সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ একজনের মৃত্যু

Published: 8 September 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে (জাহাজভাঙা) কারখানায় বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে আহমেদ উল্লাহ (৩৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহমেদ উল্লাহ মারা যান।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আটজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে আহমদ উল্লাহ পথেই মারা গেছেন। আমাদের এখানে তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।

ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া অন্য দগ্ধ রোগীরা হলেনÑ বরকত উল্লাহ ওরফে রফিক (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), আল আমিন (২৩) জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), হাবীব (৩৫), মো. খাইরুল ওরফে রফিকুল (২১) ও আবুল কাশেম (৩৯)।

তারিকুল বলেন, দগ্ধদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলমের শরীরের ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেমের ৭০ শতাংশ, বরকাতুল্লাহর ৬০ শতাংশ, খায়রুল ইসলামের ৮০ শতাংশ, আল-আমিনের ৮০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের ২৫ শতাংশ এবং হাবিব নামে একজনের শরীরের ৪৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে।

এই সাতজনের মধ্যে পাঁচজন আইসিইউতে এবং দুজন এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

চিকিৎসক তারিকুল বলেন, উনাদের সবার অবস্থাই খুব খারাপ। ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ পুড়েছে বেশিরভাগের। সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। সবাই মেজর বার্ন ইনজুরি, এজন্য সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

শিশুদের শরীরের ১০ শতাংশের বেশি এবং বয়স্কদের ১৫ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলেই তাদের জীবনের ঝুঁকি থাকে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। যাদের শরীর এরচেয়ে বেশি পুড়েছে তাদের সবারই জীবন নিয়ে শঙ্কা আছে বলে ভাষ্য এই চিকিৎসকের।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকার এস এন করপোরেশনে একটি জাহাজের পাম্প হাউজে কাজ করার সময় বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়। এতে ১২ জন দগ্ধ হন।

এরপর তাদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসক রফিক উদ্দিন বলেছিলেন ১২ জনের মধ্যে ১০ জনের শরীর১০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে এবং সবাই শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বাকি দুইজনের কানে সমস্যা হয়েছে।

শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বিকাল ৫টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির দগ্ধ আট শ্রমিক-কর্মচারীকে মালিকপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে নিয়ে পাঠানো হয়।

এই শ্রমিকদের সহকর্মী নাজমুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সীতাকুণ্ডের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকায় জাহাজে কাজ করার সময় তেলের ট্যাংকে বিস্ফোরণ হয়ে দগ্ধ হন তাঁরা। প্রথমে তাঁদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে রাতেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়।