দেশে ফেরার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন

Published: 13 June 2023

বিশেষ সংবাদদাতা :


অনুপ্রবেশের মামলায় ভারতে কারাভোগের পর খালাস পেলেও এতদিন দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছিলেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। সব সমস্যা শেষে এবার পেয়েছেন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস। ফলে নিজ দেশে ফেরার ক্ষেত্রে যে জটিলতা ছিল তা কেটে গেছে এই বিএনপি নেতার।

সোমবার বিকালে আসামের গুয়াহাটির বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের কাছ থেকে সালাউদ্দিন আহমেদ প্রতিনিধির মাধ্যমে ট্রাভেল পাস গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে সালাউদ্দিন আহমেদ নিজেই ট্রাভেল পাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সালাউদ্দিন বলেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে ট্রাভেল পাস পেয়েছি। ভারতীয় সরকারের কিছু প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো শেষ করে দিল্লি থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরবেন ইনশাআল্লাহ। সেগুলো খুব বড় কোনো সমস্যা নয়।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন। পরবর্তী সময়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে ‘উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা’ করার সময় ওই বছরের ১১ মে তাকে আটক করে শিলং পুলিশ। তার নামে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা করা হয়।

তিনি শিলং পুলিশকে জানান, গোয়েন্দা পরিচয়ে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ তাকে তার উত্তরার বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। একটি প্রাইভেটকারে তাকে শিলং নেওয়া হয়। কিন্তু গাড়িটি কোথা থেকে ছেড়েছিল বা গাড়িতে আর কে বা কারা ছিল তা তিনি বলতে পারেননি।

মেঘালয়ে যখন আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে তাকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। সেই সময় তিনি বলেছিলেন— ‘আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। দ্রুত দেশে ফিরে যেতে চাই।’ তবে আদালতের এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় সালাউদ্দিনের দেশে ফেরা। তবে সেই আপিল খারিজ করে দিয়েছেন শিলংয়ের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনারের আদালত।

এখন তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ এলেও কারা তাকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে শিলংয়ে নিয়ে এসেছিল< সে বিষয়টি এখনো রহস্যাবৃত থেকে গেল।