দরুদ পাঠের গুরুত্ব ও ফজিলত

Published: 25 November 2022

জাহাঙ্গীর আলম ইব্রাহীম

মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ নবির প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা নবির জন্য দোয়া করে। হে মুমিনরা, তোমরাও নবির ওপর দরুদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (আহজাব-৫৬)।

হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত কা’ব ইবনু আজুরা (রা.) বলেন, যখন উপরোক্ত আয়াতটি নাজিল হলো, তখন সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কীভাবে আপনারা ওপর সালাত তথা দরুদ প্রেরণ করব? তখন তিনি তাদের দরুদে ইবরাহিম শিক্ষা দিলেন। মুসনাদে আহমদ-১৭৭৬৭, সহিহ বুখারি-৪৭৯৭।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম (সা.) বলেছেন, তোমরা আমার ওপর সালাত তথা দরুদ পড়; কারণ যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার সালাত তথা দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাকে ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন। মুসলিম-১/৩০৬।

আরেকটি হাদিসে হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলে আকরাম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার সালাত তথা দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাকে ১০ বার রহমত করবেন, তার ১০টি পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং তার মর্যাদা ১০টি স্তর বাড়িয়ে দেওয়া হবে।-নাসায়ী-২/৫৭, মুসনাদ আহমদ-১১৫৮৭।

সালাত তথা দরুদ পাঠের পুরস্কারের আরেকটি দিক হলো আল্লাহর সম্মানিত ফেরেশতারা সালাত তথা দরুদ পাঠকারীর জন্য দোয়া করেন। হজরত আমির বিন রাবিয়া (রা.) বলেছেন, আমি রাসূলে আকরাম (সা.)কে খুতবায় বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি আমার ওপর সালাত তথা দরুদ পাঠ করবে, যতক্ষণ সে সালাত তথা দরুদ পাঠ করতে থাকবে, ততক্ষণ ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করতে থাকবে, অতএব, কোনো বান্দা চাইলে তা বেশি করুক অথবা কম করুক। হাইসামি মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৬০।

সালাত তথা দরুদ পাঠের স্পেশাল দিক হলো ফেরেশতারা দরুদ পাঠকারীর নাম ও পরিচয়সহ তার সালাত তথা দরুদ রাসূলে আকরাম (সা.)-এর কাছে পৌঁছিয়ে দেয়। এটা বিশ্বের যে প্রান্ত থেকেই পাঠ করুক না কেন।