তাবিজ কুফুরি কালাম জাদু থেকে মুক্তির দোয়া ও আমল

Published: 2 July 2024

প্রশ্ন: আমাকে কেউ কুফুরি করে, আমি কাটাই. কিন্তু ফিরে ফিরে আবার করে। তার এখানে স্বার্থ আছে। এখন আমি কী করতে পারি, তাবিজ বা কালো জাদু থেকে উত্তরণের উপায় কী?

উত্তর: কুফরি-কালাম বা জাদু নষ্ট করার ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁকের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। এর পদ্ধতি হচ্ছে- জাদুতে আক্রান্ত রোগীর উপর অথবা কোন একটি পাত্রে আয়াতুল কুরসি অথবা সুরা আরাফ, সুরা ইউনুস, সুরা ত্বহা এর জাদু বিষয়ক আয়াতগুলো পড়তে হবে। এগুলোর সঙ্গে সুরা কাফিরুন, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়বে এবং রোগীর জন্য দোয়া করবে।

বিশেষত: যে দোয়াটি রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে:

اللَّهُمَّ ربَّ النَّاسِ، أَذْهِب الْبَأسَ، واشْفِ، أَنْتَ الشَّافي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفاءً لاَ يُغَادِرُ سقَماً

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রব্বান নাস, আযহিবিল বা’সা ওয়াশ ফি আনতাশ শা-ফী লা শিফা-আ ইল্লা শিফাউকা শিফা-আল লা ইউগা-দিরু সুক্বমা।

অর্থ: হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি কষ্ট দূর করে দিন ও আরোগ্য দান করুন। (যেহেতু) আপনিই রোগ আরোগ্যকারী। আপনার আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। আপনি এমনভাবে রোগ নিরাময় করে দিন যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।

জিব্রাইল (আ.) নবীকে (সা.) যে দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছেন সেটাও পড়া যেতে পারে। সে দোয়া হচ্ছে-

بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ , مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ أَوْ حَاسِدٍ , اللَّهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ

উচ্চারণ- বিসমিল্লা-হি আরক্বীকা, মিন কুল্লি শাইয়িন য়্যু’যীক, অমিন শাররি কুল্লি নাফসিন আউ আইনি হা-সিদ, আল্লা-হু য়্যাশফীক, বিসমিল্লা-হি আরক্বীক।

অর্থ: আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। সকল কষ্টদায়ক বিষয় থেকে। প্রত্যেক আত্মা ও ঈর্ষাপরায়ণ চক্ষুর অনিষ্ট থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি।

এই দোয়াটি তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন। সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন।

আলেমরা বলেছেন, এ দোয়াগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে হবে। এরপর জাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে পানি পান করবে। আর অবশিষ্ট পানি দিয়ে প্রয়োজনমত একবার বা একাধিক বার গোসল করবে। তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে।