রিজভী এ্যানি আমানসহ কেন্দ্রীয় ৭ নেতা আটক
রিজভী এ্যানি আমানসহ কেন্দ্রীয় ৭ নেতা আটক
ঢাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ১
বিশেষ সংবাদদাতা :

বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে ঢাকার নয়াপল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে মকবুল হোসেন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
এদিকে নয়া পল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর দলটির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখান থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
জানা গেছে, ১০ই ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে দুদিন ধরে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিল কয়েক শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী। বুধবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকে। বেলা ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ শুরু করে। বিএনপি নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জবাব দেয়। শুরু হয় দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় স্পেশাল বাহিনী সোয়াতও। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
পুরো নয়াপল্টন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের লাগাতার টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে টিকতে না পেরে পিছু হটে বিএনপি নেতাকর্মীরা। আশপাশের গলিতে অবস্থান নেয় তারা। এদিকে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে বেশকয়েকজন ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ হন। তারা হলেন- তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদল নেতা আলদীন, জুয়েল, আরিফ, নিয়াজ মোরশেদ। তাদেরকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
লিবিদ্ধ ২১
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন মো. রবিন খান, মো. আনোয়ার ইকবাল (বোরহান উদ্দিন কলেজ ছাত্রদল), মো. খোকন, মো. মনির হোসেন, মো রাশেদ (পল্টন থানা যুবদল), মো. ইয়াসির আরাফাত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, জসীমউদ্দীন হল), মো. সুমন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল), মো. জহির হাসান (ছাত্রদল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়), মো. শামীম (রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো হানিফ, মো. হৃদয় (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. মকবুল হোসেন (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. ফারহান আরিফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুজিব হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), মো. নূরনবী (শাহবাগ থানা যুবদল), মো. সুলতান আহমেদ (শাহ আলী থানা যুবদল), মনির (শাহবাগ থানা যুবদল), মো. আমিনুল ইসলাম (শেরেবাংলা নগর থানা যুবদল), মো. আশরাফুল ইসলাম (গুলশান থানা ছাত্রদল), বিপ্লব হাওলাদার (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), মো. আসাদুজ্জামান (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), মো. মেহেদী হাসান নয়ন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল)।




