লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের কোপে ভস্মীভূত বহু হলিউড তারকার বাড়ি
পোস্ট ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়া লাখো মানুষের মধ্যে রয়েছেন বহু হলিউড তারকাও। এই দাবানলের আগুন আছড়ে পড়েছে বিনোদনের রাজধানীতেও। হাজারের বেশি বাড়ি ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে হলিউডের বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীর বিলাসবহুল ঠিকানা। লস অ্যাঞ্জেলসে একটি অনুষ্ঠান শেষে ভারতের বিমান ধরার আগে রাস্তা থেকেই একটি ভিডিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নোরা ফতেহি। একটি ভিডিও বার্তায় জানান, তিনি নিরাপদেই রয়েছেন এবং বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন।
অস্কারজয়ী অভিনেতা অ্যান্টনি হপকিন্সের বাড়ি ছিল অভিজাত প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায়। তার বাড়ি চলে গিয়েছে লেলিহান আগুনের গ্রাসে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্যারিস হিলটনের ম্যালিবু ম্যানসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুড়ে যাওয়া বাড়ির ছবিও পোস্ট করেছেন প্যারিস হিলটন। দাবানলের শিকার হয়েছে হলিউড অভিনেতা অ্যাডাম ব্রডির বাড়িটিও। কমেডিয়ান বিলি ক্রিস্টাল থেকে শুরু করে ইউজিন লেভি, মাইলস টেলর, আনা ফারিস- সহ বহু তারকার বাড়িই এখন পুড়ে ছাই। জেনিফার অ্যানিস্টন, ব্র্যাডলি কুপার, টম হ্যাঙ্কস, মাইকেল কিটন, অ্যাডাম স্যান্ডলার—আগুনের আঁচে পড়া এমন অনেক সেলিব্রেটিদের বাড়ি রয়েছে সেখানে। তাদের অনেকেই ঘরহারা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন জেমস উডস। ‘নিক্সন, ‘ক্যাসিনো’-র মতো ছায়াছবির নায়ক বলেন, ‘একদিন আপনি যে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটছিলেন, পরদিন-ই সেই সবকিছু উবে গেল। অভিনেতা বিলি ক্রিস্টাল ১৯৭৯ সাল থেকে যে-বাড়িতে ছিলেন, সে বাড়িও আগুনের কোপে পড়েছে। জনপ্রিয় ছবি ‘হ্যারি মেট স্যালি’-র নায়ক বলেন, ‘এখানেই আমরা আমাদের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিদের বড় করে তুলেছি। বাড়ির প্রতিটি কোণ ছিল ভালোবাসায় মোড়া। সেই স্মৃতি যদিও কোনওদিন মুছে যাবে না। ‘অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও তার বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে দাবানলের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করেছেন তিনি। লস অ্যাঞ্জেলসের এই ভয়াবহ দাবানলের কারণেই অস্কার-এর মনোনয়ন ভোটিংয়ের সময়ও বাড়ানো হয়েছে। ১২ জানুয়ারির পরিবর্তে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটিং করার সুযোগ পাবেন অ্যাকাডেমির সদস্যরা। ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলসের পুলিশ প্রধান জিম ম্যাকডোনেল বলছেন, “আমি এরকম কখনো দেখিনি। বাতাসের প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।”