রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দানের সিদ্ধান্তের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের কাছ থেকে

Published: 3 December 2022

By Dr. Zaki Rezwana Anwar FRSA

আপনারা কি লক্ষ্য করেছেন বৃটেনে নিরাময়যোগ্য রোগে ভুগে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কদের অকারণ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে? আয় অনুযায়ী সরকারকে ট্যাক্স দেওয়ার পরও কেন প্রয়োজনের সময় নূন্যতম চিকিৎসা পাওয়া লটারী জিতে যাওয়ার মত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে? আপনার বাড়ীর কাছে ‘এ এন্ড ই’ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বা হাসপাতালে যথেষ্ট বেড না থাকার কারণে আপনাকে কি ১০০ বা ২০০ মাইল দূরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বা কোনো অপারেশন করাতে হচ্ছে? কখনো কি ভেবে দেখেছেন আমাদের প্রদত্ত ট্যাক্সের অর্থে সরকারের ঘোষিত এন এইচ এস-কে দেওয়া বাজেটের বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড আসলে কোথায় চলে যাচ্ছে? কেনই বা বৃটিশ মিডিয়াতে অত্যাধিক হারে ইদানিং এন এইচ এস এর নানা ব্যর্থতা এবং এর রিফর্মের কথাবার্তা খুব বেশী করে আলোচনা করা হচ্ছে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজলে আমরা দেখব খুব পরিকল্পিতভাবে সুকৌশলে আসলে বৃটিশ সরকার কোন‌ পথে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের এন এইচ এস কে।

বৃটিশ‌ জনগণকে মোটামুটিভাবে অন্ধকারে রেখেই হাউজ অফ লর্ডস, হাউজ অফ কমন্স ও রাজতন্ত্রের অনুমোদন পেল ‘২০২২ সালের হেলথ এন্ড কেয়ার এক্ট’।’ বৃটিশ জনগণের গর্বের এবং আস্থার এন এইচ এস-কে তুলে দেওয়া হচ্ছে মার্কিনী কর্পোরেশনদের হাতে। বাস্তবে এর অর্থ কি দাঁড়াচ্ছে? এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে এই যে, বর্তমানে এন এইচ এস এ রোগীদের কি চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং কিভাবে দেওয়া হবে – ডাক্তার বা নার্সদের এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং আপনার আমার প্রিয়জনেরা চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে অথবা নিরাময়যোগ্য অসুস্থতায় ধুঁকে ধুঁকে ভুগতে থাকবে কারণ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লাভজনক নয় বলে ঐসব চিকিৎসার খরচ বহন করবে না। ‘২০২২ সালের হেলথ এন্ড কেয়ার এক্ট’ এখন আমাদের এন এইচ এস-কে পরিণত করছে মার্কিনী ষ্টাইলে ‘ম্যানেজড কেয়ার সিষ্টেম’ যেখানে রোগীদের নির্বিকারে মরতে দিয়ে, ভুগতে দিয়ে মুনাফার অঙ্কটি স্ফীত করাই হবে করপোরেশনের প্রধান লক্ষ্য।

 

এই‌ নতুন এক্টের আওতায় এন এইচ এস কে ৪২টি বাণিজ্যিক কাঠামোতে ভাগ করা হয়েছে যার নাম হচ্ছে ‘ইন্টিগ্রেটেড কেয়ার সিস্টেম বা আইসিএস’ যেটি নতুন একটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ। প্রতিটি কাঠামোকে নির্দিষ্ট বাজেট দেওয়া হবে মোটামুটিভাবে দুই থেকে তিন মিলিয়ন মানুষের চিকিৎসা করার জন্যে এবং তাদেরকে এই প্রদত্ত অর্থ থেকে মুনাফা করার অনুমতি ও সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থাৎ তারা লভ্যাংশ বাড়াতে পারবে মেডিকেল ষ্টাফদের শোষণের মাধ্যমে, অল্প মাইনে‌ দিয়ে তুলনামূলকভাবে কম দক্ষ মেডিকেল ষ্টাফ নিয়োগ দিয়ে এবং সর্বোপরি রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ‌থেকে যতটা সম্ভব বঞ্চিত করে এবং ইচ্ছে মত সুবিধে অনুযায়ী তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশন বদলে দিয়ে পারবে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবার বাইরে রাখতে।

