টাঙ্গাইলের শাড়ী তুমি কার: আমাদের ভুল ও ভবিষ্যত করণীয়

Published: 8 February 2024

Dr Zaki Rezwana Anwar FRSA

গত কয়েকদিন ধরে মূলধারার মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম ও চায়ের টেবিলে যে বিষয়টি নিয়ে ঝড় উঠেছে- তা হচ্ছে ভারত কর্তৃক টাঙ্গাইলের শাড়ীর জিআই স্বত্ব লাভ। কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ঐ জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে ঐ‌ দেশের ভৌগলিক নির্দেশক‌ বা জিআই (Geographical Indication) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই জিআই স্বত্বটি ঐ সামগ্রীর ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চলটিতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার অধিকার ও আইনী সুরক্ষা দেয়।

বিশ্বজুড়ে সমাদৃত বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ী। বংশ পরম্পরায় এই শাড়ীর সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের দেশের তাঁত শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা, মিশে আছে তাদের শ্রম ও ঘাম। টাঙ্গাইলের  শাড়ী বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের পণ্য । বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের শাড়ী আজকের কথা নয়, এটি হাজার বছর আগে থেকে আমাদের। ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনীর বর্ণণায় টাঙ্গাইলের তাঁতের উল্লেখ রয়েছে। ইবনে বতুতার বইয়ে টাঙ্গাইলের জোলা সম্প্রদায়, বসাক সম্প্রদায়ের হাতে তৈরী টাঙ্গাইলের তাঁতের কথার উল্লেখ রয়েছে। আমাদের টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, আমাদের অহংকার।

এ বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে দাবী করা হয় যে, টাঙ্গাইলের শাড়ীর উৎপত্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবং ভারত টাঙ্গাইলের শাড়ীর জিআই স্বত্ব পেয়েছে। ভারতের যুক্তি হচ্ছে, বসাক জাতি যারা মূলত টাঙ্গাইল অঞ্চলে বাস করত তাঁরা ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে ও সেখানেই বসবাস করতে থাকে এবং সেই বসাক সম্প্রদায় তাঁদের সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছিল ।‌ পশ্চিমবঙ্গে থেকে গিয়ে সেখান থেকেই তাঁরা আবার এই টাঙ্গাইলের শাড়ী তৈরি করা শুরু করে। কাজেই এর ভিত্তিতেই ভারত টাঙ্গাইলের শাড়ীর জিআই স্বত্ব দাবী করেছে। তবে  ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যারা টাঙ্গাইলের শাড়ী তৈরী করছেন তারা টাঙ্গাইলের আদিবাসী। এখন কথা  হচ্ছে জিআই কি ভৌগলিক অবস্থানের সাথে সম্পর্কযুক্ত নাকি ব্যাক্তি গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত? জিআই নির্ভর করে পণ্যটি যেখানে তৈরি হয় অর্থাৎ তার ভৌগলিক অবস্থান, সেখানকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তার উপর, কারা বা কোন গোষ্ঠী তৈরী করে তার উপর নয়।  টাঙ্গাইল তো বাংলাদেশেই অবস্থিত। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে যে  টাঙ্গাইলের শাড়ী তৈরী হয় তা বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের শাড়ীর চাইতে একটু ভিন্ন, এর মধ্যে রেশম ব্যবহার করা হয় এবং সেটির সূতার বুনটও ঘন।  জিআই পণ্য হিসেবে ভারতের বালাদেশের অঞ্চল টাঙ্গাইলের শাড়ীটি বেছে নেওয়াই  বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর ক্ষোভের কারণ। ঐ ক্ষোভের কারণেই ভারতের সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে পোষ্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে, তাতে তো সমস্যার সমাধান হয়ে গেল না। বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের শাড়ীর জিআই তো ভারতেরই রয়েই গেল। তবে এটিও ঠিক যে আবেদন না করলে তো আর‌  এমনিতেই কেউ জিআই নিবন্ধন পায় না।

