (আল মুদাওওয়ানাতুল কুবরা, ইমাম মালকে ১/১৯৩)।
তারাবীহ ২০ রাকাত হওয়ার ব্যাপারে সকল মুহাজরি ও আনসার সাহাবী এবং গোটা মুসলমি উম্মাহর ইজমা তথা ঐক্যমত সংঘটতি হয়। ২০ রাকাত তারাবীহর ব্যাপারে খোলাফায়ে রাশদেীন এবং অন্য সাহাবীর কোন ধরণরে আপত্তি কোন কতিাবে উল্লখে নইে। বখ্যিাত তাবয়েী, ইমাম আ’তা বনি আবীরাবাহ (রহ:) বলনে: ” সাহাবা-এ-করোম ও তাবয়েীগণকে ২০ রাকাত তারাবীহ আর ৩ রাকাত বতিরি পড়তে পয়েছে।ি” প্রখ্যাত মহাদ্দসি আল্লামা মোল্লা আলী কারী (রহ:) লখিছেনে:তারাবীহর নামায ২০ রাকাত এর উপর সব সাহাবা-এ-করোমরে ইজমা (র্সবসম্মত ঐক্যমত) সংঘটতি হয়ছে।ে বুখারী শরীফরে ব্যাখ্যাকার ইমাম ক্বাসতালানী (রহ:) লখিছেনে: হযরত উমর (রা:) এর যুগরে অবস্থা প্রায় ইজমা বা র্সবসম্মত ঐক্যমত র্পযায়রে । মুসলমি শরীফরে ব্যাখ্যা গ্রন্থে ইমাম নববী (র.) লখিছেনে, “জনেে রাখ, তারাবীহ উলামায়ে করোমরে ঐকমতইে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং এর রাকাতরে সংখ্যা বশি।” (কতিাবুল-আযকার : পৃ. ৮৩)
সাহাবা-এ-করোম, খায়রুল কুরুনরে শ্রষ্ঠে প্রজন্ম, আইম্মায়ে মুজতাহদিনি ও সালফে সালহেনিরে আমলকৃত এ অবসিংবাদতি সুন্নাত, ২০ রাকাত তারাবীহ নামায অতীতরে মতো র্বতমানওে মক্কা শরীফ ও মদনিা শরীফরে পবত্রি দুই মাসজদিে (হারামাইন-শরীফাইন)ে যথাযোগ্য র্মযাদায় পালতি হয়ে আসছ।ে এ বষিয়ে মুসলমি উম্মাহর মধ্যে কোনো দ্বমিত নইে। এ প্রসঙ্গে সৌদি আরবরে বখ্যিাত আলমে, মসজদিে নববীর প্রসদ্ধি মুদাররসি ও মদীনা শরীফরে সাবকে কাযী, শায়খে আতয়্যিা সালমি (রহ:) “এক হাজার বছররে অধকি সময় ধরে মসজদিে নববীতে তারাবীহ এর ইতহিাস” নামে একটি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করনে। তনিি র্পূণ পুস্তকিাটতিে এই কথাই সাব্যস্ত করছেনে য,ে হাজার বছররে অধকি সময় ধরে মসজদিে নববীতে তারাবীহ বশি রাকাতই চলে আসছ।ে
৮ রাকাত তারাবীহ প্রসঙ্গে
হযরত আয়শো (রা.) এর হাদীসে আট রাকাত তাহাজ্জুদ নামাযরে র্বণনা পাওয়া যায়, যা রমজান ও রমজান ব্যতীত বছররে অন্যান্য সময়ওে নবী করমি (সা.) পড়তনে বলে র্বণনায় উল্লখে করা হয়ছে।ে সটো যে তারাবীহ নয়, তা র্বণনার ভাষা থকেইে স্পষ্ট। কারণ আট রাকাত যদি তারাবীহ হতো তাহলে রমজান ছাড়াও এটা পড়তনে বলা ঠকি হতো না। র্সবােপরি আট রাকাতরে হাদীসটি ইমাম বুখারী (রহ.) বুখারী শরীফওে তাহাজ্জুদরে অধ্যায়ে (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১৪৭) উল্লখে করছেনে, এতে সুস্পষ্ট হয় য,ে তা আট রাকাত তাহাজ্জুদই ছলি; তারাবীহ নয়। এই হাদীসটি যদি বাস্তবইে তারাবীহ বষিয়ক হতো তাহলে যুগে যুগে মুজতাহদি ইমামগণরে কউে না কউে তা গ্রহণ করতনে এবং তদনুযায়ী আমল করতনে। কন্তিু ইমাম আবু হানফিা, ইমাম মালকে, ইমাম শাফয়েী, ইমাম আহমদ এবং আহলে হাদীস ভাইদরে মান্যবর ইমাম দাউদ যাহরেী, ইবনে হাযাম ও ইবনে তাইময়্যিাহ কউেই বলনে নি যে উপরোক্ত হাদীসে তারাবীহর নামায ৮ রাকাত পড়তে বলা হয়ছে।