প্রধান চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ : অর্থ উপদেষ্টা

Published: 10 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা।

শনিবার (১০ আগস্ট) সচিবালায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে দেশের অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। আমাদের লক্ষ্য হবে যত দ্রুত সম্ভব অর্থনীতিকে গতিশীল করা। কারণ অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে গেলে সেটা চালু করা বেশ কঠিন। আমরা স্তব্ধ হতে দিতে চাই না।

ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘অর্থনীতিতে নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। ব্যাংকের সমস্যা রয়েছে, মূল্যস্ফীতির সমস্যা রয়েছে। আরও অনেক ধরনের জটিলতা রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই কাজ করতে হবে।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সময় শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বা নিরাপত্তাব্যবস্থা নয়; ব্যাংক খোলা, বন্দর চালু করাসহ সবকিছুই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে।

সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের ওপর একটি দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। আমি বলি ছাত্র-জনতা সবার পক্ষ থেকে সেটি দেওয়া হয়েছে। এটি খুব কঠিন সময়। আমাদের কনসার্ন হলো দেশের ছাত্র-জনতার সংগ্রামে এটি আসছে। আমাদের এখন প্রধান কাজ আইনশৃঙ্খলা ঠিক করা। এটা যদি আমরা না করতে পারি তাহলে কিন্তু সমস্যা তৈরি হবে। আইনশৃঙ্খলা শুধু রাস্তাঘাটের না, ব্যাংকগুলো চালু করাসহ যেগুলো আছে সেগুলো আমরা চেষ্টা করছি ঠিক করতে ইমেডিয়েটলি। চ্যালেঞ্জ যেগুলো আছে তারমধ্যে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তো আছেই। সামষ্টিক ক্ষেত্রে, মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে যে সমস্যা আছে আমরা ইমেডিয়েটলি চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিভঙ্গি অর্থনীতি যদি থমকে যায়, মন্থর হতে পারে। কিন্তু থমকে গেলে কিন্তু একটা গাড়ির মতো বন্ধ হয়ে গেলে অনেক সময় লাগে। তাদের ব্যাংকের ওপর চাপ পড়ে। তাই চাচ্ছি গতিটা যেন সচল করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের সংস্কার করা হবে, তবে আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম চালু হোক। এর আগে আমাদের অর্থনীতিতে কিছু ভুল নীতি ছিল, মানুষ উন্নয়নের সুফল পাননি। এখন আমরা সার্বিক বিষয়গুলো দেখবো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ নিয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদটি সেনসিটিভ। তিনি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন, এটি ঠিক। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলছি না। আগামীকাল একটি বৈঠক আছে। আলাপ-আলোচনা করে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অর্থপাচার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক এই গভর্নর বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা হবে। তবে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা আগে করতে হবে। দেশের অর্থনীতির গতি থেমে যায়নি, তবে মন্থর হয়ে আছে। সেই মন্থর গতি ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের এখন অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনা। তবে এটা শুধু রাস্তাঘাট নয়, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সবার আগে নজর দিতে হবে। কারণ এই সরকার বেশি দিনের জন্য আসেনি। তাই কাজগুলো দ্রুত করতে হবে।

আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য আনা হবে জানিয়ে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাতে মানুষের আস্থা ফেরানো একটা চ্যালেঞ্জ। এ খাত পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিতে হবে এখনই। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে হবে। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হবে।