ট্রাম্প হিলারীকে হারালেও কামলাকে কেন হারাতে পারবেন না

Published: 24 October 2024

 

Dr Zaki Rezwana Anwar FRSA

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বেশ‌ কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে কামলা হ্যারিসের পাশাপাশি নতুন করে হিলারি ক্লিন্টন আলোচনায় উঠে এসেছে। অনেক বিজ্ঞ আলোচক বলার চেষ্টা করছেন যে, কামলা হ্যারিসের চাইতে হিলারি ক্লিনটনের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দক্ষতা বেশী ছিল। ২০১৬ সালে জনমত জরিপ ও পন্ডিতদের ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যে প্রমাণিত করে  হিলারি ক্লিনটনের মত একজন ঝানু প্রার্থীকে যদি ট্রাম্প হারাতে পারেন, তাহলে বর্তমান সময়ে যখন গাজায় মানবতাবিরোধী কার্যকলাপে ইন্ধন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে, সে মূহুর্তে শ্বেতাঙ্গ নন এমন একজন নারী প্রার্থীকে ট্রাম্পের হারানোর সম্ভাবনা অনেক বেশী বলে ধারণা করছেন অনেকেই। এছাড়া ট্রাম্পকে নির্বাচিত করার ইতিহাস তো রয়েছে। এত কিছুর পরও কেন আমি মনে করছি, কামালা হ্যারিসই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট – আজকের আলোচনাটা মূলত সেটি নিয়েই। লিখাটির কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্টোরাল ভোটিং পদ্ধতি ও সুইং অঙ্গরাজ্য – এসব বিষয়কে আজ আলোচনার বাইরে রাখছি।

১৮৬০ সাল থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে বাইনারি অর্থাৎ ডেমোক্রেট অথবা রিপাবলিকান এই দুই পার্টির মধ্যেই লড়াই হয়ে আসছে। এই দু’টো দলের বাইরে অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীকে মার্কিনীরা প্রচলিতভাবে থার্ড পার্টি প্রার্থী বলে থাকে এবং এ পর্যন্ত কোনো থার্ড পার্টি প্রার্থীই বিজয়ের কাছাকাছিও আসতে পারেনি।

মার্কিন মুলুকের বাইরে আমরা যারা থাকি তাঁরা ‌অনেক সময়‌ মার্কিনীদের ভোট দেওয়ার ধরনটা ঠিক বুঝতে পারিনা। তবে গত ১০০ বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ধরন পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে মার্কিন ইতিহাসবিদ এ্যলান লিচম্যান তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ Predicting The Next President এ 13 keys to White House  এর কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে (ব্যাক্তিগতভাবে গত ২০ বছরে আমিও তা লক্ষ্য করেছি) মার্কিন প্রেসিডেন্শাল নির্বাচন মূলত হোয়াইট হাউজে যারা রয়েছেন তাঁদেরকে দেওয়া একটা রেফান্ডাম ছাড়া আর কিছু না, অর্থাৎ প্রাক নির্বাচনী চার বছরে হোয়াইট হাউজে যে পার্টি রয়েছে তাদের কার্যকলাপে যদি মার্কিনীরা মোটামুটি সন্তুষ্ট থাকে তাহলে ক্ষমতাসীনদের তাঁরা আরো চার বছর সময় দেয়। যদি ক্ষমতাসীনদের উপর সন্তুষ্ট না থাকে তাহলে অপর পক্ষের যে-ই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাঁকেই মার্কিনীরা নির্বাচিত করে। হোয়াইট হাউজের এই গভর্নেন্স পারফরমেন্স বিচার করা নির্ভর করে ১৩টি ফ্যাক্টরের (চাবির) উপর।

সেগুলো হচ্ছে: ১) পার্টি ম্যান্ডেট: যদি ক্ষমতাসীন‌ দল হাউজ অফ রেপ্রেজেন্টেটিভে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের ঠিক আগের মিডটার্ম নির্বাচনে পূর্বের মিডটার্ম নির্বাচনের চাইতে বেশী আসন পায় তাহলে এটি ক্ষমতাসীনদের পক্ষে একটি চাবি যোগ করে, কারণ মিডটার্মে আসন সংখ্যা বাড়া ক্ষমতাসীন দলের প্রতি জনগণের আস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করে।