ে বরং এতে তারাবীহর কোন প্রসঙ্গই নইে। এতে আছে তাহাজ্জুদ নামাযরে র্বণনা।
তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ নামাযরে মাধ্যে র্পাথক্য রয়ছে।ে নম্নিে র্পাথকরে কয়কেটি দকি উল্লখে করা হলো: ১. মুহাদ্দসিগণ দুই নামাযরে জন্য পৃথক পৃথক শরিোনাম ও অধ্যায় নর্বিাচন করছেনে। ২. ইমাম বুখারী (রহ:) রাতরে শুরুতে নজি ছাত্রদরে নয়িে জামাতরে সাথে তারাবীহ পড়তনে এবং একবার কুরআন শরীফ খতম করতনে। আর সহেরীর সময় একাএকা তাহাজ্জুদ পড়তনে। ৩. তারাবীহর নামাযরে সময় হল এশার নামাযরে পর ঘুমানোর র্পূবে আর তাহাজ্জুদ নামাযরে সময় নর্ধিারতি নয়, উত্তম হলো ঘুম থকেে উঠে পড়া। ৪. তারাবীহর নামাযরে জন্য লোকদরেকে ডকেে জমায়তে করা জায়যে আছ,ে কন্তিু তাহাজ্জুদরে জন্য ডকেে জমায়তে করা জায়যে নইে। ৫. তাহাজ্জুদরে নামায এক সময় ফরজ ছলি পরর্বতীতে তা ফরজ হওয়াটা রহতি হয়ে গছে,ে বধিায় তা পুনরায় ফরজ হওয়ার সম্ভাবনা নইে। কন্তিু তারাবীহর নামায ফরজ হওয়ার আশংকাই হযরত রাসূল (সা.) দুই/তনি দনি জামাতরে সাথে পড়ে আর জামাতরে সাথে পড়নেন।ি ৬.তাহাজ্জুদরে নামায পড়ার নর্দিশে পবত্রি কুরআন শরীফে রয়ছে,ে অথচ তারাবীহর নর্দিশে কুরআন শরীফে নইে বরং হযরত রাসূল (সা.) বলনে: আল্লাহ তা’আলা রমজানরে রোযাকে ফরয করছেনে আর আমি তোমাদরে জন্য তারাবীহকে সুন্নাত করলাম। ৭. তাহাজ্জুদরে নামায মক্কা শরীফে আর তারাবীহর নামায মদীনা শরীফে হজিরতরে পর বধিবিদ্ধ হয়ছে।ে ৮. তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ পৃথক দুটি ইবাদত, হাদীসে তারাবীহর আলোচনা ‘কয়িামে রমজান’ আর তাহাজ্জুদরে আলোচনা ‘কয়িামূল লাইল’ নামে এসছে।ে এটাও একটা দললি য,ে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ এক নয়। কারণ তাহাজ্জুদ রমযানরে সাথে খাস নয়।
তারাবীহর নামাযে দ্রুত ক্বরিাত পড়া প্রসঙ্গে
অন্যান্য নামাযরে ন্যায় তারাবীহ নামাযওে কোরআনুল করীম ধীরে ধীরে (মাদ, গুন্নাহ, মাখরাজ ঠকি রখেে তারতীলরে সাথ)ে ক্বরিাত পড়তে হব।ে কন্তিু অত্যন্ত পরতিাপরে বষিয়- আমাদরে দশেে অধকিাংশ মসজদিে এই নয়িম মনেে চলা হয়না। হাফজি সাহবেরা এমনভাবে তলোওয়াত করনে য,ে কুরআনরে আয়াতসমুহ স্পষ্ট বোঝা যায়না। এমনকি যে যত দ্রুত পড়তে পার,ে তাকে তত কৃতত্বি বা বাহবা দওেয়া হয়। এটি এক ধরনরে পবত্রি কুরআনরে অবমাননা, এটা অবশ্যই ত্যাগ করা উচতি। কনেনা আল্লাহ তা’আলা বলছেনে, তোমরা কুরআনকে তারতীলরে সঙ্গে ধীরে ধীরে সহীহ-শুদ্ধভাবে পড় (সুরা মুযযাম্মলি, আয়াত-৪)।