 

সরকার কি তাহলে একবারেই এন এইচ এস এর প্রাইভেটাইজেশনের ঘোষণা দিতে পারতো না? না পারতো না। এটি করলে দু’দিনের মাথায় সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ত। বৃটিশ জনগণ প্রাইভেটাইজেশনের পক্ষে কোনোদিন ভোট দেয় নি। তাই সরাসরি জনগণকে না বলে ধীরে ধীরে পরিকল্পিতভাবে সুকৌশলে কয়েকটি কাজ করা হচ্ছে। প্রথমত: পরিকল্পিতভাবে এন এইচ এস এ বিভিন্ন সেবা দান কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়ত: এন‌ এইচ এস এ চিকিৎসা পাওয়া দিনে দিনে কঠিন হয়ে যাচ্ছে- এমন একটি ধারণা জনগণকে দেওয়া হচ্ছে বা এমন‌ একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে ধীরে ধীরে বিরক্ত হয়ে লোকজন প্রাইভেট চিকিৎসার দিকে ঝুঁকে পড়ে। তৃতীয়ত: মিডিয়া সহ সর্বস্তরে বিধ্বস্ত এন এইচ এস ও এর রিফর্মের গপ্প‌ বেশী বেশী করে আমাদের মগজের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চতুর্থত:‌ এন এইচ এস এর বাজেটকে সুকৌশলে গোপনে একটি ফানেলের ভেতর‌ দিয়ে কর্পোরেটদের হাতে ঢেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

 

প্যান্ডেমিকের বেশ আগে ২০১৬ সালে সিগনাস রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে আমাদের ডাক্তার ও নার্সের অভাব, যথেষ্ট‌ ভ্যান্টিলেটর নেই, যথেষ্ট‌ ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট নেই এবং যথেষ্ট পিপিই নেই। তা সত্ত্বেও সরকার সেদিকে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং এন এইচ এস কে দেওয়া বাজেট থেকে অনেক কাজ প্রাইভেট কোম্পানীগুলোকে দিয়ে দিতে বাধ্য করে আসছিল। অর্থাৎ এন এইচ এস হয়ে পড়েছে একটি নাম বা খোলস যার ভেতর দিয়ে অর্থ নিষ্কাশিত হয়ে চলে যায় প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর হাতে।

 

প্যান্ডেমিককে‌ সরকার তার স্বার্থেই ব্যবহার করেছে পুরোপুরিভাবে। কোভিড সঙ্কট মোকাবেলায় কোনো হেলথ কর্পোরেশন নয় বরং ডিলয়েট নামক একটি একাউন্টিং ফার্মকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল যার মাধ্যমে সার্কো নামের বিরাট আউট সোর্সিং ফার্ম সাঁইত্রিশ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছে যার সুফল সাধারণ রোগীরা ভোগ করেনি। ফলে দেখা গেছে পশ্চাত্য দেশগুলোর ‌মধ্যে প্যান্ডেমিক মোকাবেলায় সব চাইতে বেশী অর্থ ব্যায় করেছে বৃটেন কিন্তু মৃত্যুর হারও‌ সব চাইতে বেশী ছিল বৃটেনে ।

 

