হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় এখন তুরস্কে?
পোস্ট ডেস্ক :
হামাস তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় কাতার থেকে তুরস্কে সরিয়ে নিয়েছে—এমন খবর ভিত্তিহীন। একজন তুর্কি কূটনৈতিক সূত্র সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠীর সদস্যরা কেবল মাঝে মাঝে তুরস্কে সফর করেন বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে দোহা জানিয়েছিল, তারা হামাস ও ইসরায়েল—উভয় পক্ষকে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের বিষয়ে উভয় পক্ষের আন্তরিকতা ও প্রস্তুতি দেখা না গেলে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা স্থগিত থাকবে।
দোহা আরো বলেছে, কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে, তারা হামাসকে দেশ ছাড়তে বলেছে। তবে বিষয়টি সঠিক নয়।
সামরিক জোট নাটোর সদস্য তুরস্ক গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে। পাশাপাশি তারা হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেও বিবেচনা করে না।
হামাসের কিছু রাজনৈতিক কর্মকর্তা নিয়মিত তুরস্কে সফরও করেন। এমনকি তুরস্ক গোষ্ঠীকে স্বাধীনতা ও প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা ইসরায়েলের সমর্থকদের বিপরীত, যারা হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে।
কূটনৈতিক সূত্রটি বলেছে, ‘হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্যরা মাঝে মাঝে তুরস্কে সফর করেন। কিন্তু হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো তুরস্কে স্থানান্তরিত হয়েছে—এমন দাবি সত্য নয়।
হামাসের শীর্ষ নেতারা অতীতে তুরস্কে উল্লেখযোগ্য সফর করেছেন। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এমন কোনো হাই-প্রফাইল সফরের খবর পাওয়া যায়নি। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান গত বছর হামাসের প্রয়াত নেতা ইসমাইল হানিয়াহ ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে একত্রে স্বাগত জানান, যা ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে পুনর্মিলনের প্রচেষ্টার অংশ ছিল। আগস্টে এরদোয়ান হানিয়ার ছেলেদেরও তুরস্কে অভ্যর্থনা জানান। তাদের বাবা ইরানে এক হত্যাকাণ্ডে নিহত হন।
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে স্থগিত রয়েছে। কারণ উভয় পক্ষ কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ইসরায়েল হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করার অঙ্গীকার নিয়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামলা অব্যাহত রেখেছে। তুরস্কের অবস্থান হলো, ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি টেকসই সমাধান অর্জন করা, যা পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগের সীমানার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে।