ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি

Published: 10 August 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগের কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি বলে জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১০ আগস্ট) আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম খুদেবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, এখন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগের কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। তাই এ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশ করা থেকে বিরত থাকতে আইন মন্ত্রণালয় অনুরোধ জানিয়েছে।

এর আগে বিকেলে দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।

সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, প্রধান বিচারপতি অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। তাছাড়া হাইকোর্টের অন্যান্য আইনজীবীরা এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এমন প্রেক্ষাপটে ওবায়দুল হাসান বিচারপতিদের বৈঠক বাতিল করেন। কিন্তু তারপরও হাইকোর্ট ঘেরাও করেন শিক্ষার্থী ও আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতিকে দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন তারা।

১৮.
শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা যাবে না: মজনু

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। ছাত্রজনতার জীবনের বিনিময়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটেছে। শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা যাবে না। যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হয়েছে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বাংলামটরে আতঙ্কিত নাগরিকদের স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মজনু বলেন, দেশের জনগণ যাতে গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করতে পারে সে চেষ্টা আমাদের করতে হবে। সুযোগসন্ধানীরা অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। আমরা সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনার অতীতে যেভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন সেভাবে এখনো পরিচালনা করুন। যদি বিএনপির কোনো নেতাকর্মীও হামলা চালাতে আসে তাদের প্রতিহত করুন। তারেক রহমানের নির্দেশ পুরো দেশকে দখলমুক্ত করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সবাইকে এ সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে। সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

মজনু বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য শহীদ জিয়া নিহত হয়েছেন, খালেদা জিয়া বন্দী হয়েছেন, তারেক রহমান দেশান্তরী হয়েছেন, সে গণতন্ত্রকে নসাৎ করা যাবে না। ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করবো চাঁদাবাজদের প্রতিহত করুন। তবে, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।

এসময় বিএনপিতে কোনো দুষ্কৃতকারী এবং লুটেরাদের স্থান নেই বলে দাবি করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়ক শেখ রবিউল আলম রবি। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে বিএনপি জাতীয় সম্পদ ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপিতে কোনো দুষ্কৃতকারী এবং লুটেরাদের স্থান নেই। কেউ যদি বিএনপির নাম ব্যবহার করে লুটপাট চালায়, অরাজকতা করে তাহলে তাদের আটকিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের খবর দেবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।

রবি বলেন, বিএনপি জনগণের পাশে আছে। জনগণ আপনাদের পাশে আছে, এদেশ আপনাদের। আপনাদের অভয় দিয়ে যাচ্ছি, আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দেব। পাশাপাশি আপনাদেরও দায়িত্ব আছে, লুটতরাজকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন।

এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য দেন। এছাড়াও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের আতঙ্ক দূর করতে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অনেক জায়গায় মন্দিরে পাহারা বসিয়েছেন।