কক্সবাজারে আশ্রয়হীন হাজারও রোহিঙ্গা

Published: 24 May 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৩ নম্বরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দেড় ঘণ্টার আগুনে পুড়েছে দোকান-ঘর, মসজিদ, টয়লেট, এনজিও অফিসসহ ৫ শতাধিক স্থাপনা। আর পাঁচশ স্থাপনার মধ্যে আংশিক পুড়েছে দুই শতাধিক দোকানঘর। এ দেড় ঘণ্টায় বসতি ও দোকানঘর মিলে প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উখিয়ার থাইংখালি ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা এ অগ্নিকাণ্ড বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের কারণে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে প্রায় আড়াই হাজারের মতো রোহিঙ্গা।

ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, থাইংখালি ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিও সংস্থা কারিতাস অফিসের কাছ থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আগুন দ্রুত ক্যাম্পের কাঁঠাল গাছতলা বাজারসহ ক্যাম্পের ঘরে-ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।

এতে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে ২০০ বাঁশের ঘর, আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২০টি ঘর, দোকান পুড়েছে ২৫টি, টয়লেট পুড়েছে ৪৫টি, কারিতাস অফিস, মসজিদ, বাঁশের সিএফএস: কমিউনিটি সেফ স্পেস, ৮টি টেপ স্ট্যান্ড ও বিতরণ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কক্সবাজারের ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সঙ্গে যোগ দেন এপিবিএন সদস্য ও স্থানীয় রোহিঙ্গারা। পরে আরও দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায়।

তিনি আরও বলেন, সব ইউনিট ও ক্যাম্প সংশ্লিষ্টরা সমন্বিত দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে কোন স্থান হতে আগুনের সূত্রপাত তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে ৫ শতাধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

থাইংখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রহিম উল্লাহ জানান, দুপুরের আগে ১৩ নম্বর ক্যাম্পের কাঁঠাল গাছতলা বাজারে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে ক্যাম্পের ঘরে লেগে যায়। এ ঘটনায় দুই শতাধিক দোকান ও ঘর পুড়ে গেছে।

কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দৌজা নয়ন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে জানানো হলে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। কিভাবে আগুন লেগেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। যেসব রোহিঙ্গাদের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ঘর তৈরির কাজ শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।