যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন: চীনের পছন্দ কে
পোস্ট ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত কাউকে প্রকাশ্যে অনুমোদন দেননি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিস বা রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন, চীনের প্রতি তাদের অবস্থান থাকবে কঠোর। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। ২০১৮ সালে চীনা পণ্য আমদানিতে ২৫০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করেন। পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতে চীন ১১০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করে। ফলে যদি ট্রাম্প নির্বাচিত হন তাহলে এই অবস্থান থেকে ফিরে আসবেন বলে মনে হয় না। পক্ষান্তরে বিশ্বজুড়ে চীনের যে ক্রমবর্ধমান উত্থান তার বিরুদ্ধে অবস্থান থাকবে ডেমোক্রেটদের। যখন জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক বহাল রাখেন। উপরন্ত এ বছর ১৩ই সেপ্টেম্বরে বাইডেন প্রশাসন চীনে তৈরি সুনির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। যদি কমালা হ্যারিস বিজয়ী হন তাহলে চীনের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের নীতি অব্যাহত রাখবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে কমালা হ্যারিস বা ডনাল্ড ট্রাম্প যিনিই নির্বাচিত হন, তাতে চীনের বিষয়ে স্বস্তিকর কোনো খবর মেলার সম্ভাবনা খুবই কম। বাণিজ্যিক যুদ্ধ সত্ত্বেও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন ট্রাম্প।
গত ১৪ই জুলাই হত্যাচেষ্টা থেকে রক্ষা পান ট্রাম্প। এরপর তিনি বলেন, বিশ্বনেতারা তার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি এক র্যালিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি খুব চমৎকার মানুষ। আমি আক্রান্ত হয়েছি শোনার পর আমাকে সুন্দর সুন্দর কথা লিখেছেন। কিন্তু পর্দার আড়ালে চীনা কর্মকর্তারা কমালা হ্যারিসের প্রতি সামান্য ঝুকে পড়তে পারেন। পেইকিং ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সাবেক ডীন জিয়া কিংগুও বলেন, ইরান যেমন কঠোরভাবে কমালা হ্যারিসকে চায়, তেমনি সম্ভবত শি জিনপিংও চান কমালাকে।