২) কনটেষ্ট: ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে নমিনেশনের জন্যে যদি তেমন লড়াই না হয় তাহলে সেটি হোয়াইট হাউজের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে একটি চাবি যোগ করে কারণ এতে ধারণা করা যায় যে, দলের মধ্যে বিভেদ কম।

৩) ইনকাম্বেন্সি: ক্ষমতায়  থাকা প্রেসিডেন্ট যদি প্রার্থী হন তাহলে ধরে নেওয়া হয় এই চাবিটিও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে গেল, কারণ তিনি যে শুধু মিডিয়া কভারেজ বেশী পান তা নয়,  তাঁর নীতিমালা চলমান রাখার সমস্ত ব্যবস্থাও তাঁর করায়ত্ত থাকে।

৪) থার্ড পার্টি: যদি ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানের বাইরে তেমন শক্তিশালী থার্ড পার্টি না থাকে তাহলে সেটি ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে একটি চাবি যোগ করে, কারণ দেখা গেছে শক্তিশালী থার্ড পার্টি প্রার্থী সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের ভোটের অংশেই বেশী ভাগ বসায়।

৫) শর্ট-টার্ম ইকনমি: প্রেসিডেন্শাল নির্বাচনের প্রাক্কালে যদি যুক্তরাষ্ট্র‌ রিসেশন বা অর্থনৈতিক মন্দায় না থাকে তাহলে ক্ষমতাসীন দল এই চাবিটি পায়। বিপরীতটি ঘটলে ক্ষমতাসীনরা এই চাবিটি খুইয়ে ফেলে।

৬) লংটার্ম ইকনমি: যদি বাস্তব অর্থে মাথাপিছু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একই থাকে অথবা বাড়ে তাহলে এই চাবিটি ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যায়, কমে গেলে ক্ষমতাসীনরা এই চাবিটি হারায়।

৭) পলিসি পরিবর্তন: যদি হোয়াইট হাউজে ক্ষমতাসীন দল তাদের নির্বাচনের আগের টার্মে কোনো উল্লেখযোগ্য সুনীতি প্রণয়ন করতে পারে তাহলে তা তাদের পক্ষে যায়।

৮) সোশ্যাল আনরেষ্ট: যদি নির্বাচনের আগে চার বছরে দেশব্যাপী বড় ধরনের (ছোটখাট বা অঙ্গরাজ্য ভিত্তিক নয়) সামাজিক অস্থিরতা দেখা দেয় তাহলে ক্ষমতাসীনরা এই চাবিটি হারায়।

৯) স্কেনডেল: নির্বাচন পূর্ববর্তী টার্মে যদি ক্ষমতাসীনদের প্রশাসনিক (ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক নয়) কোনো স্কেন্ডেল থাকে তাহলে ক্ষমতায় থাকা দলটি এই চাবিটি হারায়।

১০) ফরেন / মিলিটারি ফেইলিওর: বিগত টার্মে সামরিকভাবে যদি কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যার্থতা থাকে তাহলে হোয়াইট হাউজের দল এই চাবিটি হারায়।

১১) ফরেন / মিলিটারি সাক্সেস: যদি বিগত টার্মে হোয়াইট হাউজের উল্লেখযোগ্য সামরিক সাফল্য (মার্কিনীদের দৃষ্টিতে, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে নয়) অর্জিত হয় তাহলে ক্ষমতাসীনদের ঝুলিতে পড়ে আরেকটি চাবি।

১২) ইনকাম্বেন্ট ক্যারিসমা: যদি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী দেশব্যাপী দল মত নির্বিশেষে একজন ক্যারিসম্যাটিক ব্যাক্তিত্ব হন বা একজন জাতীয় নায়ক হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পান তাহলে তা দলের পক্ষে একটি চাবি যোগ করে।

১৩) চ্যালেঞ্জার ক্যারিসমা: যদি বিরোধী দলের প্রার্থী দেশব্যাপী দল মত নির্বিশেষে‌ একজন ক্যারিসম্যাটিক ব্যাক্তিত্ব হন বা তাঁকে যদি জাতীয় নায়ক হিসেবে গণ্য করা হয় তাহলে এই চাবিটি বিরোধী দলের প্রার্থীর পকেটে যায়।