এখানে এই পুরো ঘটনার প্রেক্ষাপটটি আলোচনার দাবী রাখে। ভারত যে টাঙ্গাইলের শাড়ীর স্বীকৃতি নিয়েছে সেটি তারা আবেদন করেছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে। এখানে দু’টো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আমার পাঠকদের সামনে উত্থাপন করতে চাই। সেজন্যে  একটু পেছনে ফিরে তাকানো যাক। ভারত কি ২০২০ সালেই প্রথম টাঙ্গাইলের শাড়ীর জিআই স্বত্ব আদায়ের জন্যে আবেদন করেছিল? এ ঘটনার শুরু কিন্তু ২০২০ সালে নয়! ২০১১ সালেও ভারত জিআই কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিল কিন্তু তা নাকোচ হয়ে যায় এবং পরে ২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের মত তারা আবেদন করে। তাহলে প্রথম প্রশ্ন হল ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত কি বাংলাদেশ ঘুমিয়ে ছিল? ২০১১ সালে যখন ভারত আবেদন করে প্রত্যাখাত হল তারপর এতগুলো বছর পার হল, এরমধ্যে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড টাঙ্গাইলের শাড়ীর জিআই পণ্য হিসেবে রেজিষ্ট্রেশনের জন্যে কেন আবেদন করেনি? ২০১১ সালে ভারত জিআই কতৃপক্ষ দ্বারা প্রত্যাখাত হওয়ার পরেও বাংলাদেশ কিছুই জানত না বা নিজেরা  উদ্যোগী হয়ে গত ৯/১০ বছরে জিআই নিবন্ধনের কোনোই উদ্যোগ নিল না – এটা ভাবা যায়?

ধরে নিলাম নানা গাফিলতির কারণে তখন ৯/১০ বছরে জিআই রেজিষ্ট্রেশনের জন্যে আবেদন করা হয়নি। তাহলে দ্বিতীয় প্রশ্ন হল জিআই আবেদনের পর প্রায় দু’মাসের মত সময় রেখে দেওয়া হয় সেই পণ্য সম্পর্কে কারো কোনো আপত্তি আছে কিনা তা জানাবার জন্যে। ভারত আবেদন করার পর সেই দু’মাস সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ কোনো অভিযোগ না তুলে যে একেবারে নীরব ছিল সে দায় কার তা বাংলাদেশের জনগণ জানতে চায়। ঐ সময়ে যদি বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম বোর্ড (BHB)  জিআই কর্তৃপক্ষের কাছে আপত্তি জানাত তাহলে কিন্তু ভারত আর এই জিআই নিবন্ধন পেত না।  টাঙ্গাইলের শাড়ী টাঙ্গাইলেই তৈরি হয় এবং ভারতে যেটি তৈরি হয় তা বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের লোকেরাই তৈরি করছে; ভৌগলিক অবস্থান  হিসেবে টাঙ্গাইল বাংলাদেশে; টাঙ্গাইলের শাড়ী বাংলাদেশ অঞ্চলের হাজার বছরের কৃষ্টি, ঐতিহ্য – এসব তথ্য দিয়ে দু’মাস সময়সীমার  মধ্যে বাংলাদেশ যদি আপত্তি জানাত তাহলে আজ টাঙ্গাইলের শাড়ীর  জিআই স্বত্ব বাংলাদেশের হাতছাড়া হত না। নিজের সম্পদ হেলাফেলা করে ফেলে রাখলে তা বেহাত হয়ে গেলে কি নিজের কোনোই দ্বায়িত্ব নেই? বলা বাহুল্য,  প্রথম আলো পত্রিকার হাল ফ্যাশনের কনসালটেন্ট জনাব সাইফুর রহমান বলেছেন, ভারত যে  টাঙ্গাইলের শাড়ীর জিআই নিবন্ধনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে তা  তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছিলেন। চেয়ারম্যান সাহেবের বক্তব্য ছিল ফাইল‌ রেডি আছে কিন্তু ব্যাস্ততার কারণে ফাইলটি নড়ছেনা। এটি কি শুধুই ব্যস্ততা, নাকি অবহেলা নাকি কারো ব্যাক্তিগত স্বার্থ জড়িত এতে? ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। ভুলে গেল চলবেনা জিআই রেজিষ্ট্রেশন পাওয়া শুধু একটি সেন্টিমেন্টাল ইস্যু নয়, এতে অর্থনৈতিক বিষয়াদিও জড়িত রয়েছে।

