শ্রীমঙ্গলে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ

Published: 16 April 2022

শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা :


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার পৌর শহরের একটি বাসায় দেড় বছর ধরে আটকে রেখে এক গৃহকর্মী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরে শহরের ষ্টেশন রোডের হিরম্ময় প্লাজার ৩ তলার একটি বাসা থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এ সময় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ বাসার গৃহিণী সাধনা ধর (৬০), পূর্ণা ধর (৩০) নামে দুই নারীকে আটক করেছে। তবে ধর্ষক চন্দন ধর পালিয়ে যায়।

গৃহকর্মী কিশোরী বাসা শহরতলী শাহীবাগ এলাকায় বলে পুলিশ জানায়।

গৃহকর্মী কিশোরী জানায়, গত দেড় বছর আগে শহরের ষ্টেশন রোড়ের হিরম্ময় প্লাজার তিন তলার বাসিন্দা ‘অরেঞ্জ ফ্যাশন’ র মালিক চন্দন ধর (৪৫) এর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেয়। কাজে যোগ দেয়ার কয়েকদিনের মাথায় চন্দন ধর তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত দেড় বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। এসব জানার পরও বাসার লোকজন বাঁধা দেয়নি বলে কিশোরী জানায়।

কিশোরীর অভিযোগ, (১৬ এপ্রিল) শনিবার সকালে চন্দন ধর তাকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে বাঁধা দেয়। এতে চন্দন শারীরিক নির্যাতন করে তার হাত-পা বেঁধে একটি রুমে ফেলে রাখে।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার মেয়েটির আত্ম-চিৎকার শুনে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির¡ পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে।

শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, ধর্ষক চন্দনের বাসা থেকে ২ নারীকে আটক করা হয়েছে। চন্দন পলাতক রয়েছে, তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। এছাড়া মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটি নিজেই বাদী হয়ে চন্দন ধরসহ ৩ জনকে আসামী করে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।