রমজান মাসে রাসুল (সা.) জবিরীলরে সাথে কুরআন শরীফ পাঠ করতনে। তাঁর আর্দশ অনুসরণ করে প্রত্যকে মুমনিরে উচতি এ মাসে বশেী বশেী কুরআন তলোওয়াত করা। হযরত ইবনে আববাস (রা.) বলনে-“জবিরীল রমজানরে প্রতি রাতে এসে রাসুল (সা.) এর সাথে সাক্ষাৎ করতনে এবং তাঁকে নয়িে কুরআন শরীফ পাঠ করতনে”। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৫৫৪)
তারাবীহর তাসবীহ
তারাবীহর নামায চার রাকাত পড়তে যতক্ষণ সময় লাগ,ে প্রতি চার রাকাত পর ততক্ষণ বরিতি দয়ো মুস্তাহাব। সইে সময় নফল নামায পড়া, তাসবীহ পড়া, দুরূদ শরীফ পড়া, জকিরি করা, কুরআন তলিাওয়ত করা, কংিবা চুপ করে বসে থাকা, মক্কা শরীফে হলে তওয়াফ করা সবই জায়জে। এসময় চুপ করে থাকার চয়েে দোয়া দুরূদ, জকিরি আজকার করা উচতি। হাদীস শরীফে একটি চমৎকার আল্লাহর হামদ এবং দোয়ার শব্দময় এই বাক্যগুলো পড়ার কথা উল্লখে আছ:ে-“সুব্হানাযলি মুলকি ওয়াল মালাকূতি সুবহানাযলি ইযযাতি ওয়াল আযমাতি ওয়াল হাইবাতি ওয়াল ক্বুদরতি ওয়াল কবিরয়িায়ি ওয়াল জাবারূত। সুব্হানাল মালকিলি হায়্যল্লিাযী লা-ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামূতু। সুব্বূহুন ক্বুদ্দূছুন রব্বুনা ওয়া রব্বুল মালা-য়কিাতি ওয়ার রূহ্।” কানযুল উম্মাল হাদীস নম্বর ২০৬৩ (উক্ত কতিাবে দায়লামী শরীফরে বরাত সহকারে হযরত মুয়াজ বনি জাবালরে (রা:) সনদরে কথা বলা হয়ছে।ে), ১ম খন্ড ৪৭৪ পৃষ্ঠায় উক্ত দোয়া সর্ম্পূণ উল্লখে করা হয়ছে।ে মুখতাসার তাফসীরে ইবনে কাছীর ১ম খন্ড ১৮৬ পৃষ্ঠা, ছাফাওয়াতুত তাফসীর ১ম খন্ড ১২০ পৃষ্ঠা এবং তাফসীরে বায়দ্বাবীর শরাহ “হাশয়িাতু শীহাব” এর ১ম খন্ড, ৯ পৃষ্ঠায় র্বণতি আছ।ে হানাফী মাযহাবরে বখ্যিাত ফতোয়ার কতিাব “দুরুল মুখতাররে”৫ম খন্ড ২৪৮ পৃষ্ঠা এবং এই কতিাবরে শরাহ রদ্দুল মুখতাররে ২ খন্ড, ৪৬ পৃষ্ঠায় এই দোয়া ও ইহা পাঠরে প্রক্ষোপট এবং দলীল (শরহে মুনয়িাতুল মুসল্ল,ি কুহস্তোনী, মানহাজুল ই’বাদ) র্বণতি আছ।ে ৩ শত হজিরীতে লখো “মাজলসিু জাওয়াহরিুল উলুম”কতিাবে ৩য় খন্ড, ৪৩৫ পৃষ্ঠার ১০৪৬ নম্বর হাদীসে শাব্দকি কছিু পরর্বিতনে সনদ সহকারে উক্ত দোয়ার কথা বলা হয়ছে।ে
আল্লাহ তা’আলা রোজাদারদরে মাহে রমজানে তারাবীহ নামাযরে অশষে গুরুত্ব ও অপরসিীম ফজীলত উপলব্ধি এবং জামাতে খতমে তারাবীহ আদায়রে মাধ্যমে অধকি সওয়াব লাভরে তাওফকি দান করুন! আমীন!!