ভারত যখন টাঙ্গাইলের শাড়ীর জিআই রেজিষ্ট্রেশন করে-ই ফেলেছে, এখন বাংলাদেশের কি করণীয় রয়েছে? বাংলাদেশ এখন দু’টো কাজ করতে পারে।

প্রথমত: বাংলাদেশ যথাবিধি একটি দরখাস্ত করতে পারে যেখানে উল্লেখ করতে হবে যে টাঙ্গাইল বাংলাদেশে অবস্থিত এবং এটি হাজার বছর ধরে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে আসছে।  বাংলাদেশ অভিযোগ করলে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই এই টাঙ্গাইলের শাড়ীর জিআই রেজিষ্ট্রেশন পাতে পারে। সেক্ষেত্রে জিআই কতৃপক্ষ দু’দেশকে যৌথভাবে জিআই রেজিষ্ট্রেশন দেবে।  উদাহরণ হিসেবে আমরা বাসমতি চালের কথা মনে করতে পারি। বাসমতি চালের জিআই স্বত্ব প্রথমে ভারত পায় কিন্তু পরে পাকিস্তান আপত্তি করাতে জিআই কতৃপক্ষ ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশকেই যৌথভাবে বাসমতি চালের জিআই স্বত্ব দেয়।

দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশ তার নিজস্ব টাঙ্গাইলের শাড়ীর ঐতিহ্য ও বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করে ‘টাঙাইল শাড়ী বাংলাদেশ’ এরকম এটি নামে নতুন করে জি আই কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারে। বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের ‌শাড়ীর নিজস্ব‌ বৈশিষ্ট্যের কারণে ও ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি জুড়ে দিয়ে আলাদাভাবে দরখাস্ত করেও বাংলাদেশ জিআই নিবন্ধন পেতে পারে। বাংলাদেশ ‘ঢাকাই মসলিন’ এর জিআই রেজিষ্ট্রেশন যেভাবে পেয়েছে সেটিকে এখানে উদাহরণ হিসেবে স্মরণ করা যেতে পারে। সে সময়ে বাংলাদেশ জিআই এর জন্যে আবেদন করায় ‘বেঙ্গল মসলিন’ এর কথা তুলে ভারত আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। তখন যদি ‘ঢাকাই’ শব্দটি জুড়ে  দেওয়া না হত তাহলে ঢাকায় যে মসলিন তৈরী হয় সেটির জিআই রেজিষ্ট্রেশন বাংলাদেশ আর পেত না। সে সময় ‘ঢাকাই’ শব্দটি যোগ করাতে ভারতের অভিযোগ কাজ করেনি। তখন যদি ‘ঢাকাই’ শব্দটি ব্যবহার করা না হত তাহলে বাংলাদেশের হয়তো ভারতের সাথে যৌথভাবে  জিআই নিবন্ধনে যেতে হত।

