লক্ষ্মীপুরে জোয়ারের পানিতে ১৫ গ্রাম প্লাবিত
বিশেষ সংবাদদাতা :

লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় অস্বভাবিক জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে দুভোর্গে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। আবার ভাটা পড়লে পানি কিছুটা নামলেও জোয়ার আসলে তা বাড়তে থাকে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে এসব এলাকা প্লাবিত হয়। এর আগে বুধবার বিকেলেও পানি ডুকে লোকালয়ে।
এইভাবে গত দুইদিন ধরে ৪/৫ ফুট নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ। তিনি জানান, সামনে পূর্নিমা, তাই নদীতে পানি বাড়ছে। এটি আরো কয়েকদিন থাকবে। ভাটা পড়লে লোকালয় থেকে পানি নেমে যায়। আবার জোয়ার আসলে লোকালয়ে পানি ডুকে যায়। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির জন্য ভাঙ্গন আরো ভয়াবহ আকার ধারন করছে।
গত দুইদিনে এই উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনের মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি খুব সহজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে নদী ভাঙনসহ উপকূলীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। কমলনগর উপজেলার কালকিনি, সাহেবেরহাট, পাটওয়ারীরহাট, চরফলকন, চরমার্টিন, চরলরেঞ্চ ইউনিয়ন এবং রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চরগাজী, চরআবদুল্লাহ ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানি গত দুইদিন থেকে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বেড়েছে পানির পরিমাণ। এতে নদীর তীর সংলগ্ন বসত বাড়িতে পানিতে উঠে গেছে। এতে করে এই ইউনিয়ের মাছের ঘের ও অনেক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া রবিশস্যের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই উপজেলার কয়েকটি এলাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। পরে জোয়ারের পানি নেমে যায়। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি।




