জামেয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়নে লন্ডনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
পোস্ট ডেস্ক :
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহীও উন্নয়নের রোল মডেল দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদ্রাসার উন্নতি ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লন্ডনে গত মঙ্গলবার বিশ্বনাথ বাসীর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্ব লন্ডনের ফোর্ড স্কয়ার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় ব্রিটেনে অবস্থানরত বিশ্বনাথের প্রতিনিধিত্বশীল সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরুব্বিয়ান ও বিশ্বনাথ কেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও কমিউনিটির বিশিষ্টজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বনাথ মাদানিয়া মাদ্রাসা গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী একটি আলোকিত প্রতিষ্ঠান। সঙ্গত কারণেই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে সকলেই গর্ববোধ করেন। বিশেষ করে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা শায়খ আশরাফ আলী বিশ্বনাথী (রাহঃ) ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ ও মান্যবর অভিভাবক আলেম। এ জন্য মহান ও বরকতময় এ প্রতিষ্ঠান ও এর প্রতিষ্ঠাতার প্রতি সকলেই যারপরনাই শ্রদ্ধাশীল।
প্রতিষ্ঠানের অমঙ্গলজনক কোন কিছু কেউ মেনে নিতে পারেনা। আলোচনা সভায় বিশ্বনাথের দায়িত্বশীল ও প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা অতীতে যেমন বিশ্বনাথ মাদ্রাসার পাশে ছিলাম- আজীবন পাশে থাকবো এবং মাদ্রাসার যে কোনো সংকটে আমরা দেশ এবং প্রবাসে ঐক্যবদ্ধ।
সভায় বিশেষভাবে মাওলানা আশরাফ আলী বিশ্বনাথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও মাদ্রাসার দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে চিহ্নিত একটি মহলের কুরুচিপূর্ণ কটুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্বনাথের প্রবীণ মুরব্বি আলহাজ্ব আরকুম আলী। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বিশ্বনাথ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গৌস খান ও মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জামেয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথের সহকারী পরিচালক হাফিজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথী। আলোচনা সভায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথের বিশিষ্ট মুরব্বি আলহাজ্ব মানিক মিয়া, হাজী রইস আলী, হাজী মনির মিয়া বশির, হাজী শাহ ফারুক আহমদ ও আলহাজ্ব সাজিদ আলী মেনন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেম ডক্টর মাওলানা শোয়াইব আহমদ, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া ও মুফতি আবদুল মুনতাকিম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্ট এর সেক্রেটারি মিসবাহ উদ্দিন, বিশিষ্ট মুরুব্বী সাইদুল ইসলাম খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন, হাজী লাকি মিয়া, মোহাম্মদ আলী, আজাদ খাঁন, সুবহান আলী, হাজী সাইদুল ইসলাম, নানু মিয়া, গুলজার খাঁন, আজাদ মিয়া, হাজী আফছর মিয়া, মাওঃ ছাইদ আলী, আলম শেখ, নজরুল ইসলাম, মিছবাহ উদ্দীন, আখলুছ মিয়া, জাকেল চৌধুরী, ছোট মিয়া, আখলাকুর রহমান, হাজী আব্দুল গফুর, ফয়জুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আশিকুর রহমান, জুবের আহমদ, সৈয়দ নাজিম উদ্দীন, ফরিদ আহমদ, মকবুল আহমদ, আবুল লেইছ, হাজী ইদ্রিস আলী, মোঃ ফাহিম আহমদ,খালেদ আহমদ রণী, হাজী খালিছ মিয়া, ফারুক মিয়া, লিলু মিয়া, জুয়েল আহমদ, মুহিবুর রহমান, মাওঃ শামসুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, হান্নান, আব্দুর রহিম রনজু, আব্দুশ শহিদ, জালাল উদ্দীন, মাওঃ ইলিয়াছ, মাওঃ মুহিউদ্দীন, সৈয়দ ফুহাদ আহমদ, হাজী সালেহ আহমদ, হাজী খলিল আহমদ, মছরুর আহমদ প্রমুখ।
সভায় বিশ্বনাথের প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বনাথ মাদানিয়া মাদ্রাসা আমাদের সকলের প্রিয় প্রতিষ্ঠান এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মাওলানা শায়খ আশরাফ আলী বিশ্বনাথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি একজন সংগ্রামী আলেম এবং ওলামায়ে কেরামের অভিভাবক ছিলেন।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে দেশ ও বিদেশের লাখো মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা বিদ্যমান রয়েছে।
বিশ্বনাথ মাদানিয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম ও মাদানীয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সেক্রেটারি হাফিজ হুসাইন আহমদ বিশ্বনাথী তার বক্তব্য বলেন, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সর্ববৃহৎ মাদরাসার নাম জামেয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ। এখানে ছাত্র-শিক্ষক, সাধারণ মুসল্লী মিলে কয়েক হাজার লোকসমাগম প্রতিদিনই হয়। ঐতিহ্যের ধারক এই মসজিদের লাগোয়া পশ্চিম দিকেই মাদরাসা-মসজিদের প্রধান গেইট। গেইটের দু’পাশে কিছু খালি জায়গা আছে। এই জায়গা প্রাচীণ কালে খালের মতো গহীন এবং ময়লার ভাগাড় ছিলো। বাংলাদেশের জন্মেরও আগে ১৯৬১ সালে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই জায়গা মাদরাসার রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যায় রয়েছে।
তিনি বলেন, একসময় মাদরাসার নিজস্ব খরচে এই ময়লার ভাগাড় ও নর্দমাপূর্ণ গহ্বর ভরাট করা হয়। মাওলানা শাইখ আশরাফ আলী বিশ্বনাথী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ইন্তেকালের পর বাদবাকি ভরাটকাজ ও ড্রেন নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এসব কাজে প্রশাসনিক সহযোগিতা, মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী সকলের আন্তরিক সহযোগিতা জড়িত আছে।
হাফিজ হুসাইন আহমদ বিশ্বনাথী বলেন, দেশ ও প্রবাসের বিশ্বনাথ এলাকার সচেতন সকল নাগরিক, মাদরাসার সকল হিতৈষী ও সাধারণ জনতার কর্তব্য হলো চলমান কূটকৌশল রুখে দাঁড়ানো।