সিলেটের কাস্টমস কমিশনার এনামুলের ৯ তলা বাড়ি জব্দের নির্দেশ

Published: 5 July 2024

পোস্ট ডেস্ক :


সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন গতকাল এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। দুদক সূত্রে জানা গেছে, কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৩১শে জুলাই মামলা করে দুদক। গতকাল তার ঢাকার বসুন্ধরার জি-ব্লকে ৯ তলা বাড়ি, বনানী ও কাকরাইলে দুটি ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরসহ ঢাকায় তিনটি বাণিজ্যিক স্পেস ও গুলশানে কার পার্কিংয়ের জায়গা জব্দ করার আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

এনামুলের জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৩ কাঠার ওপর নয় তলা বাড়ি, খিলক্ষেতে ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ৩৩ শতাংশ জমি, কাকরাইলের আইরিশ নূরজাহান টাওয়ারে কমন স্পেসসহ ১১৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার মূল্য ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা, একই ভবনে কারপার্কিং স্পেসসহ ১৮৩৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট যার মূল্য ৫১ লাখ ২৯০০ হাজার টাকা। এ ছাড়া কাকরাইলে ১৯০০ বর্গফুট ও ৩৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ কারপার্কিং যার মূল্য ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাজীপুরে ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকার পাঁচ কাঠা জমি। মোহাম্মদপুরে তিনটি বাণিজ্যিক ভবনে চার হাজার বর্গফুটের তিনটি স্পেস, যার প্রতিটির মূল্য ৭১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা করে।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুরে ১০ হাজার ৯৬৫ বর্গফুটের স্পেস রয়েছে, যার মূল্য দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে আরও রয়েছে- গুলশানের ৭২ লাখ টাকার ২৪২৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বাড্ডায় চার কাঠা নাল জমি যার মূল্য ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন আবেদনে উল্লেখ করেন, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলা করা হয়।
তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, আসামি তার মালিকানাধীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে এই মামলার ধারাবাহিকতায় আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।