সিরিয়ায় নতুন সরকার কিভাবে গঠিত হবে?
পোস্ট ডেস্ক :
সিরিয়ার দুই যুগের প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পালিয়েছেন। তবে কোথায় গিয়েছেন তা জানা যায়নি। তাকে আপাতত ‘নিখোঁজ’ বলা যায়। দেশটি দখলে নিয়ে রাজধানী দামেস্কে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৩ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস)।
এই গোষ্ঠীর প্রধান আবু মোহাম্মদ জুলানি বলেছেন, নতুন সরকার গঠনের আগপর্যন্ত সরকারের সব বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন আসাদ সরকারেরই প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল জালালি। খবর আল-জাজিরার।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দ্রুতই সরকার গঠন করে সরকারি শূন্যতা পূরণ করবে ক্ষমতা গ্রহণকারী গোষ্ঠী।
সিরিয়া রাষ্ট্রপতিশাসিত একটি দেশ। তবে দেশটিকে কিভাবে শাসন করবে আইএসআইএস ও আল-কায়েদাঘেঁষা এই গোষ্ঠী তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ব্রাসেলসভিত্তিক থিংট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সিনিয়র বিশ্লেষক বলেন, নতুন সরকার যেমনই হোক। তাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। দেশটিতে বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপ থাকার কারণে নানা বাধার মুখে পড়তে হতে পারে ক্ষমতা গ্রহণকারীদের।
বিদ্রোহী এ গোষ্ঠী ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিওসহ সব প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে। টিভিতে সর্বপ্রথম খবরে প্রচার করা হয়েছে, স্বৈরাচার বাশার আল আসাদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করা হয়েছে।
হায়াত তাহরির আল শামের নেতা সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি বলেছেন, পেছনে ফেরার কোনো জায়গা নেই। ভবিষ্যৎ আমাদের।
এদিকে বাশার আল আসাদের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান তার।