অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ উল্লেখ করে যে বিবৃতি দিল ছাত্রলীগ

Published: 21 October 2024

পোস্ট ডেস্ক :


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অসংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ সরকার উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারকার্যকে তামাশা মঞ্চস্থ করা হচ্ছে দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।

ছাত্রলীগআজ সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো ‘অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ সরকারের দায়মুক্তির তামাশা এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ঘিরে বিচারিক প্রহসন বন্ধের আহ্বান’ শীর্ষক এক সংবাদ বিবৃতিতে এই দাবি করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ অবাক বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করছে অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ সরকার কর্তৃক সরাসরি পরিচালিত ও প্রযোজিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিচারিক প্রহসনের তামাশা মঞ্চস্থ হতে শুরু করেছে। জনগণের নির্ভরতা ও নিশ্চয়তার প্রিয় ঠিকানা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্রই বরদাশত করবে না বাংলাদেশের মানুষ।

জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমেই সব অপচেষ্টা রুখে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংঘটিত আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ ও আইনি সমাধানের প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী-মৌলবাদী-দেশবিরোধী সংগঠনের প্রশিক্ষিত ক্যাডার বাহিনী, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত এবং পেশাদার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পরিচালিত তাণ্ডবের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না মর্মে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ।

এতে আরো বলা হয়, আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের নবতর সংস্করণ চালু, কারাগার থেকে অপরাধীদের মুক্তি, বিচার বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রকৃত উদ্দেশ্য গণতন্ত্রকামী ছাত্রসমাজের কাছে দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ এবং জাতিসংঘকে পূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

আইনানুগ প্রক্রিয়াকে বন্ধ করার মাধ্যমে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক সরকার ‘মেটিকুল্যাসলি প্ল্যানড’ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দায়মুক্তি নিশ্চিত করতে চায়। পঁচাত্তরের ইনডেমনিটি খুনিদের সুরক্ষাকবচ হতে পারেনি, চব্বিশের দায়মুক্তিও খুনিদের সুরক্ষা দিতে পারবে না।