কোনো রাঘব বোয়াল যখন স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে সত্য গোপন করে সুকৌশলে কাজ করে তখন তাদের প্রয়োজন হয় একটি বলির পাঁঠার। এক্ষেত্রে কিভাবে বলির পাঁঠা হতে হয়েছিল ডাক্তারদের তা আজও বৃটিশ জনগণ জানে না। যে কোনো প্যান্ডেমিকে স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হয় যে সে দেশের প্রাইমারি হেলথ কেয়ার ষ্টাফদের কাজে লাগানো হবে। অথচ বৃটিশ সরকার এন এইচ এস ইংল্যান্ডের‌ মাধ্যমে জিপিদের আদেশ করেছছিল তাঁরা যেন এই দ্বায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এর পরিবর্তে বহু অর্থ ব্যায় করে অনভিজ্ঞ লোকদের দিয়ে টেলিফোন হেল্প লাইন ওয়ান ওয়ান ওয়ান-কে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এ সঙ্কট মোকাবেলা করার জন্যে। যার ফলে বহু‌ মৃত্যু ও ভোগান্তি ঠেকানো সম্ভব হয় নি। ইউরোপের অন্য কোনো উন্নত দেশে‌ এমনটি করা হয়নি। এন এইচ এস এর আদেশ বলে জিপিদের সরে দাঁড়ানোর মাধ্যমে সরকার এন‌ এইচ এস সম্পর্কে জনগণের মনে বিরূপ ধারণার জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে এবং সেই সাথে জিপিদের সাথে মানুষের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

 

এন এইচ এস কে পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে দেওয়ার আরও একটি সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত হচ্ছে, এন এইচ এস এ এতদিন যেসব চিকিৎসা দিয়ে আসা হচ্ছিল তার অনেকগুলোই এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হয়তো এন এইচ এস আপনার একটি চোখের ছানি আগে অপারেশন করেছে কিন্তু আরেকটি চোখের ছানি এখন আর অপারেশন করবে না। হাঁটুর অপারেশন বা যে কোনো জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্টের ক্ষেত্রও এখন থেকে রেশনিং করা হবে। শুধু তাই নয়, এখন ডাক্তার মনে করলেও আইসিএস যদি আপনার‌ মেডিকেল রেকর্ড ঘেঁটে দেখে আপনি একজন হাই রিস্ক রোগী এবং আপনার চিকিৎসা ব্যয়বহুল হবে তাহলে আপনাকে অপারেশন না করানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

 

এন এইচ এস কে দেওয়া বাজেটের অংশ আসলে কোথায় যায়? সরকার প্রাইভেট কোম্পানিগুলোকে নানা কাজের‌ দ্বায়িত্ব দিতে বাধ্য করায় এন এইচ এসকে দেওয়া বাজেটের অর্থের একটি বিরাট অংশ চলে যায় প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর হাতে। অর্ধেকের বেশী মানসিক রোগীদের চিকিৎসা এখন হয় প্রাইভেট সেবাদানকারীদের মাধ্যমে।

 

প্রাইভেট কোম্পানিগুলো বেছে বেছে সেই কাজগুলোই করে যেগুলো বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক। যেমন, জরুরী বিভাগ এ এন্ড ই এবং ইনটেন্সিভ কেয়ার – এসব সেবা লাভজনক নয়, তাই এসবে প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর আগ্রহ নেই। অর্থাৎ ইংরেজিতে যাকে বলে ‘চ্যারি পিকিং’ সেভাবেই পছন্দমত বেছে বেছে সেবা দিতে আগ্রহী প্রাইভেট কোম্পানীগুলো। বাদবাকী যা তারা করতে চায় না তা পড়ে থাকে এন এইচ এস এর জন্যে। ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক নয় বলেই আমরা দেখেছি গত কয়েক দশকে ধীরে ধীরে শতাধিক এ এন্ড ই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, হাসপাতালে বেডের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন‌ রোগীরা হয় চিকিৎসা পাওয়ার জন্যে বহুদিন অপেক্ষা করতে থাকবে অথবা যার সামর্থ্য আছে তিনি প্রাইভেটে চিকিৎসা করাবেন অথবা আগেভাগে ইন্সুরেন্স পলিসি নেবেন। এর অর্থ হচ্ছে আপনার আয় অনুযায়ী আপনি ট্যাক্স দিচ্ছেন এই ভরসায় যে প্রয়োজনের সময় আপনি চিকিৎসা পাবেন, আবার প্রয়োজনের সময়‌ অর্থ ব্যায় করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে আপনাকে।

 

