ইস্তাম্বুলে আন্তর্জাতিক আরবি বইমেলা
পোস্ট ডেস্ক :
তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে শুরু হয়েছে সপ্তম আন্তর্জাতিক আরবি বইমেলা। গত শনিবার (১ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এ মেলায় অংশ নিয়েছে ২৯টি দেশের ২৫০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। তুরস্কের প্রকাশক সমিতির সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব আরব বুক পাবলিশার্স। দ্য ওয়ার্ল্ড উইদাউট বর্ডার’ বা সীমানাহীন বিশ্ব স্লোগান ধারণ করে শুরু হয় এ মেলা।
আলজাজিরা সূত্রে জানা যায়, ইস্তাম্বুলের আরবি বইমেলায় রয়েছে ১৫ হাজারের বেশি স্টল। স্থানীয় আরব ও তুর্কিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বছরজুড়ে আরবি বইয়ের অপেক্ষায় থাকেন তারা। লেখক-পাঠকদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করতে রয়েছে নানা আয়োজন। আলোচনা, বক্তৃতা, কবিতা সন্ধ্যা, অটোগ্রাফসহ গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে এ মেলায়।
বইমেলা ঘিরে অনুষ্ঠিত হবে সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ক এক শ আলোচনা পর্ব। এতে ১৫ দেশের অতিথিরা আলোচনা করবেন। এছাড়াও ইউনিভার্সিটি ক্লাবের পক্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে সহযোগিতামূলক বিভিন্ন প্রোগ্রাম।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক আরবি বইমেলার প্রধান সমন্বয়ক মুহাম্মদ আগির আকজাহ বলেন, ‘২৯ দেশের অংশগ্রহণে ইস্তাম্বুলে আরবি বইমেলা শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দেশের সীমানা ডিঙিয়ে প্রকাশকরা এখানে সমবেত হয়েছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট সব প্রকাশক ও দায়িত্বশীলদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
আরবি বই প্রকাশকদের আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান মাহদি আল-জুমাইলি জানান, ‘ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আরবি বইমেলার উদ্দেশ্য বিশ্বকে আলোকিত করা। এই নগর যেন আরবি বইয়ের মুদ্রণ ও বিতরণে পাঠকদের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠে তাই এ মেলার প্রধান লক্ষ্য। ’ এ বইমেলা আরব ও তুর্কি শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইয়াসিন আকতায়ি বলেন, আমরা আশা করি এই বইমেলা অব্যাহত থাকবে। আগামীতে ইস্তাম্বুল নগরী সারাবিশ্বে সংস্কৃতি ও জ্ঞানের নেতৃত্বে দেবে। সংকটে পড়া মুসলিমবিশ্বের কেন্দ্রস্থল হতে চলেছে তুরস্ক। পাশাপাশি তা মুক্তচিন্তার কেন্দ্রস্থলও এটি। বইমেলার মাধ্যমে তুর্কি ও আরবি ভাষার মধ্যে অনুবাদ চর্চা বৃদ্ধি পাবে। ভবিষ্যতে পারষ্পরিক যোগাযোগ আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।
সূত : আলজাজিরা নেট