জগন্নাথপুরে নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেফতার

Published: 18 April 2022

জগন্নাথপুর সংবাদদাতা :


সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত নববধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।

বোনকে যৌতূকের জন্য হত্যা করা হয়েছে বলে নিহত নববধুর ভাই নিহার সরকার থানায় মামলা করেন।

রোববার প্রধান আসামি নিহত নববধূ চন্দা রানী সরকারের স্বামী মৃদুল চন্দ্র সরকারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার পাটকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৃদুল চন্দ্র সরকার চাকুরীর সুবাদে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের শেওড়া গ্রামে লজিংয়ে থাকতেন। প্রায় ছয় মাস আগে তিনি শাল্লার আনোয়ার পুর গ্রামের নিখিল চন্দ্র সরকারের মেয়ে চম্পা রানী সরকারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী কে নিয়ে পাঠকুড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার কাইলাজুড়ি উপজেলার চানপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার স্ত্রী চম্পা রানী সরকার (২৬) কে ঘরে রেখে তালা বদ্ধ করে তিনি বিদ্যালয়ে চলে যান। বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখেন ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো স্ত্রীর লাশ ঝুলছে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় নিহতের ভাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ নববধূর স্বামী মৃদুল চন্দ্র সরকার (৩৫)কে রাতেই গ্রেপ্তার করে।

চস্পা রানী দাসের ভাই নিহার সরকার জানান, বিয়ের এক মাস পর জায়গা কিনবে বলে আমার বোনকে মারধর করে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মৃদুল। আমরা এক লাখ ৫ হাজার টাকা দেই। দুই দিন আগে আমার বোন টাকার জন্য তাকে স্বামী নির্যাতন করছে বলে মোবাইল ফোনে জানায়। আমার বোনকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেছি।

২০২১ সালের অক্টোবর মাসে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে তিনি জানান।

গ্রেপ্তারের পূর্বে স্কুল শিক্ষিক মৃদুল চন্দ্র সরকার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেনি। সে আত্মহত্যা করেছে।

জগন্নাথপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় ওই নববধু্’র ভাই যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শিক্ষককে প্রধান আসামী এবং তাঁর মা ও ভাইয়ের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। আমরা প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। অন্য আসামীদের প্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।