বৃটিশ মিডিয়াও এসব বিষয় জনগণকে অবহিত করে না, বরং সংবাদ পত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় থাকে সেলিব্রেটিদের গসিপ আর জনগণের দৃষ্টিকে ঘুরিয়ে রাখার জন্যে নানা চটকদার শিরোনাম। যদিও বা কখনো মিডিয়া এসব বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন করে তখন সঠিকভাবে গভীর অনুসন্ধানমূলক সংবাদ পরিবেশন করে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ২০১৬ সালে যখন জুনিয়র ডাক্তাররা বেতন বৃদ্ধির জন্যে আন্দোলন করেছিল তখন মিডিয়া কেবলমাত্র বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিই বলেছিল, আসলে এখনকার যে এক্ট যা তখন বিল আকারে ছিল এবং সেই বিলের কারণে এন এইচ এস থেকে অর্থ চুষে‌ নিয়ে প্রাইভেট কোম্পানীগলোর মুনাফা নিশ্চিত করতে গিয়েই যে জুনিয়র ডাক্তারদের বেতন‌ বাড়ানো হচ্ছিলনা – জনগণকে সেই ম্যাসেজটি দিতে মিডিয়া স্বজ্ঞানে অথবা অজ্ঞানে ব্যর্থ হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে নানাভাবে এখন এইচ এস কে সংকোচনের ফলে, বহু এ এন্ড ই’ বন্ধ করে দেওয়ার জন্যে এবং হাসপাতালে বেডের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার ফলে প্রতি মাসে এক হাজার অকারণ মৃত্যু হচ্ছে – এ সংবাদটিও কোনোভাবেই যেনো মিডিয়ার কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে না। বৃটেনে যে মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে সে বিষয়টিও যেন‌ মিডিয়ার চোখে পড়ছে না।

 

পৃথিবীর বহু দেশেই সমান্তরালভাবে প্রাইভেট চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে এবং বৃটেন চাইলে সে ধরনের কার্যকরী একটি মডেল অনুকরণ করতে পারত। বৃটেন‌ চাইলে ইটালীকেও অনুসরণ করতে পারত। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে ইন্সুরেন্স কোম্পানীগুলো লাভ গুনতে গিয়ে বহু রোগীর চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, যেখানে চিকিৎসার মাঝখানে চিকিৎসার বাদবাকী অংশটুকু ইন্সুরেন্সের আওতায় পড়ে না বলে হাসপাতাল থেকে রোগীকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যে দেশে পরিবারের ব্যাঙ্ক্রাপ্সির প্রধান কারণগুলোর একটি হচ্ছে‌ মেডিকেল বিল – সেই রক্ত চোষা মডেল অনুকরণ করে বৃটেনের জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এদিকে লেবার দলও এর কোনো প্রতিবাদ করেনা। কারণ শুধু কনজারভেটিভ নয় টনি ব্লেয়ার, নিক‌ ক্লেগ সবার ক্ষেত্রেই কম বেশী এই আচরণ দেখেছি আমরা আগে।

 

এখন থেকে যখনই আমরা এনএইচ এস এর উপর বিবিসি বা আইটিভির কোনো রিপোর্ট দেখব তখন আমাদের ভেবে দেখা প্রয়োজন কি কারণে এই রিপোর্টটি দেখানো হচ্ছে, এই রিপোর্ট দেখিয়ে কি উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করা হচ্ছে? এটা কি আমাদেরকে ধীরে ধীরে প্রাইভেটাইজশনের‌ জন্যে মানসিকভাবে তৈরী করার পাঁয়তারা? আমি বলছিনা‌ যে, এন এইচ এস এর নিজস্ব কোনো ব্যার্থতা নেই, এন এইচ এস এর অনেক ব্যার্থতা রয়েছে, তারপরও আমি বলব আমাদেরকে কি গরম হাঁড়ি থেকে তুলে নিয়ে জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে?

লেখক: একজন চিকিৎসক, জনপ্রিয় সংবাদ পাঠক ও‌ কলামিস্ট