কেনেডি হত্যায় জড়িত কয়েক হাজার নতুন নথির সন্ধান পেয়েছে এফবিআই

Published: 13 February 2025

পোস্ট ডেস্ক :


যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার নথির সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ক্ষমতায় আসার আগেই কেনেডি হত্যার সকল নথি ফাঁস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০শে জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পরই কেনেডি হত্যার নথি ফাঁসের বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে কেনেডি হত্যার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার নথির সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে এফবিআই। প্রসঙ্গত ১৯৬৩ সালে গুলি করে হত্যা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ওই প্রেসিডেন্টকে। তবে এখনো তাকে হত্যা করার বিষয়টি ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। যা উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এফবিআই জানিয়েছে- জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম সপ্তাহে ট্রাম্প কেনেডি হত্যার বিষয়ে যে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন তার ধারাবাহিকতায় নতুন করে নথির সন্ধান পেয়েছে তারা। নতুন করে তারা প্রায় ২৪০০ নথির সন্ধান পেয়েছে। যা এর আগে কখনো প্রকাশ করা হয়নি। এফবিআইয়ের সন্ধানে নতুন করে যেসব নথি তাদের হাতে পৌঁছেছে এগুলো সবই কেনেডি হত্যার সঙ্গে জড়িত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নতুন করে সন্ধান পাওয়া নথিগুলোর যথাযথ ডিক্লাসিফিকেশন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সেগুলো জাতীয় আর্কাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে হস্তান্তরের কাজ চলছে। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখনো এসব নথি প্রকাশ করা হয়নি বা কখন প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোন কোন নথি জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে তা জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের কাছে একটি সুপারিশ পাঠিয়েছে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয়।

কেনেডিকে টেক্সাসের ডালাসে হত্যা করা হয়। তার হত্যার সঙ্গে জড়িত হিসেবে একমাত্র বন্দুকধারী লি হার্ভে অসওয়াল্ডকে দায়ী করা হয়। বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য ফেডারেল সরকারি সংস্থাগুলো ওই বন্দুকধারীকেই কেনেডি হত্যার জন্য দায়ী করে আসছে। কিন্তু বিভিন্ন জরিপের তথ্য অনুযায়ী আমেরিকানরা বিশ্বাস করেন যে, কেনেডির মৃত্যুর পেছনে বড় ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে কেনেডিকে হত্যার ছয় দশক পার হলেও এ বিষয় জানতে আকর্ষণ অনুভব করছে সবাই। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার আগেই কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সকল নথি প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। পাশাপাশি তিনি নাগরিক অধিকারের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এবং সিনেটর রবার্ট কেনেডির হত্যাকাণ্ডের নথি প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কেনেডিকে হত্যার পাঁচ বছর পর; অর্থাৎ ১৯৬৮ সালে লুথার কিং এবং সিনেটর রবার্টকে হত্যা করা হয়। তবে এগুলো প্রকাশের জন্য এফবিআইকে আরও সময় দিয়েছেন ট্রাম্প।

জন এফ কেনেডির ভাতিজা রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র অভিযোগ করেছেন যে, তার চাচার মৃত্যুর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বাহিনী সরাসরি জড়িত। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করেছে তারা। কেনেডি জুনিয়র আরও বলেছেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন জন এফ কেনেডির হত্যার পেছনে একাধিক বন্দুকধারী জড়িত। তবে এতদিন ধরে যেসব নথি সম্পর্কে জানা গেছে তার সঙ্গে ওই দাবি সাংঘর্ষিক।