আমাদের অনেকের মনে থাকার কথা, জামদানীর জিআই স্বত্বা যখন ভারত আমাদের কাছে হারায় তখন দেখা গেল ‘সানন্দা’ মিডিয়াতে ‘মটকা জামদানী’ তাদের তৈরী বলে প্রচার করা শুরু হয়। ভারতীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে বলা হচ্ছে, জামদানী মোটিফে টাঙ্গাইলের শাড়ী তৈরী করা হয়েছে । ভারী উদ্ভট একটি কথা! জামদানী মোটিফে কেন টাঙ্গাইলের শাড়ী হবে? অর্থাৎ  ঘুরে ফিরে আমাদের ঐতিহ্যবাহী ‘জামদানী’ শব্দটির প্রতি অনেকের যে আগ্রহ রয়েছে তা বোঝা যায়। জামদানী আমাদের পণ্য। ‘জামদানী’ শব্দটির সঙ্গে যে আমাদের ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে সেই জামদানী যেন আমাদেরই থাকে। জামদানীর একটি কো-ব্র্যান্ড নেওয়ার চেষ্টা যে চলে আসছে সে বিষয়ে আমাদের দেশ কতটুকু সজাগ? আমরা ঘুমিয়ে থাকলে অন্য দেশকে দোষারোপ করে তো দিনশেষে আমাদের ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই। কাজেই বাংলাদেশের সজাগ থাকতে হবে যে,  কেউ  কখনো বাংলাদেশের কোনো পণ্যকে নিজেদের বলে যদি জিআই কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করে তাহলে অভিযোগ করার সময়সীমার মধ্যে যেন বাংলাদেশ বিধি অনুযায়ী অভিযোগ করে যাতে  আমাদের ঐতিহ্যকে আমরা রক্ষা করতে পারি।

আমাদের ভৌগলিক অবস্থান ভেদে যে গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলো রয়েছে সেগুলোর জিআই নিবন্ধন করানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ঐতিহ্যবাহী জামদানী, ইলিশ মাছ, রাজশাহীর সিল্ক ও বগুড়ার দই- এগুলোর জিআই স্বত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ – সেজন্যে আমরা গর্বিত। এর আগে আমাদের অলসতা,উদাসীনতা অথবা দেশ প্রেমের ঘাটতির কারণে রসগোল্লা, নকশিকাঁথা, ফজলি আম ও নারকেলের মোয়ার জিআই স্বত্ব পেয়েছে ভারত। যশোরের খেজুরের গুড়, মধুপুরের আনারস, মৌলভীবাজারের আগর-আতর, দিনাজপুরের লিচু, মুক্তাগাছার মন্ডা – এসব সহ আমাদের‌ ঐতিহ্যবাহী আরো অনেক পণ্যের জিআই স্বত্ব এখনো আমরা পাইনি। এটি হেলাফেলা করার মত কোনো ব্যাপার নয়। আমাদের সময়মত উদ্যোগের অভাবে, আমাদের ব্যর্থতআর কারণে দেখা যাবে ভবিষ্যতে আমাদের টাঙ্গাইলের শাড়ী বিদেশে রপ্তানি করার সময় প্রতি পিস শাড়ীর জন্যে ভারতকে কিছু অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আমাদের অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও যদি একই  ঘটনা ঘটে তাহলে প্রতিটি পণ্যের  ক্ষেত্রেই একইভাবে আমাদের অর্থ গুনতে হবে । কাজেই জিআই স্বত্ব না পাওয়াটা  কেবলমাত্র একটি সেন্টিমেন্টাল ইস্যু নয়, ভবিষ্যতে অর্থনৈতিকভাবে এর মূল্য আমাদের দিতে হবে।

দিনে দিনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জিআই নিবন্ধনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আরো‌ বাড়বে। জিআই স্বত্বকে আমরা যেভাবে হালকাভাবে দেখছি তেমন হালকাভাবে দেখার কোনো অবকাশ নেই। এর সাথে জড়িত মেধাস্বত্ব, স্বীয় ঐতিহ্য, কৃষ্টি, জাতি স্বত্তা, সম্মান ও সেই সাথে জড়িত অর্থনৈতিক বিষয়টিও। এ  ব্যাপারে যদি আমরা সজাগ না হই, আমরা যদি নিজেদের সম্পদ রক্ষায় সচেষ্ট না হই তাহলে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হবে আমাদের সম্পদ আর আমাদের পূর্ব পুরুষেরা তাঁদের মেধা, শ্রম ও ঘাম দিয়ে যা যা অর্জন করেছিলেন তা আমরা একে একে বিসর্জন দিতে থাকব।।

……………………………………………………………..

লেখক একজন চিকিৎসক, জনপ্রিয় সিনিয়র সংবাদ পাঠক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।