বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আর্জেন্টিনার

Published: 6 February 2025

পোস্ট ডেস্ক :


যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। দেশটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছে তারাও ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে গভীর মতবিরোধের কারণে ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি নির্বাহী আদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই এমন ঘোষণা দিলো আর্জেন্টিনা।

বলা হচ্ছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাই ট্রাম্পের পথেই হাঁটতে চাইছেন তিনি। দুই নেতাই একে অপরের প্রশংসা করেছেন। গত নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর মিলে এটিকে ‘ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রত্যাবর্তন’ বলে আখ্যা দেন। অন্যদিকে মিলেকে আর্জেন্টিনার প্রিয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন যে সুর তুলেছে তাতে তাল মিলিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মিলে। তিনিও কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছেন। ট্রাম্পের মতো মিলেও মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর চীনের প্রভাব রয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

যাইহোক এভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা সংস্থাটিকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। কেননা সংস্থাটির জন্য অর্থ সহায়তার বিশাল একটি অংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। জার্তিসংঘের ওই সংস্থাটিতে এককভাবে বড় দাতা দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রায় ৯৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল দিয়েছে। যা মোট বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ। এখন যুক্তরাষ্ট্র যদি বেরিয়ে যায় তাহলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সংস্থাটি। তবে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থায় আর্জেন্টিনার সহায়তার পরিমান অত বেশি নয়। তারা বছরে মাত্র ৮ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দেয়। এতে সংস্থাটির ওপর তেমন কোনো আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় হচ্ছে অন্যান্য দেশগুলোও যদি আর্জেন্টিনার মতো ট্রাম্পের পথে হাঁটতে শুরু করেন তাহলে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে সংস্থাটি। এখন দেখার বিষয় অন্য দেশগুলো কি করে। প্রসঙ্গত, নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।