গত ১০০ বছরের নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যদি ক্ষমতাসীন দল ৬ অথবা তার চাইতে বেশী সংখ্যক চাবি হারিয়ে ফেলে তাহলে মার্কিনীরা ক্ষমতাসীনদের হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায় জানিয়ে  বিরোধী দলের প্রার্থী তিনি যেমন-ই হন না কেন তাঁকে একবার সুযোগ দেয়।

এবারে দেখা যাক, ডোনাল্ড ট্রাম্প হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করলেও কেন আমি মনে করছি  কামলা হ্যারিসই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

আমাদের মনে থাকার কথা, হিলারি ক্লিনটন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলে ডেমোক্রেট দলের আরেক শক্তিশালী প্রার্থী বার্ণি স্যান্ডার্স দলের ভেতর থেকে নমিনেশনের জন্যে হিলারির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ‌নামে।‌ নমিনেশনের‌ দৌড়ে হিলারি ক্লিনটনের বিপরীতে বার্ণি স্যান্ডার্স একজন দূর্বল প্রতিযোগী ছিলেন না মোটেও। নমিনেশন নিয়ে সেই লড়াই দলের মধ্যে একতাহীনতা ও দূর্বল প্রশাসনের বহি:প্রকাশ বলে গণ্য করা হয়েছিল। অপরদিকে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার ঘোষণার সঙ্গে  সঙ্গেই কামলা হ্যারিসের নাম একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে দেশবাসীকে বোঝানো গেল যে, ২০১৬ সালের মত এবার আর তাদের নিজ দলের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই এবং পুরো ডেমোক্রেট একহাট্টা  হয়ে কামলা হ্যারিসকে সমর্থন দিচ্ছে। এতে কামলা হ্যারিসের বাড়তি যে লাভটি হয়েছে তা হল,  আর এফ কে জুনিয়র যে থার্ড পার্টি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবার কথা বলছিলেন সে সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে দাঁড়ালেন।

এছাড়া, ২০২০ সালে ট্রাম্পের পর ডেমোক্র্যাট দল জলবায়ু পরিবর্তন যেমন প্যারিস চুক্তিতে ফিরে‌ যাওয়া, অভিবাসন, অবকাঠামোগত বেশ কিছু বড় পলিসিগত পরিবর্তন করেছে যেগুলোকে মোটা দাগে মার্কিনীরা স্বাগত জানিয়েছিল। আর এসব কিছুই ডেমোক্রেট প্রার্থী কামলা হ্যারিসের জন্যে ইতিবাচক ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে ওবামার দ্বিতীয় টার্মে অর্থাৎ হিলারি ক্লিনটনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঠিক আগের চার বছরে ওবামার এফোর্ডেবল কেয়ার এক্ট নানা জটিল বাস্তবতার মুখে পড়েছিল এবং বিন লাদেনের হত্যার পর এ বিষয়ে পরবর্তী সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা ডেমোক্রেট দল দিতে পারেনি। এ দু’টো বিষয়ই হিলারি ক্লিনটনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। ঐ পরিস্থিতিতে রিপাবলিকান দল থেকে যে প্রার্থীই দাঁড়াতেন তিনিই বিজয়ী হতেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে তখন রাজনৈতিক cycle এর সঠিক বিন্দুতে পড়ে গিয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক  অঙ্গনে যে যার মত ব্যাখ্যা দিলেও মার্কিন রাজনীতিতে ইউক্রেন ইস্যূ বাইডেন প্রশাসনের একটি বড় বিজয় বলে মনে করা হয়। পশ্চিমা বিশ্বের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো বাইডেনের ডাকে যে একহাট্টা হয়ে তাঁর ছাতার তলায় জড়ো হয়েছিল তাতে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র যে বিশ্ব মোড়ল সেটি বিশ্বকে ভালভাবে জানান দিতে পেরেছিল। তাতে বেশীরভাগ মার্কিনীরা তৃপ্ত হয়েছিলেন কারণ ট্রাম্পের সময়ে বিশ্বকে তেমন মোড়লগিরি দেখানো সম্ভব হয় নি। তার চাইতেও বড় কথা, একাজে রিপাবলিকানদের তেমন উৎসাহ না থাকলেও তারাও এ ব্যাপারে বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছিল। অনেকে ইতিহাসবিদ মনে করেন, ইউক্রেন ইস্যূতে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একই সাথে  বিরোধী দল রিপাবলিকান ও সেই সাথে গোটা পশ্চিমা বিশ্বকে তাঁর ডানার নীচে নিয়ে আসাটা বাইডেনের ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের একটি বড় সাফল্য। আর এটি কামলা হ্যারিসের জন্যে ইতিবাচক ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে বলে ধরে নেওয়া যায়।

এদিকে বাইডেন সরে দাঁড়ানোতে বাইডেনের বিপক্ষে যে সামাজিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল সেটিও পেছনে পড়ে গেল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সংজ্ঞা অনুযায়ী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে না, নইলে তা কামলা হ্যারিসের জন্যে নেতিবাচক হতে পারত।

দেখা যাক যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী কোন কোন ফ্যাক্টর এবার ট্রাম্পের পক্ষে যাচ্ছে। ২০২২ সালে মিড টার্ম নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের আসন সংখ্যা কমে গিয়েছিল। এছাড়া গাজায় মার্কিন সরকার এত অর্থ, অস্ত্র ও সমর্থন দেওয়ার পরও এর কোনো শেষ দেখা যাচ্ছেনা বরং এ নিয়ে বিশ্বে মার্কিনীদের ব্যার্থতার পাশাপাশি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ দু’টো চাবি অবশ্য ট্রাম্পের পকেটে ঢুকেছে।

মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে অনেককেই বলতে শুনেছি যে, নির্বাচনের ঠিক আগে এমন কিছু ঘটে যেতে পারে যেটি নির্বাচনের ফলাফলকে পাল্টে দিতে  পারে। লক্ষ্য করলে দেখবেন মার্কিন রাজনৈতিক আলোচনায় ‘অট্টোবর সারপ্রাইজ’ আসলে একটি মীথ। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের কন্ঠে নারী লাঞ্ছনার বিষয়ে টেপটি ফাঁস হওয়ার পরেও এর প্রভাব নির্বাচনের উপর পড়েনি। আরো দেখা যায় মিডিয়াতে অনবরত জরীপ প্রকাশ প্রায় হয় যা প্রতিদিনই উঠানামা করে। ১৯৮৮ সালে নির্বাচনের ঠিক আগে মিডিয়াতে বলা হয়েছিল জর্জ বুশ জনমত জরীপে ১৭ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন অথচ বুশ বিজয়ী হয়েছিল।  যদি ক্যাম্পেইন এবং জনমত জরীপ ফলাফল নির্ধারণ করত তাহলে হিলারি ক্লিনটনের বিজয়ী হওয়ার কথা ছিল। তাঁর ক্যাম্পেইন ছিল চমৎকার, প্রতিটি ডিবেটে তিনি ভাল করেছিলেন, তিনি বেশী বিজ্ঞাপন পেয়েছিলেন, তার উপর অক্টোবরে ট্রাম্পের নারী ঘটিত কেলেঙ্কারির টেপ ফাঁস – এত কিছুর পরও হিলারি ক্লিনটন বিজয়ের মুখ দেখলেন না।

আমার পাঠকদের  নিশ্চয়ই ২০০০ সালে মার্কিন নির্বাচনের কথা মনে আছে। সে বছর আল গোর বিজয়ী  হওয়ার পর এবং তা সিএনএন ও ফক্সে ঘোষণা দেওয়ার পর সুপ্রীম কোর্টের রায়ে বুশ ক্ষমতায় এসেছিলেন। সে রকম‌ কোনো  দূর্ঘটনা (যা মার্কিন  ইতিহাসে‌ একবারই ঘটেছিল) না ঘটলে কামলা হ্যারিস হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। তবে এত গবেষণা, এত পর্যালোচনা আর এত যুক্তির পরও সবশেষে বেঞ্জামিন ডিসরেইলির উক্তিটি আমাদের মনে রাখতেই হয়, ‘There is no finality in politics.’

………………………………………………….

Dr Zaki Rezwana Anwar FRSA, MBBS, DTM&H, MS & PhD একজন চিকিৎসক, জনপ্রিয় সিনিয়র সংবাদ পাঠক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।